করোনায় ছাঁটাই না করে বেকার কর্মীদের বেতন দিচ্ছেন নেইমার
১৭ এপ্রিল ২০২১ ১৭:১৬
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে কাঁপছে বিশ্ব। ভাইরাসটির প্রভাবে বিশ্বে যে কয়েকটি দেশের বেশি ক্ষতি হয়েছে ব্রাজিল তার মধ্যে একটি। অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, সামাজিক, পেশাদারি- প্রতিটি ক্ষেতেই বিপদে পড়েছে দেশটি। দীর্ঘ লকডাউনের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে অনেক প্রতিষ্ঠান। সুবিধাবঞ্চিত তিন হাজার শিশুর দেখভালের জন্য প্রতিষ্ঠিত নেইমারের ইন্সটিটিউট বন্ধ সেই মার্চ থেকে। তবে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলেও একজন কর্মীকেও চাকিচ্যুত করেননি ব্রাজিলের সময়ের নামকরা তারকা।
অসহায় ও দুস্থদের উপকারে নেইমার এর আগেও বহু প্রসংশনীয় উদ্যোগ নিয়েছেন। দুস্থ শিশুদের দেখভালের জন্য প্রেইয়া গ্রান্দে অঞ্চলে এই নেইমার জুনিয়র ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছেন বহু আগে। করোনার কারণে ব্রাজিলের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো এই প্রতিষ্ঠানও সেই মার্চ থেকে বন্ধ। ফলে একে তো আর্থিকভাবে বড় ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্য দিকে কার্যক্রমও বন্ধ। তবুও একজন কর্মীকেও ছাটাই করেননি নেইমার। মহামারীর কঠিন সময়ে প্রতিজন কর্মীর আর্থিক সুবিধা নিশ্চিত করতে এমন সিদ্ধান্ত নেইমারের।
নেইমারের প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন মোট ১৪২ জন কর্মী। প্রতিজন শতভাগ বেতন তো পাচ্ছেনই পাশাপাশি কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন খরচের দায়িত্বও নিয়েছে নেইমারের প্রতিষ্ঠান। ১৪২ জন কর্মীর জন্য বেতন হিসেবে প্রতি মাসে ৯০ হাজার ইউরো খরচ হচ্ছে নেইমারের। বাংলাদেশি মুদ্রায় অঙ্কটা প্রায় সাড়ে ৯১ লাখ টাকা।
নেইমারের বাবা ও মুখপাত্র নেইমার সিনিয়রের বরাত দিয়ে এই খবর প্রকাশ করেছে স্প্যানিশ গণমাধ্যম মার্কা। নেইমারের বাবা মার্কাকে বলেছেন, ‘আমার পরিবার ও আমি ১৪২ জন সদস্যের এই প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারটা দেখভাল করছি। তারা সম্পূর্ণ বেতন-ভাতাই পাচ্ছে।’
মহামারী যতোদিন ততোদিন পর্যন্ত কর্মীদের শতভাগ বেতন দেওয়া হবে এমন ঘোষণাও দিয়েছেন নেইমারের বাবা, ‘এই প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের চাকরি ও বেতন নিয়ে কোনো চিন্তা করতে হবে না। ওই ব্যাপারটা আমরা দেখছি। যত দিন এই মহামারি চলবে, তত দিনই দেখব।’
ব্রাজিলেএখন পর্যন্ত ১ কোটি ৩৮ লাখ ৩২ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দেশ হিসেবে বিশ্বে যা তৃতীয় সর্বোচ্চ। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ৬৮ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বের সব দেশের মধ্যে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।