বায়ার্নের জয়রথ থামাল অ্যাটলেটিকো
২ ডিসেম্বর ২০২০ ০৮:৫৫
২০১৯/২০ মৌসুমে টানা ১১ ম্যাচ জিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখ। সেই ধারা ধরে রেখেছিল নতুন মৌসুমেও। ২০২০/২১ মৌসুমের গ্রুপ পর্বে টানা চার ম্যাচ জয়ের পর অবশেষে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের মাঠে থেমেছে বাভারিয়ানদের জয়রথ। তবে ওয়ানডা মেট্রোপলিটিয়ানোতে হারেনি বায়ার্ন, পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত থমাস মুলারের গোলে ১-১ গোলে সমতায় শেষ করে ম্যাচটি। আর এই ড্র’তেই টানা ১৫ ম্যাচ জয়ের রেকর্ডের ইতি ঘটল।
এদিন মূল একাদশের ৯ জন খেলোয়াড়কে বিশ্রামে রেখেই দল সাজিয়েছিলেন বায়ার্ন কোচ হানসি ফ্লিক। আর এই সুযোগ নিয়েই ম্যাচের প্রথমার্ধে গোল করে এগিয়ে যায় অ্যাটলেটিকো। কিন্তু শেষ দিকে গোল হজম করে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে ডিয়েগো সিমিওনের দলকে। আর তাতে ঝুলে গেল দলটির চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্বের টিকিটও।
গ্রুপ পর্বে দুই দলের প্রথম দেখায় অ্যাটলেটিকে ৪-০ গোলে অ্যালিয়েঞ্জ অ্যারেনায় বিধ্বস্ত করেছিল বায়ার্ন। অন্যদিকে উড়তে থাকা বায়ার্ন ৫ ম্যাচে ৪ জয় আর এক ড্র’তে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের গ্রুপ এর শীর্ষ স্থানে থেকেই নিশ্চিত করেছে দ্বিতীয় পর্ব। আর সমান ম্যাচে মাত্র একটি জয়, তিনটি ড্র ও এক হারে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে অ্যাটলেটিকো। গ্রুপের অন্য ম্যাচে লোকোমোটিভ মস্কোকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথম জয়ের স্বাদ পেয়েছে সালজবুর্গ। ৪ পয়েন্ট নিয়ে সালজবুর্গ তৃতীয় ও ৩ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে আছে লোকোমোটিভ।
রবার্ট লেভান্ডোফস্কি, থমাস মুলার ও ম্যানুয়েল নয়্যারসহ মূল একাদশের অধিকাংশ খেলোয়াড়কে বিশ্রামে রেখে একাদশ সাজান হানসি ফ্লিক। এর পেছনের কারণ ছিল সব টুর্নামেন্টের জন্য খেলোয়াড়দের তৈরি রাখা। আর চ্যাম্পিয়নস লিগের পরের পর্ব নিশ্চিত হওয়ায় খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দেওয়া। আর তাতেই শুরু থেকে বায়ার্নের রক্ষণে চাপ দিতে থাকে লা লিগায় টানা ছয় ম্যাচ জিতে আসা অ্যাটলেটিকো। ষষ্ঠ মিনিটে জাও ফেলিক্সের থ্রু বল ধরে আন্দ্রে কোররেয়া শট নেন গোলরক্ষক আলেক্সান্ডার নুবেল বরাবর।
গোলের জন্য মাদ্রিদের ক্লাবটিকে অপেক্ষা করতে হয় ম্যাচের ২৬তম মিনিট পর্যন্ত। জাও ফেলিক্সের দারুণ এক গোলে ঘরের মাঠে লিড নেট অ্যাটলেটি। ডান দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা মার্কোস ইয়োরেন্তের দারুণ এক পাস থেকে বল জালে জড়ান এই পর্তুগিজ। ব্যবধান বাড়ানোর লক্ষ্যে বাভারিয়ানদের ওপর চাপ দিতে থাকে স্বাগতিকরা। কিন্তু গোলের সুযোগ তৈরি করলেও শেষ পর্যন্ত প্রথমার্ধে আর গোলের দেখা পায়নি তারা।
বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণ আরও শাণিত করে অ্যাটলেটি, তবে ক্রসবারের দুর্ভাগ্যে লিড ২-০ করা হয়নি জাও ফেলিক্সের। এদিকে দন্তহীন আক্রমণের শক্তি বাড়াতে ৬২তম মিনিটে জাভি মার্টিনেজের বদলি হিসেবে থমাস মুলারকে মাঠে নামায় বায়ার্ন। যার প্রতিফলন ৮৫ মিনিটে পেনাল্টি স্পট থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান মুলার। আর পেনাল্টি জিতেছিলেন তিনিই। শেষ পর্যন্ত ওই ১-১ গোলের ব্যবধানে সমতায় থেকেই ইতি ঘটেছে অ্যাটলেটি ও বায়ার্নের মধ্যকার দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটি। আর সেই সঙ্গে বায়ার্নের টানা ১৫ ম্যাচ জয়ের রেকর্ডও থেমেছে।
২০২০/২১ মৌসুম অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ বনাম অ্যাটলেটিক বিলবাও ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ ম্যাচ ড্র