পরিস্থিতি যাই হোক জাপান অলিম্পিক আয়োজন করবে
২৭ মে ২০২১ ১২:৫৯
অলিম্পিক গেমসের আসর মাঠে গড়ানোর কথা ছিল গত ২০২০ সালেই। তবে গত বছর গোটা বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস মহামারির কারণেই স্থগিত হয়ে যায় আসরটি। আর নতুন সিদ্ধান্ত আসে ২০২১ সালে টোকিওতেই বসবে ২০২০ টোকিও অলিম্পিকের আসর। তবে এতেই জাপানজুড়ে অসন্তোষ, বিক্ষোভ, বিরোধীতা- অলিম্পিক গেমস আয়োজনের বিপক্ষে গোটা জাপান। তবে দেশের জনগণ না চাইলেও জাপান সরকার চায় অলিম্পিক আয়োজন করতে। একদিন আগে অলিম্পিক বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছে গেমসের অফিসিয়াল সহযোগী এবং জাপানের সবচেয়ে প্রভাবশালী পত্রিকা আসাই শিমবান।
দেশের জন সাধারণসহ অলিম্পিকের বিরোধিতাকারিদের কথা আমলেই নিচ্ছে না জাপান সরকার এবং অলিম্পিকের আয়োজক আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি)। জাপান সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চলমান স্টেট ইমার্জেন্সি (জরুরি অবস্থা) জারি থাকা কিংবা আরও বর্ধিত করা হলেও অলিম্পিক গেমস থাকবে নিরাপদ।
অলিম্পিক গেমসের সঙ্গে জড়িত জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সব পক্ষের সঙ্গেই সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে জাপান সরকার। একই সঙ্গে সবাইকে অবহিত করা হচ্ছে, করোনা মহামারিতেও গেমস থাকবে নিরাপদ। শুধু তাই নয়, চলমান জরুরি অবস্থা আরও বর্ধিত করা হলেও গেমসের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তায় কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না।
করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালে এক বছরের জন্য স্থগিত হয়ে যায় অলিম্পিক। আর এক বছর পরে ২০২১ সালে নির্ধারিত সময়েই শুরু হওয়ার কথা ছিল গেমসের। তবে এখানেই বিরোধিতা করছে জাপানের সর্বস্তরের জনগণ। বিভিন্ন জরিপে উঠে আসছে অধিকাংশ জাপানিই চায় না দেশটিতে আর অলিম্পিক আয়োজন হোক। এমনকি দেশব্যাপি ব্যাপকহারে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার পরেও নয়।
এদিকে করোনার প্রকোপে অলিম্পিক আয়োজনের শহর টোকিওসহ দেশটির প্রায় অধিকাংশ শহরেই জরুরি অবস্থা চলছে। আগামী ৩১ মে জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু জাপান সরকার চিন্তা করছে, এই অবস্থা আরও বাড়িয়ে নেওয়ার জন্য। কর্মকর্তারা বলছে, পুরো জুনেও জরুরি অবস্থা চলমান থাকতে পারে। ২৩ জুলাই পর্দা ওঠার কথা রয়েছে টোকিও অলিম্পিক গেমসের।
এদিকে এখন পর্যন্ত জাপানের মাত্র ৫ ভাগ লোক ভ্যাকসিনের আওতায় এসেছে। দেশটিতে মোট ৭ লাখ ১৯ হাজার করোনা আক্রান্ত রোগি পাওয়া গেছে। যার মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছে ১২ হাজার ৩৯৪ জন।
সারাবাংলা/এসএস
অলিম্পিক করোনাভাইরাস জাপান সরকার টোকিও অলিম্পিক টোকিও অলিম্পিক ২০২০