দুর্দান্ত ব্রাজিলে বিধ্বস্ত পেরু
১৮ জুন ২০২১ ০৯:০৮
ছন্দে থাকা ব্রাজিল আর নেইমারকে রুখতে পারল না পেরুও। কোপা আমেরিকার ম্যাচে পেরুর জালে আজ চারবার বল পাঠিয়েছে ব্রাজিল। ৪-০ গোলের জয়ে একটি করে গোল করেছেন নেইমার, আলেক্স সান্দ্রো, এভেরটন রিবেইরো ও রিচার্লিসন।
গতবার ব্রাজিল কোপা আমেরিকা জিতলেও নেইমার ছিলেন আলোচনার বাইরে। চোটের কারণে যে খেলতেই পারেননি ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় তারকা। দেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত এবারের কোপায় যেন সেই আক্ষেপটা ঘুচাতে মরিয়া নেইমার! কোপার শুরু থেকেই আছেন আগুনে ফর্মে।
চলতি আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ৩-০ গোলে জিতেছিল ব্রাজিল। তিন গোলের একটি নেইমার নিজে করেছিলেন, বাকি দুটি করিয়েছিলেন। আজ পেরুর বিপক্ষেও ছিলেন সপ্রতিভ। দুর্দান্ত এক গোল করার পাশাপাশি বাকি তিন গোলেও ছিল তার অবদান।
গত কোপা আমেরিকার ফাইনালে এই পেরুকে হারিয়েই শিরোপা জিতেছিল ব্রাজিল। এবার গ্রুপ পর্বের দেখাতেও পেরে উঠল না পেরু। প্রথমার্ধে অবশ্য ভালোই লড়াই করেছে দলটি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিলের আক্রমণ আর রুখতে পারেনি পেরু। দ্বাদশ মিনিটেই এগিয়ে যায় ব্রাজিল।
নেইমারের মাপা এক ক্রস ঠেকিয়ে দিলেও বল বিপদমুক্ত করতে পারেননি পেরুর ডিফেন্ডার, বল পেয়ে যান গ্যাব্রিয়েল বারবোসা। ফাঁকায় থাকা সান্দ্রোর উদ্দেশ্যে বল বাড়ালে তা থেকে গোল করতে ভুল করেননি সান্দ্রো। ২৫ মিনিটে ফাবিনিয়োর বুলেট গতির শট লক্ষ্যে থাকেনি। ৩৯ মিনিটে কর্নারের বিনিময়ে পেরুর আক্রমণ রুখে দেন ব্রাজিলের দানিলো। ছয় মিনিট পর আরেকটা সুযোগ পেয়েছিলেন সান্দ্রো। কিন্তু ডি-বক্সে মাথা থেকে নেওয়া তার শট লক্ষ্যে থাকেনি।
৬২ মিনিটে পেরুর বিপক্ষে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ডি-বক্সে নেইমারকে ফেলে দেন পেরু ডিফেন্ডার। তবে ভিএআরে পেনাল্টির সেই সিদ্ধান্ত বাতিল হয়ে যায়। ছয় মিনিট পরই নেইমার এই হতাশা ভুলিয়েছেন দারুণভাবে। ফ্রেদের পাস ধরে ডি-বক্সের বাইরে থেকে সামনে থাকা ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে দুর্দান্ত এক শটে বল জালে জড়িয়ে দেন পিএসজি তারকা। ব্রাজিলের গত চার ম্যাচের প্রতিটিতেই গোল পাওয়া নেইমারের জাতীয় দলের হয়ে গোল হয়ে গেল ৬৮টি। আর দশ গোল করতে পারলেই ব্রাজিলের সর্বকালের সেরা গোলদাতা বনে যাবেন তিনি।
৮৪ মিনিটে নেইমারের ফ্রি-কিক একটুর জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। ৮৯ মিনিটে তৃতীয় গোল পায় ব্রাজিল। নেইমারের শুরু করা দুর্দান্ত এক মুভে রিচার্লিনের পাস ধরে ব্যবধান ৩-০ করেন রিবেইরো। ম্যাচের যোগ করা সময়ে রিচার্লিসনকে দিয়ে গোল করিয়ে নিয়েছেন নেইমার। যাতে শেষ পর্যন্ত ৪-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ব্রাজিল। শেষ দিকে ফিরমিনো মিস না করলে ব্যবধান আরও বাড়তে পারত ব্রাজিলের।