ক্যাচ মিস খেলারই অংশ: তাইজুল
৩০ এপ্রিল ২০২১ ২০:৪০
পাল্লেকেলেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম দিনের মত দ্বিতীয় দিনেও ক্যাচ মিসের মোহড়া অব্যাহত রেখেছে টিম বাংলাদেশ। প্রথম দিনে স্বাগতিকদের তিনটি ক্যাচ ফেলেছিলেন অতিথিরা। দ্বিতীয় দিনেও ফেললেন দুটি। সন্দেহাতীতভাবেই তাতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে মুমিনুলরা। কিন্তু বিস্ময়কর হলেও সত্যি যে, তাতে কারোর মধ্যেই বিন্দুমাত্র হতাশা নেই সেই আত্মোপলব্ধি। বরং দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে তাইজুল ইসলাম যেন ক্যাচ ড্রপকেই ক্রিকেটে শ্বাশ্বত বলে ধরে নিলেন।
দ্বিতীয় দিনে পয়েন্টে ফিল্ডিং করছিলেন তাইজুল ইসলাম। ১২২তম ওভারে আবু জায়েদ রাহির শেষ বলে সেখানে ক্যাচ তুলে দেন পাথুম নিশাঙ্কা। কিন্তু তাতালুবন্দি করতে ব্যর্থ হন তাইজুল। দিনের দ্বিতীয় ক্যাচটি ছেড়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দিনের শেষ সেশনের তৃতীয় ওভার শেষে বৃষ্টির কারণে প্রথম দফায় খেলা বন্ধ থাকার পর ২৫ মিনিট বিরতি দিয়ে আম্পায়াররা মাঠে ফেরার নির্দেশ দেন ক্রিকেটারদের। এরপর উইকেট নেওয়ার দারুণ এক সুযোগ তৈরি করেন তাসকিন। কিন্তু স্লিপ থেকে রমেশ মেন্ডিসের সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করেন শান্ত। দু’দুটি দুর্ঘটনার পরেও নিজেদের কোন দোষই দেখছেন না তাইজুল।
শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) দ্বিতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি একথা জানান।
তাইজুল বলেন,‘সচরাচর টেস্ট ম্যাচে আমি পয়েন্টেই ফিল্ডিং করে থাকি। পয়েন্টে অথবা শর্ট গালি, সিচুয়েশনের ওপর ডিপেন্ড করে। তো ক্যাচ মিস খেলার একটা অংশ। কিন্তু ওই সময়ে ক্যাচ মিসটা হয়ত আমাদের টিমকে একটু ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে, হয়ত ওই ক্যাচটা ধরতে পারলে আরও অনেক ভালো পজিশনে থাকতাম। তবে এমন কিছু না, যে পয়েন্টে আমি ফিল্ডিং করি না।’
কত রান হলে আমরা লিড নিতে পারবে ? সংবাদ মাধ্যমের করা এমন প্রশ্নে তাইজুলের উত্তর ছিল, ‘এটা আসলে দুই দিন চলে গেছে, তারপর তিন দিন, চার দিন। আমরা লিড নিতে গেলে হয়তবা আমাদের ব্যাটারদের অনেক ভালো খেলতে হবে, উইকেটটা আসলে কেমন হবে সেটা বোঝাটা ডিফিকাল্ট। হয়তবা ভালো থাকলে আমরা সহজেই হয়তবা ব্যাটাররা ভালো খেললে লিড নিতে পারব। আর যদি উলটাপালটা কিছু হয় উইকেটে, তাহলে…’
দিমুথ করুনারত্নের ১১৮, লাহিরু থিরিমানের ১৪০, ওশাদা ফানান্দোর ৮১ ও নিরোশান ডিকভেলার অপরাজিত ৬৪ রানে ভর করে পাল্লেকেলেতে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ৬/৪৬৯ রান সংগ্রহ করেছে শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে তাসকিন আহমেদ ৩টি, তাইজুল ইসলাম, মেহেদি হাসান মিরাজ ও শরিফুল ইসলাম নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।’