মুমিনুলদের হতাশার সকাল
৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১২:১৯
চট্টগ্রাম থেকে: পঞ্চম দিনের মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত উইন্ডিজদের একটি উইকেটও নিতে পারেনি বাংলাদেশ। পিচে যথেষ্ট টার্ন থাকলেও সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা অবধি প্রথম সেশনের ৩১ ওভারে বিনা খরচায় ৮৭ রান নিয়ে ক্যারিবিয়রা স্কোর বোর্ডে তুলল ১৯৭ রান। জিততে প্রয়োজ আর ১৯৮ রান। সেশস বাকি আরও দুটি। তাতে প্রথম সেশনটি স্বাগতিকদের জন্য নিদারুণ হতশারই হয়ে থাকল।
হতাশার শেষ এখানেই নয়। দিনের শুরুতে একটি ক্যাচ হাতছাড়া ও দুটি রিভিউ না নেওয়ায় ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল ২ ঘণ্টায় একটি উইকেটের পতন নেই। এখনও টিকে আছেন কাইল মেয়ার্স (৯১) ও এনক্রুমা বনার (৪৩)। চতুর্থ উইকেটে তাদের ১৩৮ রানের জুটিতে চাপে এখন বাংলাদেশ। যে চাপে থাকার ছিল অতিথিদের।
একটি দুটি নয়, জুটি ভাঙার তিন তিনটি সুবর্ণ সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশের সামনে। কাইল মেয়ার্সের ৪৭ রানে তাইজুল ইসলামের বলে তৈরী হওয়া এলবি’র সম্ভাবনার জোরালো আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দেননি। পরিতাপের বিষয় হল, বাংলাদেশও রিভিও নেয়নি। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বলের ইম্প্যাক্ট ছিল স্টাম্পে।
সেই মেয়ার্সই খানিক বাদে ৪৯ রানে জীবন পান। মেহেদি হাসান মিরাজের বলে স্লিপে ক্যাচ ম্যাস করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। জীবন পেয়ে ওই বলেই ফিফটি পূরণ করেন এই টপ অর্ডার।
ফিরে যেতে পারতেন এনক্রুমা বোনারও। নাঈম হাসানের শার্প টার্ন বল লাগে গিয়ে আঁছড়ে পড়ে তার প্যাডে। কিন্তু রিভিউ নেয়নি ডমিঙ্গো শিষ্যরা। ২৫ রানে বেঁচে যান বোনার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস : ৪৩০
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস : ২৫৯
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস : ২২৩/৮
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস : (লক্ষ্য ৩৯৫, চতুর্থ দিন ১১০/৩) ৫৮ ওভারে ১৪৯/৩ (বোনার ২৬*, মেয়ার্স ৬০৭*; মোস্তাফিজ ৪-১-১৪-০, তাইজুল ২০-১০-২৩-০, মিরাজ ২৫-৩-৭২-৩, নাঈম ৯-১-৩২-০)।
চট্টগ্রাম টেস্ট টেস্ট সিরিজ বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ মুমিনুল হক