সে কী হতাশা বুঝেছেন ইমরুল
২ মে ২০২১ ২০:০৬
জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েও ছিটকে যাওয়া কতটা হতাশার তা কেবল তারাই অনুভব করতে পারেন যারা এই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছেন। ইমরুল কায়েস তাদেরই একজন এবং তুলনামুলক বেশ অভিজ্ঞও বললেও হয়ত অত্যুক্তি হবে না। কেননা স্রেফ একটি সিরিজে ব্যাট হাতে নিস্প্রভতার খেসারত দিয়েছেন প্রায় তিন বছর জাতীয় দলের বাইরে থেকে। জায়গা মেলেনি বিশ্বকাপ দলেও। সেসময়টা তার কেটেছে প্রিয় সতীর্থ ও ড্রেসিংরুম মিস করে। তবে সবচেয়ে বেশি মিস করেছেন লাল সবুজের জার্সিতে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করাটা। যদিও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসন্ন ওয়ানডে সিরিজে জাতীয় ডাক পাওয়ায় তার সেই হতাশা অনেকাংশেই কেটে গেছে এবং সেজন্য নির্বাচকদের প্রতি তার কৃতজ্ঞতারও শেষ নেই।
ওয়ানডে ফর্মেটে বাংলাদেশের জার্সিতে ইমরুল কায়েসকে সবশেষ দেখা গিয়েছিল ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাংলাদেশ সফরে। কিন্তু দুই ম্যাচ সিরিজেরে ওই ওয়ানডে ব্যাট হাতে নিদারুণ নিস্প্রভ থাকায় (৪, ০) বাদ পড়েন অভিজ্ঞ এই টাইগার টপ অর্ডার। এরপরে টিম কম্বিনেশনের কারণে আর দলে জায়গা হয়নি। অবশেষে প্রায় তিন বছর পরে আবার জাতীয় দলের চৌহর্দিতে ফিরলেন ইমরুল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসন্ন ওয়ানডে সিরিজের প্রাথমিক দলে জায়গা মিলেছে উপেক্ষিত এই টপ অর্ডাররের। যদিও ফেরার আনন্দে অতটা বিগলিত তিনি নন বরং আপাতত নিজেকে প্রমানের জন্যই তিনি মুখিয়ে আছেন।
রোববার (২ মে) মিরপুর শের ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে লঙ্কানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ সামনে রেখে দলের অনুশীলন তিনি একথা জানান।
ইমরুল বলেন, ‘জাতীয় দলের বাইরে থাকলে যে জিনিসটা হয় অনেক আপসেট থাকতে হয়। জাতীয় দলের খেলা যখন দেখা হয় তখন ওই জায়গাটাকে অনেক মিস করা হয়। তারপরও আমি বলবো যে কিছু কিছু সময় বাদ পড়াটা প্লেয়ারের জন্য ভালো, অনেক কিছু শেখা যায় ওখান থেকে, নিজের ভুলগুলো নিয়ে, কি কি ভুল হয়েছে। আর আমি আসলে কখনও ওভাবে মনে করিনাই যে আমি জাতীয় দলের বাইরে চলে গেছি। সবসময়ই আমি ড্রেসিঙ্গরুমটা উপভোগ করি, এটার জন্য আমি যে অনুশীলনটা দরকার, কঠোর পরিশ্রমটা দরকার সেটা করে যাই সবসময়। আমি কখনো ভাবিনা যে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়লে আমি বের হয়ে গেছি। আমি মনে করি পাশেই আছি, হয়তোবা পারফর্ম করতে পারলে আবার ফিরতে।’
লম্বা বিরতির পরে প্রাথমিক দলে ডাক পাওয়াটা অনুপ্রেরণার উল্লেখ করে ইমরুল আরও বলেন, ‘ধন্যবাদ জানাই (নির্বাচকদের) যে আমি আবারও প্রাথমিক দলে ডাক পেয়েছি। এটা আমার জন্য অবশ্যই অনুপ্রেরণার। কারণ জাতীয় দলের বাইরে থাকলে, স্কোয়াডের বাইরে থাকলে আসলে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকা যায় না জাতীয় দলের খেলার জন্য। আমি বলবো যে এটা আমার জন্য অনেক বড় সুযোগ আবার নতুন করে চিন্তা ভাবনা করা।’
বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের ওয়ানডে খেলতে চলতি মাসের ১৬ তারিখে আসার কথা রয়েছে সফরকারি লঙ্কানদের।