রিজওয়ানের রেকর্ডের রাতে পাকিস্তানে বিধ্বস্ত উইন্ডিজ
১৪ ডিসেম্বর ২০২১ ১১:০৯
রেকর্ড গড়েছিলেন আগেই। এবার ছাড়িয়ে যাওয়ার পালা নিজেকেই। দিনের পর দিন নিজেকে নিয়ে যাচ্ছেন অনন্য এক উচ্চতায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাকিস্তানের উদ্বোধনী ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান ২০২১ সালে টি-টোয়েন্টিতে রান ছুঁয়েছেন এক হাজার দুইশ রান। তার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে প্রথম টি-টোয়েন্টিয়ে উইন্ডিজকে ৬৩ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান।
রিজওয়ানের রেকর্ড গড়ার রাতে নতুন এক রেকর্ড ছুঁয়েছে পাকিস্তানও। টি-টোয়েন্টিতে এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জয়ের রেকর্ড গড়েছে বাবর আজমের দল। উইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিতে নতুন উচ্চতায় পা রাখে পাকিস্তান। এই বছর টি-টোয়েন্টিতে তাদের এটি ১৮তম জয়। এক বছরে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জয়ের রেকর্ডে পাকিস্তান ছাড়িয়েছে নিজেদেরই। ২০১৮ সালে তাদের ১৭ জয় ছিল আগের রেকর্ড। তালিকায় তৃতীয় নামটি দেখে চমকে উঠতে পারেন অনেকে। এই বছর ১৬টি ম্যাচ জিতে রেকর্ডে উঠে গেছে উগান্ডার নাম!
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) ৬৩ রানে জিতেছে পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২০০ রান করে পাকিস্তান, জবাবে এক ওভার বাকি থাকতে মাত্র ১৩৭ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস।
করাচিতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই অধিনায়ক বাবর আজমকে হারায় পাকিস্তান। দলীয় এক রানের মাথায় ব্যক্তিগত রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন বাবর। এরপর ফখর জামান মাত্র ১০ রান করে ফেরেন দলীয় ৩৫ রানের মাথায়। এরপর ১০ চারে ৫২ বলে ৭৮ রান করেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে স্বপ্নের মতো একটি বছর কাটাচ্ছেন রিজওয়ান। বাবরের সঙ্গে ১০৫ রানের জুটি গড়া হায়দার আলী চার ছক্কা ও ছয় চারে ৩৯ বলে ৬৮ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলেন।
এরপর শেষ মোহাম্মদ ১০ বলে ৩০ রানের ক্যামিওতে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২০০ রানে।
২০১ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে নিয়মিত উইকেট হারানো ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে ছিল না কখনোই। দ্বিতীয় ওভারে আক্রমণে এসে প্রথম বলেই ব্র্যান্ডন কিংকে ফিরিয়ে দেন নওয়াজ। এরপর অধিনায়ক নিকোলাস পুরানকে বোল্ড করার পর ডেভন টমাসকে এলবিডব্লিউ করে দেন ওয়াসিম। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সবচেয়ে লম্বা বিরতিতে টি-টোয়েন্টি খেলার রেকর্ড গড়ার ম্যাচে টমাস করেন কেবল ২। তার দুই ম্যাচের মধ্য ক্যারিবিয়ানরা খেলেছে ১০২ টি-টোয়েন্টি। ৮৫ ম্যাচ ‘মিস’ করে রেকর্ড ছিল ফিদেল এডওয়ার্ডসের।
৪০ রানে ৩ উইকেট হারানোর ধাক্কা সামাল দেওয়ার আগেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিপদে ফেলে দেন শাদাব। সর্বোচ্চ ৩১ রান করা শেই হোপকে এলবিডব্লিউ করার পর শামার ব্রুকস ও রভম্যান পাওয়েলের উইকেট নেন এই লেগ স্পিনার। শেষের দিকে রোমারিও শেফার্ড ও ওডিন স্মিথের ব্যাটে পরাজয়ের ব্যবধান কমায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন মোহাম্মদ ওয়াসিম। তিন উইকেট নেন শাদাব খান আর একটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ নেওয়াজ, হারসি রউফ এবং শাহিন শাহ আফ্রিদি। একই মাঠে মঙ্গলবার সিরিজ নিশ্চিত করার লড়াইয়ে নামবে পাকিস্তান।
সারাবাংলা/এসএস