কোহলির হলোটা কী
২৫ আগস্ট ২০২১ ২০:৫৭
বিরাট কোহলির হলোটা কী? একটা সময় সেঞ্চুরি কারাটা ডালভাত বানিয়ে ফেলেছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক। ২০১৯ সালে কলকাতায় দিবারাত্রীর টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে যখন সেঞ্চুরি করলেন কোহলির সেঞ্চুরি সংখ্যা গিয়ে ঠেকেছিল ৭০-এ। মনে হচ্ছিল, শচীন টেন্ডুলকারের সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি পেরিয়ে যাওয়া কোহলির সময়ের ব্যাপার মাত্র। কিন্তু আজ অবদি তার সেঞ্চুরি সংখ্যা সেই সত্তরেই থেমে আছে!
অর্থাৎ ২০১৯ সালের পর থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিন অঙ্কের দেখা পাননি ভারতীয় তারকা। সময়ের হিসেবে ২১ মাসের বেশি। ইনিংসের হিসেবে টানা ৫০ ইনিংস সেঞ্চুরিহীন কোহলি। ক্যারিয়ারে এর আগের লম্বা সেঞ্চুরিক্ষরা ছিল ২৫ ইনিংস, ২০১৪ সালে। এবারের ক্ষরা ইনিংসের হিসেব আগের চেয়ে ডাবল হয়ে গেছে।
এই ৫০ ইনিংসে ১৭টি ফিফটি করেছেন কোহলি। গড় ৪০.২৭। অথচ তিন ফরম্যাটেই তার ক্যারিয়ার গড় পঞ্চাশের বেশি, ওয়ানডেতে প্রায় ৬০। গত ৫০ ইনিংসে পাঁচবার আউট হয়েছেন শূন্য রানে। চলতি ইংল্যান্ড সিরিজের প্রথম টেস্টে নটিংহ্যামে ফিরেছিলেন শূন্য রানে। লর্ডস টেস্টের দুই ইনিংসে করেছেন ৪২ ও ২০ রান। লর্ডসের দ্বিতীয় ইনিংসে অফস্ট্যাম্পের বাইরের বল খোঁচা মেরে আউট হয়েছেন।
সম্প্রতি এই জায়গাতে বারবার আউট হচ্ছেন ভারতীয় তারকা। অফস্ট্যাম্পের বাইরের বলে খোঁচা মেরে স্লিপে ধরা পড়েছেন অনেকবার। পা থাকছে না জায়গায়। বিষয়টি নিয়েই বিরক্তিই প্রকাশ করলেন ভারতের সাবেক ব্যাটিং কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার।
বলেছেন, ‘টেস্টে কোহলি ৮ হাজারের ওপর রান করেছে। এটা সে নিশ্চয়ই একটা পদ্ধতি বা প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই করতে পেরেছে। ইদানীং দেখছি সে অফ স্টাম্পের বাইরের বলে আবারও খোঁচা দেওয়া শুরু করেছে। পা থাকছে এক জায়গায়, ব্যাট চলে যাচ্ছে আরেক জায়গায়। সে আসলে কী ভাবছে? সে অবশ্যই চায় রান করতে। কিন্তু ভাবনাতেই পার্থক্যটা তৈরি হয়ে যায় এক ব্যাটসম্যানের সঙ্গে অন্যজনের।’
শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নয়, কোহলিকে কোহলির মতো দেখা যায়নি গত আইপিএলেও। এপ্রিলে স্থগিত হওয়ার আগে আইপিএলে তেঁড়েফুড়ে ব্যাটিং করতে পারেননি ভারতীয় তারকা। চলতি ইংল্যান্ড সিরিজের পর আইপিএলের বাকি অংশ অনুষ্ঠিত হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। এই মধ্যে নিশ্চয় বড় ইনিংস খেলে আত্মবিশ্বাসী হতে চাইবেন কোহলি। আইপিএলের পরই যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
দুর্দান্ত একটা দল পেয়েও ভারতকে এখনো বড় কোনো শিরোপা জেতাতে পারেননি অধিনায়ক কোহলি। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে মনে করা হচ্ছে এই আক্ষেপ ঘুচানের বড় সুযোগ।