ফুটবল দলের সৌদি আরব যাত্রা নিয়ে ধোঁয়াশা
২৪ মে ২০২১ ১৮:৫১
বিশ্বকাপ এবং এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাই পর্বের ম্যাচ খেলতে নামার আগে বিদেশি দলের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচের আগ্রহ দেখিয়েছিলেন জাতীয় ফুটবল দলের কোচ এবং ফুটবলাররা। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সে অনুযায়ী ব্যবস্থাও নিয়েছিল। সৌদি আরবে প্রস্তুতি ম্যাচ আয়োজনের উদ্যোগ নেয় বাফুফে। কিন্তু এই প্রস্তুতি ম্যাচ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
আজ সোমবার (২৪ মে) বেলা ১১টায় সৌদি আরবের বিমান ধরার কথা ছিল ফুটবলারদের। জামাল, তপুরা ব্যাগ গুছিয়ে রেখেছিলেন আগেই। কিন্তু এখন আরব দেশটিতে যাওয়া নিয়েই তৈরি হয়েছে শঙ্কা। কোয়ারেন্টাইন শিথিলসংক্রান্ত চিঠি এখনো পায়নি বাফুফে। ফলে আজ নির্দিষ্ট সময়ে সৌদি যাওয়া হয়নি বাংলাদেশ দলের।
বাফুফের প্রত্যাশা, দ্রুত সময়ের মধ্যে চিঠি পাওয়া যাবে এবং তখনই দল পাঠানো যাবে। এদিকে, সৌদি যাত্রা যদি অনেকটা পিছিয়ে যায় সেক্ষেত্রে সেখানে না গিয়ে আগেভাগে ম্যাচের ভেন্যু কাতার যাওয়াটাই ভালো মনে করছেন জাতীয় দলের প্রধান কোচ জেমি ডে।
বাছাই পর্বের ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে আর ১০ দিনও হাতে নেই। সফর অনেকটা পিছিয়ে গেলে যাওয়ার চেয়ে না যাওয়াই ভালো মনে করছেন জেমি। কারণ ভ্রমণ ক্লান্তির বিষয়টিও বিবেচনায় নিতে হবে।
যাত্রা বাতিলের খবর পাওয়ার পর আজ অনুশীলন করেছেন ফুটবলাররা। অনুশীলনের ফাঁকে জেমি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘কোনো কিছু পরিকল্পনামতো না হলে হতাশ হওয়াটাই স্বাভাবিক। খেলোয়াড়েরা যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বাতিল হয়ে গেল। ব্যাপারটি ভালো বলতে পারবে বাফুফে। দু–তিন দিনের জন্য সৌদি আরবে গেলে প্রত্যাশানুযায়ী উপকার হবে না। তার চেয়ে বরং আগে কাতার যাওয়া যায় কি না, সে বিষয়ে বাফুফের সঙ্গে আলোচনা করব।’
এদিকে, জাতীয় দলের ম্যানেজার ইকবাল হোসেন জানালেন, রোববার রাতে কোয়ারেন্টাইন শিথিলের চিঠিটা পাওয়ার কথা ছিল। চিঠি দ্রুত পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদি বাফুফে। বিষয়টি নিয়ে বাফুফে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এভাবে সফর পিছিয়ে যাওয়া বা বাতিলের শঙ্কা তৈরি হওয়াটা নিশ্চয় হতাশার। গোলরক্ষক আনিসুর রহমান এ বিষয়ে বলছিলেন, ‘সকালেই খবরটা পাই। একটু তো মন খারাপ হবেই। যেহেতু খেলোয়াড়েরা যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল, একটা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা খুব প্রয়োজন। সামনে বড় ম্যাচ আছে। সৌদি আরবে যেতে পারলে ভালো হয়তো। ওখানে গিয়ে যদি একটা ম্যাচও খেলতে পারি, তাহলে ভালো হবে। কারণ, কাতার আর সৌদি আরবের আবহাওয়া প্রায় একই রকম।’