পরিসংখ্যানে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া
১৩ নভেম্বর ২০২১ ১২:১৮
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর্দা নামছে ১৪ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের ফাইনালের মধ্য দিয়ে। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে এখনো বিশ্বকাপ জেতা হয়নি এই দুই দলের। অর্থাৎ এবার ক্রিকেট বিশ্ব পেতে যাচ্ছে নতুন এক চ্যাম্পিয়নকে।
টি-টোয়েন্টিতে এবারই প্রথম হলেও দুই দল ২০১৫ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে লড়েছিল একে অন্যের বিপক্ষে। নিউজিল্যান্ড প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে অন্যদিকে ২০১০ সালের পর প্রথম ফাইনাল খেলছে অস্ট্রেলিয়া। সেবার অজিরা ফাইনালে হেরেছিল ইংল্যান্ডের কাছে।
ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণের বিশ্বকাপে এর আগে দুইবার সেমিফাইনালের বাধা পেরোতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। ২০০৭ এবং ২০১৬ সালে শেষ চারে উঠেছিল। ২০০৯, ২০১০, ২০১২ সালে গ্রুপ পর্বের বাধা টপকে সুপার এইটে উঠেছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু তারপর আর এগোতে পারেনি। ২০১৪ সালে প্রথম রাউন্ডেই ছিটকে যায় ব্ল্যাক ক্যাপসরা।
এদিকে, ২০১০ সালে ফাইনাল বাদে ২০০৭ এবং ২০১২ সালে দু’বার সেমিফাইনালে খেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। ২০০৯ সালে তারা প্রথম রাউন্ডেই ছিটকে যায়। সেটাই ছিল এই ফরম্যাটে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বাজে পারফরম্যান্স। ২০১৪ এবং ২০১৬ সালে সুপার-১০ রাউন্ড থেকে ছিটকে যায় অস্ট্রেলিয়া।
এবার দুই দলের মুখোমুখি পরিসংখ্যানের দিকে নজর দিলে সেখানে দেখা মেলে সব ফরম্যাট মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়া বেশ এগিয়েই আছে কিউইদের চেয়ে। টেস্ট ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড মুখোমুখি হয়েছে ৬০ বার, ওডিআই ১৩৭ বার, টি-টোয়েন্ট ১৪ বার।
সাদা পোষাকের ক্রিকেটে কিউইদের ৩৪বার পরাজয়ের স্বাদ দিয়েছে অজিরা, বিপরীতে নিউজিল্যান্ডের জয় মাত্র ৮টিতে। ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়া ৯২টি জয়ের বিপরীতে নিউজিল্যান্ডের জয় ৩৯টি ম্যাচে। আর টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার ৯টি জয় এবং নিউজিল্যান্ড জিতেছে ৫টিতে।
আইসিসি আয়োজিত ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণে এখন পর্যন্ত সাতটি আসর আয়োজিত হয়েছে। সেখানে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পাঁচটি দেশ। দুবার আসরের শিরোপা জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। একবার করে ট্রফি ঘরে তুলেছে ভারত, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড ও শ্রীলংকা। এবার মুখোমুখি নিউজিল্যান্ড খেলছে প্রথম ফাইনাল। অন্যদিকে দ্বিতীয়বার ফাইনালে উঠে এই ফরম্যাটের শিরোপা ঘোচানোর লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়া।
গত বছর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও উঠেছিল দলটি। ভারতকে হারিয়ে শিরোপাও জিতেছে। কিন্তু তার আগে ওয়ানডে বিশ্বকাপের উঠেও হতাশ হতে হয়েছিল ইংল্যান্ডের কাছে। বিতর্কিত নিয়মের ফাঁকে ইংল্যান্ডের কাছে শিরোপা স্বপ্ন বিসর্জন দিতে হয়েছিল কিউইদের। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পূর্বের একটা হিসাব চুকানোর তাড়াও হয়তো থাকবে নিউজিল্যান্ডের।
২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের মতো ২০১৫ বিশ্বকাপেও ফাইনালে উঠেছিল নিউজিল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের যৌথ আয়োজনে ওই বিশ্বকাপের পুরো সময়টাই দুর্দান্ত খেলে নিউজিল্যান্ড। কিন্তু ফাইনালে গিয়ে হারতে হয় অজিদের কাছে।
নিউজিল্যান্ড সেই বেদনার ‘প্রতিশোধ’ নিতে পারবে নাকি দুঃখ আরও বাড়বে উত্তর মিলবে ১৪ নভেম্বর। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়।
ভারতের আয়োজনে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এবারের বিশ্বকাপের সবকটি ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করবে দেশের জনপ্রিয় স্যাটেলাইট চ্যানেল জিটিভি। এছাড়াও বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম র্যাবিটহোলের ওয়েবসাইটে দেখা যাবে বিশ্বকাপের খেলা। অনলাইনে র্যাবিটহোলে খেলা দেখতে ব্রাউজ করুন— https://www.rabbitholebd.com/
সারাবাংলা/এসএস
অস্ট্রেলিয়া বনাম নিউজিল্যান্ড টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পরিসংখ্যান ফাইনাল