শেষ ষোলোতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরে জার্মানির ইউরো যাত্রা থেমে যাওয়ার পর থেকেই শোনা যাচ্ছিল গুঞ্জনটা, জার্মানির জার্সিতে আর দেখা যাবে না টনি ক্রুসকে। গুঞ্জনটা সত্যিই হলো। জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়েছেন ৩১ বছর বয়সী তারকা মিডফিল্ডার।
শুক্রবার (২ জুলাই) নিজের ভেরিফাইড ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকেই নিজেই ঘোষণাটা দিয়েছেন জার্মানির হয়ে বিশ্বকাপ জেতা এই তারকা।
ক্রুস বলেন, ‘অনেক দিন ধরে ভেবেই আমি এই টুর্নামেন্ট শেষে বিদায় বলার সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছি। অনেক আগেই আমি বুঝতে পেরেছি, ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপে আমি খেলব না।’
২০১০ সালে জার্মান জাতীয় দলে অভিষেক হয় টনি ক্রুসের। এরপর থেকে দলের অন্যতম সেরা তারকা হয়ে ওঠেন ক্রুস। আর ২০১৪ সালের ব্রাজিলে জার্মানির বিশ্বকাপ জয়ে রাখেন বড় ভূমিকা। জার্মানির হয়ে মোট ১০৬টি ম্যাচ খেলেছেন ক্রুস আর নামের পাশে ১৭টি গোলের পাশাপাশি যোগ করেন ১৯টি অ্যাসিস্ট।
গত মঙ্গলবার শেষ ষোলোয় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরে বাদ পড়ে জার্মানি। গ্রুপ পর্বেও তাদের পারফরম্যান্স ছিল না আশানুরূপ। এর আগে ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকেও ছিটকে যেতে হয়েছিল তাদের। জার্মানির পারফরম্যান্স গ্রাফ ওঠা নামা করলেও ক্রুসের পারফরম্যান্সের দিকে ওঠেনি কখনো আঙুল। গেল মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদ শিরোপা শূন্য থাকলেও টনি ক্রুসের পাফরম্যান্স ছিল নজরকাড়া।
জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়ে ক্লাব ফুটবলে সম্পূর্ণ মনোযোগী হতে চান ক্রুস। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আগামী কয়েক বছরে আমি রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে লক্ষ্য অর্জনে মনোযোগ দিতে চাই। এখন আমি নিয়মিত বিরতিও নিব, জাতীয় দলের খেলোয়াড় হিসেবে ১১ বছরের ক্যারিয়ারে যা পাইনি। এখন আমি বাবা হিসেবে আমার সন্তানদের পাশে ও স্বামী হিসেবে স্ত্রীর পাশে আরও বেশি সময় থাকতে চাই। জাতীয় দলের এই জার্সি এত দীর্ঘ সময় ধরে পরতে পারাটা ছিল সম্মানের।’
আগামীতে দলের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন ক্রুস। আর নতুন কোচ হান্স ফ্লিককেও শভকামনা জানিয়েছেন তিনি।