Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

লক্ষ্য ঠিক করে বলেছিলাম আমরা পারবোই: ইবাদত

স্পোর্টস ডেস্ক
৫ জানুয়ারি ২০২২ ০৭:১০

একা হাতেই নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামিয়েছিলেন ইবাদত হোসেন। মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের চতুর্থ দিনে ইবাদত ১৭ ওভারে ৩৯ রানে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আরাধ্য টেস্ট জয়ের স্বপ্ন দেখার শুরু সেখান থেকেই। এরপর পঞ্চম দিনে আরও দুই উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডকে মাত্র ১৬৯ রানে গুটিয়ে দিলেন ইবাদতরা। এতেই জয়ের জন্য বাংলাদেশের সামনে মাত্র ৪০ রানের লক্ষ্য। হেসেখেলেই জয় এলো ৮ উইকেটের। অগ্নিঝরা বোলিংয়ের জন্য ম্যাচ সেরার পুরষ্কার উঠলো ইবাদত হোসেনের হাতে। আর ঐতিহাসিক জয়ের পর ইবাদত জানালেন, ২১ বছরের আক্ষেপ ঘুচানোর জন্য লক্ষ্য ঠিক করেছিলেন আগেই। আর নিজেদের বলেছিলেন হ্যাঁ! আমরা পারবোই।

রেকর্ডের পাতায় ইবাদত

মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক ইবাদত হোসেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ছয় উইকেট নিয়ে একাই ধসিয়েছেন কিউই ব্যাটিং লাইনআপ। তার অগ্নিঝরা বোলিংয়ের সঙ্গে তোপ হিসেবে যুক্ত হন তাসকিন আহমেদ। তিনি নেন তিনটি উইকেট। দুর্দান্ত বোলিং করে দলের জয় এনে দেওয়া ইবাদত ম্যাচ সেরার পুরষ্কার পেয়েছেন। কিন্তু নিজের এই অর্জনের চেয়ে তার কাছে দেশের হয়ে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথম জয়টাই বড়। সেটাই ম্যাচ সেরার পুরষ্কার গ্রহণ করতে গিয়ে জানালেন ইবাদত।

ইবাদত বলেন, ‘প্রথমত, আল্লহর অনেক শুকরিয়া। আর দ্বিতীয়ত, নিউজিল্যান্ডে আমাদের ভাইয়েরা, আমাদের দল গত ২১ বছর ধরে খেলতে আসছে কিন্তু কখনো জয় পায়নি। তাই আমরা একটা লক্ষ্য ঠিক করেছিলাম। আমরা নিজেদের আত্মবিশ্বাস যুগিয়েছিলাম, আর বলেছিলাম, হ্যাঁ! আমরা পারবোই। আমাদের নিউজিল্যান্ডকে তাদের মাটিতে হারাতেই হবে। তারা টেস্টের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন, তাদের হারাতে পারলে আমাদের পরবর্তী উৎসাহ সাহস পাবে।’

কিউইদের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে নামার আগেও তার টেস্ট দলে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে চলছিল সমালোচনা। কিন্তু এই ইনিংসে বল হাতে জ্বলে উঠে নিভিয়ে দিলেন সমালোচনার সব আগুন। তার বোলিংয়ের উন্নতির কারণেই বাংলাদেশের ঐতিহাসিক এই জয়। নিজের বোলিংয়ের এমন উন্নতির পেছনে জানালেন কঠোর পরিশ্রমের কথা, সেই সঙ্গে দেশের ফ্ল্যাট উইকেটে খেলার কারণটাও ভালো না করার অন্যতম কারণ সেটাও জানালেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘শেষ দুই বছর ধরে আমি ওটিস গিবসনের (বাংলাদেশের বোলিং কোচ) সঙ্গে কাজ করছি। আসলে আমাদের দেশে ফ্ল্যাট পিচে খেলা হয়, তাই সেখানে রিভার্স সুইং করাটা কঠিন। আমরা এখনো শিখছি কীভাবে রিভার্স সুইং করানো যায়। আমি টপ স্টাম্প আঘাত করার চেষ্টা করেছি। আমার সাফল্যের জন্য কিছুটা সময়ের দরকার ছিল আর ধৈর্য্যের পরেই পেয়েছি এই সাফল্য।’

ক্রিকেটে নাম লেখানোর আগে ইবাদত হোসেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর গর্বিত এক সদস্য ছিলেন। সেখান থেকে খেলেছেন ভলিবলও, এরপর নাম লেখান ক্রিকেটে। প্রতিটি উইকেট নেওয়ার পর স্যালুট দেওয়ার পেছনের কারণটা জানালেন বিমান বাহিনীর গর্বিত সদস্য ইবাদত। তিনি ভালো করেই জানেন কীভাবে স্যালুট দিতে হয়। ‘আমি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর গর্বিত এক সদস্য। আমি জানি কীভাবে স্যালুট দিতে হয়। এটা অনেক দীর্ঘ এক কাহিনী, ভলিবল থেকে ক্রিকেটে আসা। আমি ক্রিকেটে আনন্দ পাচ্ছি।’—যোগ করেন ইবাদত হোসেন।

সারাবাংলা/এসএস

ইবাদত হোসেন টপ নিউজ নিউজিল্যান্ড বনাম বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর