বার্সেলোনার প্রথম জয়ের রাতে বায়ার্নের আরেকটি গোল উৎসব
২১ অক্টোবর ২০২১ ০৯:০৭
অবশেষে চ্যাম্পিয়নস লিগে জয়ের দেখা পেল বার্সেলোনা। টুর্নামেন্টের প্রথম দুই ম্যাচে শোচনীয় হারের পর ঘরের মাঠ ক্যাম্প ন্যুতে ডায়নামো কিয়েভের বিপক্ষে জেরার্ড পিকের একমাত্র গোলে জয় পেল কাতালান ক্লাবটি। অন্যদিকে ১৪ মিনিটের ঝড়ে বেনফিকার জালে চার গোল জড়িয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ।
লা লিগায় গত রোববার ভালেন্সিয়াকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে দুই ম্যাচ পর জয়ের দেখা পাওয়া বার্সেলোনার সামনে দ্বিতীয় মিনিটেই আসে দারুণ সুযোগ। বাঁ দিক থেকে জর্দি আলবার দূরের পোস্টে বাড়ানো ক্রসে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি সার্জিনো ডেস্ট।
১৮তম মিনিটে হাতছাড়া হয় আরেকটি সুবর্ণ সুযোগ। স্বদেশি মেমফিস ডিপাইয়ের ফ্রি কিকে ১০ গজ দূর থেকে বাইরে হেড করেন এই মৌসুমে সেভিয়া থেকে ধারে আসা ডাচ ফরোয়ার্ড লুক ডি ইয়ং। এরপর ৩৫তম মিনিটে ভালো পজিশনে বল পেয়ে গোলরক্ষক বরাবর শট মেরে হতাশ করেন যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্ডার ডেস্ট। পরের মিনিটেই আরেক ডিফেন্ডারের গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। আলবার দারুণ ক্রসে কাছ থেকে ভলিতে বল জালে পাঠান পিকে।
দ্বিতীয়ার্ধে ৫৩তম মিনিটে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিলেন ফাতি। বুশচান পজেশন হারালে আলগা বল পেয়ে মেমফিস পাস দেন তরুণ ফরোয়ার্ডকে। তার ওভারহেড কিক লক্ষ্যে থাকেনি। ৭১তম মিনিটে একটি সুযোগ পান কুতিনিহো। ফাতির ক্রসে প্রথম স্পর্শে এই ব্রাজিলিয়ানের শট উড়ে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে।
শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হওয়ায় জেরার্ড পিকের করা একমাত্র গোলে এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথম জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা।
এদিকে গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বার্সেলোনাকে ৩-০ আর ডায়নামো কিয়েভকে ৫-০ গোলের ব্যবধানে উড়িয়ে দেওয়া বায়ার্ন তৃতীয় ম্যাচে বেনফিকাকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে। বায়ার্নের হয়ে জোড়া গোল করেন লেরয় সানে, একটি রবার্ট লেভান্ডোফস্কি আর অন্যটি প্রতিপক্ষের আত্মঘাতী।
ম্যাচের নবম মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি লেভান্ডোফস্কি। কিংসলে কোম্যানের ক্রস থেকে পোলিশ স্ট্রাইকারের শট ব্যর্থ করে দেন বেনফিকার গোলরক্ষক। ৩২তম মিনিটে প্রথম সেভ করেন বায়ার্ন গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যার। ডি বক্সের ভেতর থেকে দারউইন নুনেসের শটে এক হাতে বল ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠান তিনি।
বিরতির আগে কোমানের ক্রসে কাছ থেকে বল জালে পাঠিয়ে উৎসবে মাতেন লেভা। তবে ভিএআরের সাহায্যে হ্যান্ডবলের বাঁশি বাজান রেফারি। লেভার হাতেই লেগেছিল বল।
দ্বিতীয়ার্ধের অষ্টম মিনিটে কাছ থেকে বল জালে পাঠান থমাস মুলার। এবারও গোল মেলেনি। বিল্ড-আপের সময় অফসাইডে ছিলেন কোম্যান। পরের মিনিটে নয়্যারের আরেকটি দারুণ সেভ। নিক গনসালেসের শট এক হাতে ঠেকান তিনি।
তবে আর বেশি সময় বায়ার্নকে আটকে রাখতে পারনেই বেনফিকা। ৭০তম মিনিটে ২৫ গজ দূর থেকে অসাধারণ ফ্রি কিকে বায়ার্নকে এগিয়ে নেন সানে। ৮০তম মিনিটে বেনফিকার এভেরটনের ওই আত্মঘাতী গোল। পরের চার মিনিটে স্বাগতিকদের জালে আরও দুবার বল পাঠায় সফরকারীরা। লেভান্ডোফস্কি ব্যবধান বাড়ানোর পর নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন সানে। এতেই ৪-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছারে বায়ার্ন।
গ্রুপ ‘ই’তে তিন ম্যাচে তিন জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বায়ার্ন। ৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে বেনফিকা। বার্সেলোনা ৩ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে আছে। ডায়নামো কিয়েভ ১ পয়েন্ট নিয়ে আছে তলানিতে।
সারাবাংলা/এসএস
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ বার্সেলোনা বনাম ডায়নামো কিয়েভ বেনফিকা বনাম বায়ার্ন মিউনিখ