সাইফউদ্দিনের ‘প্রথমে’র আনন্দ
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৯:২৩
সেই অনুর্ধ্ব-১৫ ক্রিকেট থেকেই ব্যাক পেইনের ব্যথা বয়ে চলেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ফলে তাকে জাতীয় দলের টেস্ট স্কোয়াডে রাখাটা সমীচিন মনে করেননি টাইগার টিম ম্যানেজমেন্ট। লাল সবুজের জার্সিতে তিন বছরের ক্যারিয়ারে যা খেলেছেন তার সবই ওয়ানডে (২২টি) ও টি টোয়েন্টি (১৫টি)। কিন্তু শ্রীলঙ্কা সফরকে সামনে রেখে এই প্রথম টাইগার টেস্ট স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন তরুণ এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। সঙ্গত কারণেই তার ক্রিকেটীয় চিত্তে বয়ে যাচ্ছে আনন্দের হিল্লোল।
অনু-১৫ তে প্রথমবারের মত সাইফউদ্দিনের পিঠে হানা দিল ব্যথা যা অনু-১৯ দলে খেলাকালীন আবার ফিরল। এরপর মোটামুটি লম্বা সময় বিরতি নিয়ে আবার তা মাথাচাড়া দিয়ে উঠল ২০১৯ বিশ্বকাপে। যদিও শুরুটা হয়েছিল ত্রিদেশীয় সিরিজ চালাকালীন। বিশ্বকাপ থেকে ফিরে শ্রীলঙ্কা সিরিজের জন্য যখন প্রস্তুত হচ্ছিলেন আবার সেই পিঠের ব্যথা ফিরল যা শরীরে জেঁকে বসেছিল লম্বা সময়ের জন্য। গেল বছরের সেপ্টেম্বরে সেই যে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেললেন এরপর মাঠে ফিরলেন ফেব্রুয়ারি-মার্চে জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়ে।
বিষয়টি স্পষ্ট যে ব্যাক পেইনের ইনজুরি যার শরীরে তাকে যার পরনাই ভুগিয়েছে এবং সেকারণেই তাকে দিয়ে দীর্ঘ্য পরিসরের ক্রিকেট আদতেই কঠিন। তাই বিগত দিনগুলোতে তাকে টেস্ট স্কোয়াডে রাখা হয়নি। কিন্তু শ্রীলঙ্কা সিরিজে দলে একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডারের অপরিহার্যতা বিবেচনা করেই হয়ত তাকে ২৭ সদস্যের স্কোয়াডে রাখা হয়ছে। আর তাতে তিনি যারপরনাই খুশি। এবং তিনি এও জানিয়েছেন এত টানপোড়েনের পর শেষ পর্যন্ত তিন ম্যাচ সিরিজের টেস্ট মাঠে গড়ালে এবং একাদশে জায়গা পেলে নিজের সেরাটি উজাড় করে দিবেন।
বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) মিরপুর শের ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে তিনি এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সাইফউদ্দিন বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ ৬-৭ মাস পর দলের সাথে মিরপুর গ্রাউন্ডে, খুবই আনন্দিত আমি। প্রথমবারের মত সেন্টার উইকেটে বল করতে পেরে উচ্ছ্বাসিত। আরও কিছুদিন সময় পাবো, তো যতটুকু ওভারকাম করা যায়, নিজেকে ডেভেলপ করা যায় এই জিনিসটা নিয়ে কাজ করবো। যেহেতু আমি প্রথমবারের মত টেস্ট স্কোয়াডে ডাক পেয়েছি। খুবই আনন্দিত আমি, চেষ্টা করবো নিজের সেরাটা দেওয়ার এবং যতটুকু পারি শেখার।’
করোনার সময়টা সাইফউদ্দিনের কেটেছে নিজ জেলা ফেনীতে। অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা না থাকায় সেখানে বোলিং নিয়ে খুব বেশি কাজ করতে পারেননি। এদিকে ঢাকায় ফিরে কিছুদিন ছিলেন আইসোলেশনে। বুধবার এ পেস বোলিং অলরাউন্ডার যোগ দিয়েছেন জাতীয় দলের অনুশীলন ক্যাম্পে।
৬ মাস পর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বোলিং সেশন সেরে সাইফউদ্দিন জানান কিছুটা অস্বস্তির কথা। ‘করোনার সময়টা আমার জন্য কিছুটা কঠিন ছিল। যেহেতু আমি নিজ জেলা ফেনীতে ছিলাম। ফিটনেসের কাজ করতে পেরেছি কিন্তু স্কিল নিয়ে অন্য খেলোয়াড়দের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছি।’
‘ব্যাটিংটা যতটুকু পেরেছি পাকা উইকেটের মধ্যে করেছি, বোলিংটা একদমই করতে পারিনি। যার কারণে আজকেও বোলিং করেছি, গত দুইদিনও বোলিং করেছি। ছন্দ পেতে আরও সময় লাগবে। কিছুটা অস্বস্তি বোধ করছি আমি। তারপরেও আশাবাদী আরও কিছুদিন বোলিং করতে পারলে হয়তোবা আগের রূপে ফিরে আসতে পারবো।’ যোগ করেন সাইফউদ্দিন।