মেসি-নেইমার-এমবাপেদের সামনে রেনেঁর বিজয় উল্লাস
৩ অক্টোবর ২০২১ ২০:০১
ফরাসি লিগ ওয়ানে একটা ম্যাচ জিতে কেবলই তিনটা পয়েন্ট পেয়েছে রেনেঁ, এ আর তেমন কী! ম্যাচটা লিগের শেষ পর্যায়ে, বহু হিসেব-নিকেশের ম্যাচ তেমনটিও নয়। তবু ম্যাচ শেষে রেনেঁর ফুটবলারদের উল্লাস হলো দেখার মতো। কেউ কেউ হয়তো যৌক্তিকতা খুঁজেও পাচ্ছেন। জয়টা যে যেনতেন দলের বিপক্ষে নয়। ফরাসি লিগ ওয়ানে আজ পিএসজির বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতেছে রেনেঁ, যে দলটার হয়ে খেলেন লিওনেল মেসি, নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপের মতো বিশ্বের অন্যতম সেরা তিন ফুটবলার।
রোববার (৩ অক্টোবর) নিজেদের মাঠে প্রথমার্ধের আগে ও পরে হঠাৎ দুই আক্রমণে পিএসজিকে চমকে দিয়েছে রেনেঁ। স্মরণীয় জয়ে দলটার হয়ে একটা করে গোল করেছেন গেইতা লেবর্দি ও ফ্লেভিয়া তাইত।
চলতি লিগে পিএসজির এটা প্রথম হার। তবুও নয় ম্যাচের আটটিতেই জেতা পিএসজি ২৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে সবার ওপরে। নয় ম্যাচের তিনটিতে জেতা রেনে আছে টেবিলের আট নম্বরে।
পিএসজির একাদশে আজ যথারীতি মেসি, নেইমার, এমবাপে ছিলেন। সঙ্গে ডি মারিয়াকে নিয়ে ৪-২-৩-১ ফরমেশনে একাদশ সাজান পিএসজি কোচ মাওরিসিও পচেত্তিনো। ফেভারিট পিএসজি ৬৭ শতাংশ বল দখলে রেখেছিল। কিন্তু ফুটবলের যে আসল কাজ গোল করা সেটাতে পুরোপুরি ব্যর্থ মেসি-নেইমার-এমবাপেরা। শুধু গোল করা নয়, আজ লক্ষ্যে একটা শটও নিতে পারেনি পিএসজি! যে দলে মেসি-নেইমার-এমবাপের তিন ফুটবলার আছে তাদের জন্য এই পরিসংখ্যান বড্ড লজ্জারই। ১০টি শট নিয়েছিল পিএসপির ফুটবলাররা যার কোনটিই ছিল না লক্ষ্যে।
ষষ্ঠ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে ক্ষিপ্র গতিতে বক্সে ঢুকে পড়েন এমবাপে। তবে শট নেওয়ার আগেই ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যান ফরাসি তরুণ। ২৩ মিনিটে নেইমার সুবিধাজনক স্থানে বল পেয়েছিলেন, সামনে ছিলেন কেবল গোলরক্ষক। কিন্তু উড়িয়ে মেরে সুযোগ নষ্ট করেছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। ২৫ মিনিটে মেসির দারুণ পাস ধরেও উড়িয়ে মেরে সুযোগ হারিয়েছেন এমবাপে।
৩১ মিনিটে গোলবঞ্চিত হন মেসি। ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া তার ফ্রি-কিক ক্রসবারে প্রতিহত হয়। পিএসজির জার্সিতে এ নিয়ে তিনবার মেসির শট ক্রসবারে বা পোস্টে লেগে প্রতিহত হলো। ৪৫ মিনিটে খেলার ধারার বিপরীতে এগিয়ে যায় রেনেঁ। কামালদিন সুলেমানের বাঁদিক থেকে বাড়ানো ক্রস ধরে নিখুঁত এক শটে বল জালে জড়িয়ে দেন দলটির গেইতা লেবর্দি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আরেকটা গোল করে পিএসজিকে ভড়কে দেয় রেনেঁ। হঠাৎ উঠা আক্রমণে বক্সে বল পেয়ে জোড়ালো শটে স্কোরলাইন ২-০ করেন ফ্লেভিয়া তাইত। ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর গোলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে পিএসজি। ৬৮ মিনিটে বল জালে জড়িয়েছিলেন এমবাপে। কিন্তু অফসাইডের জন্য তা বাতিল হয়েছে।
৭৯ মিনিটে নেইমারকে উঠিয়ে মাউরো ইকার্দিকে মাঠে নামান পিএসজি কোচ। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। ৮২ মিনিটে উল্টো আরেকটা গোল হজম করতে হতো পিএসজিকে। ডি-বক্সে লেবার্দিকে ফেলে দিয়েছিলেন আশরাফ হাকিমি। পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি। পরে ভিএআরে সিদ্ধান্ত পাল্টান তিনি। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের হতাশার হার নিয়েই মাঠ ছেড়েছে পিএসজি।