নেইমারের একমাত্র গোলে লাইপজিগকে হারাল পিএসজি
২৫ নভেম্বর ২০২০ ১০:১২
চ্যাম্পিয়নস লিগের ২০২০/২১ মৌসুমের শুরুটা ভালো হয়নি প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর। গ্রুপ পর্বে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে হার, এরপর বাসাকসেহিরের বিপক্ষে জিতলেও আরবি লাইপজিগের বিপক্ষে হেরে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল নেইমাররা। তবে ফিরতি লেগে ঘরের মাঠে আরবি লাইপজিগকে নেইমারের করা একমাত্র গোলে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে পরের রাউন্ডে খেলার আশা বাঁচিয়ে রেখেছে গত মৌসুমের রানার্স আপরা।
গ্রুপ এইচ’র প্রথম চার ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে জিতে শীর্ষে অবস্থান করছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তবে এখনও নিশ্চিত হয়নি পরের রাউন্ডে খেলা। গ্রুপের বাকি দুই হ্যাভিওয়েট দল প্যারিস সেইন্ট জার্মেই ও আরবি লাইপজিগ নিঃশ্বাস ফেলছে রেড ডেভিলসদের ঘাড়েই। প্রথম চার ম্যাচের তিনটিতে জিতে ইউনাইটেডের পয়েন্ট ৯, অন্যদিকে পিএসজি ও লাইপজিগ চার ম্যচে ২টিতে জয় ও ২টিতে হেরে ৬ পয়েন্ট নিয়ে যথাক্রমে অবস্থান করছে দুই ও তিনে। গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে দুইয়ে পিএসজি। গ্রুপ পর্বের শেষ দুই ম্যাচে ইউনাইটেডের প্রতিপক্ষ পিএসজি ও লিপজিগ। এই দুই ম্যাচের দুটিতে হারলেই শঙ্কায় পড়তে পারে তাদের পরের রাউন্ডে খেলা। তবে তার জন্য অবশ্য পিএসজি ও লাইপজিগকে জিততে হবে নিজেদের বাকি দুই ম্যাচ।
পিএসজির বাকি দুই ম্যাচ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে ওল্ড ট্রাফোর্ডে আর ইস্তানবুল বাসাকসেহিরের বিপক্ষে নিজেদের ঘরে। এই দুই ম্যাচে জয় পেলেই কোনো হিসাব নিকাশ ছাড়াই পরের রাউন্ডের টিকিট পেয়ে যাবে নেইমার-এমবাপেরা।
লাইপজিগের কাছে তাদের ঘরের মাঠে ২-১ গোলের ব্যবধানে হেরে এসেছিল পিএসজি। তাই তো নিজেদের ঘরের মাঠে এটি ছিল নেইমারদের প্রতিশোধের ম্যাচ। আবার বাঁচা মরার ম্যাচও ছিল এটি। কেননা এই ম্যাচে হারলে চ্যাম্পিয়নস লিগের পরের রাউন্ডে খেলাটাই অনিশ্চিত হয়ে যেত পিএসজির। তবে না শেষ পর্যন্ত অঘটন আর ঘটতে দেয়নি নেইমার। দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা।
খেলা শুরু হওয়ার মাত্র ৯ মিনিটের মাথায় অ্যানহেল ডি মারিয়াকে ডি বক্সের ভেতর ফাউল করে বসেন লাইপজিগ অধিনায়ক মারসেল সাবিতজার, সঙ্গে সঙ্গে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। স্পট কিক থেকে নেইমার গোল করে খেলার ১১ মিনিটেই ১-০ ব্যবধানে পিএসজিকে এগিয়ে নেন। এরপর দ্রুতই দুটি দুর্দান্ত আক্রমণ করে লাইপজিগ, তবে দুবারই গোল করতে ব্যর্থ হয়। কেইলর নাভাসের দৃঢ়তায় লিড ধরে রাখে পিএসজি।
এক গোলে এগিয়ে থাকা পিএসজি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছিল, ম্যাচের ১৫ মিনিটের মাথায় ডি বক্সে থাকা নেইমারকে উদ্দেশ করে বল বাড়িয়ে দেন এমবাপে। তবে ডি বক্সের ভেতর জায়গা করে শট নিয়ে ব্যর্থ নেইমার বল ফেরত পাঠান এমবাপেকে। বল পেয়ে অ্যাক্রোব্যাটিক শটে গোল করার চেষ্টা করেন এমবাপে কিন্তু তা গোলবারের ওপর দিয়ে চলে গেলে গোলবঞ্চিত হন এমবাপে। প্রথমার্ধের শেষ দিকে দুই দলই বেশকিছু গোলের সুযোগ তৈরি করলেও শেষ পর্যন্ত বল জালে জড়াতে না পারলে পিএসজি ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায়।
বিরতি থেকে ফিরে পিএসজির রক্ষণকে চেপে ধরে লাইপজিগ, তবে রক্ষণ ফাটল ধরাতে পারলেও গোলের ঠিকানা খুঁজে পায়নি তাঁরা। আর এ কারণেই সমতায় আর ফেরা হয়নি জার্মানির ক্লাবটির। শেষ পর্যন্ত কোনো গোল না হওয়ায় পেনাল্টি থেকে নেইমার জুনিয়রের করা একমাত্র গোলে ১-০ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই।
২০২০/২১ মৌসুম ইউইয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ নেইমার জুনিয়র পিএসজি বনাম আরবি লাইপজিগ প্যারিস সেইন্ট জার্মেই