ব্লাকউডের আকাশ সমান হতাশা
৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২১:১৭
চট্টগ্রাম থেকে: ব্যক্তিগত ৬৮ রানে মেহেদি হাসান মিরাজের বলে জার্মেইন ব্লাকউড যেভাবে আউট হয়েছেন তাতে তার কষ্ট নেই বটে তবে হতাশা আছে বিস্তর। কেননা চট্টগ্রাম টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যক্তিগত অর্ধশতক ছোঁয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এই ক্যারিবিয় স্থির করে ফেলেছেন এটা শতকে রুপান্তর করবেন। কিন্তু শেষমেষ তা হয়নি বলে আকাশ সমান হতাশা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন এই ক্যারিবিয় মিডল অর্ডার।
শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে উইন্ডিজদের ব্যাটিং ইনিংসের ৯৪তম ওভারের একেবারে প্রথম বলটি ওভার দ্য উইকেটে গিয়েই করলেন মেহেদি মিরাজ। লেগ স্টাম্পের বাইরে থাকা বল ব্যাটে হালকা ছুঁয়ে জমা পড়ে কিপারের গ্লাভসে। অমনি তার ইনিংসের এপিটাফ লেখা যায়। বিষয়টি নিদারুণ হতাশ করেছে ২৯ বছর বয়সী এই ব্যাটিং অলরাউন্ডারকে।
তৃতীয় দিনের খেলা শেষ তিনি সংবাদ মাধ্যমকে একথা জানান।
ব্লাকউড বলেন, ‘এটা খুবই হতাশার ছিল। আমি আমর ফিফটিকে শতকে রুপান্তর করেতে চেয়েছিলাম। এবং আমি ঠিকভাবেই খেলছিলাম। কিন্তু যেভাবে আমি আউট হয়েছি তাতে নিদারুণ হতাশ। পরের ইনিংসেও আমাকে এভাবেই ব্যাটিং করতে হবে। তবে আমি কষ্ট পাইনি।’
ধারণা করা হচ্ছিল সাগরিকার উইকেটে তৃতীয় দিন থেকে শুধুই স্পিনাররা রাজত্ব করবেন। এখানে পেসারদের জন্য কিছুই থাকবে না। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিংয়ে নেমে শেষ বিকেলেও শ্যানন গাব্রিয়েল বলে যে বাউন্সার ও মুভমেন্ট পাচ্ছিলেন তাতে চিরাচেনা সাগরিকা অচেনাই মনে হচ্ছিল। অবশ্য ব্লাকউড বললেন, বিষয়টি তার কাছে নতুন কিছুই নয়। করোনাকালে ইংল্যান্ড ও নিউ জিল্যান্ড সফরেও তিনি এমন উইকেট দেখেছেন।
‘আমরা ইংল্যান্ড, নিউ জিল্যান্ড থেকে এসেছি যেখানে এমন উইকেটই ছিল। বলে বাউন্সার ছিল, সিম করছিল, ও স্পিনে খুব একটা বাঁক ছিল না। তবে আমরা ভেবেছিলাম বাংলাদশের উইকেট স্পিন বান্ধবই হবে। বল এখানে বাঁক নিচ্ছে এবং নিচু হয়ে আসছে। আমাদের দেখে শুনে খেলতে হবে।’
চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৫৯ রানে গুটিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ দিন শেষ করে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেটে ৪৭ রান নিয়ে। প্রথম ইনিংসের ১৭১ রানের লিড মিলিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে ২১৮ রানে। প্রথম ইনিংসে টাইগারদের সংগ্রহ ৪৩০ রান।
চট্টগ্রাম টেস্ট জের্মেইন ব্লাকউড বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ