বিজ্ঞাপন

রেকর্ডের পাতায় ইবাদত

January 5, 2022 | 6:17 am

স্পোর্টস ডেস্ক

আশা জাগিয়েছিলেন মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের চতুর্থ দিনে ইবাদত ১৭ ওভারে  ৩৯ রানে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। পঞ্চম দিনের দ্বিতীয় ওভারে পঞ্চম বাংলাদেশি পেসার হিসেবে গড়লেন পাঁচ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড। রস টেইলরের উইকেট নিয়ে পাঁচ উইকেট শিকারিদের ক্লাবে নাম লেখালেন এই টাইগার পেসার।

বিজ্ঞাপন

৯ বছর পর কোনো বাংলাদেশি পেসার পেলেন টেস্টে পাঁচ উইকেট পাওয়ার স্বাদ। আর মাত্র ৫ম বাংলাদেশি পেসার হিসেবে এই রেকর্ড গড়লেন ইবাদত হোসেন। তার আগে শেষবার রবিউল ইসলাম নিয়েছিলেন পাঁচ উইকেট। ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ের হারারেতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ৭১ রানে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট।

এরপর ২০২২ সালে এসে অপেক্ষার পালা শেষ করলেন ইবাদত। আর রুবেল হোসেনের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি পেসার হিসেবে টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের মাটিতেই পাঁচ উইকেট শিকার করলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১৯ ওভারে ৪ মেইডেনে ৪৬ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়ে রেকর্ড গড়েন ইবাদত।

২০১০ সালে হ্যামিল্টনে ১৬৬ রান দিয়ে রুবেল হোসেন নিয়েছিলেন পাঁচ উইকেট। এরপর ১১ বছরের অপেক্ষা শেষে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে ইবাদত হোসেন নিলেন কিউইদের ছয় উইকেট।

বিজ্ঞাপন

মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে চতুর্থ দিনে চার উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং অর্ডার ধসিয়ে দিয়েছিলেন ইবাদত হোসেন। তার আগুন ঝরা বোলিংয়েই কিউইদের মাঠে প্রথম জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে বাংলাদেশ। পঞ্চম দিনে এসে দ্বিতীয় ওভারেই রস টেইলরকে বোল্ড করে ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম পাঁচ উইকেট পূর্ণ করলেন টাইগার এই পেসার।

পঞ্চম দিনের দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলটি করলেন গুড লেন্থে। রস টেইলরের ব্যাট এবং প্যাডের মাঝখানের ফাঁকা জায়গা গলিয়ে স্টাম্প ভাঙলো বল। ১০৪ বলে ৪০ রান করে ফিরতে হলো রস টেইলরকে। ১৫৪ রানে নিউজিল্যান্ড হারালো ষষ্ঠ উইকেট। এরপর উইকেটে আসেন কাইল জেমিসন। তাকেও বেশি সময় টিকতে দেননি ইবাদত। ৬৭তম ওভারের শেষ বলে ফ্লিক করেছিলেন জেমিসন। আর বাতাসে ভাসতে থাকা বল ঝাঁপিয়ে পড়ে লুফে নেন শরিফুল। এতেই ১৬০ রানে ৭ম উইকেট হারায় কিউইরা। এটি ইবাদতের ষষ্ঠ শিকার।

বিজ্ঞাপন

এর আগে চতুর্থ দিনে ডেভন কনওয়েকে নিজের প্রথম শিকারে পরিণত করেন ইবাদত। ইনিংসের ২৪.২ ওভারে ইবাদতের করা গুড লেন্থের বলটি ইনসাইড এজ হয়ে গালিতে থাকা সাদমানের হাতে বন্দি হয় কনওয়ে। কিউইরা ৬৩ রানে হারায় দ্বিতীয় উইকেট। প্রথম ইনিংসে শতক হাঁকানো কনওয়ে ৪০ বলে ফেরেন ১৩ রান করে। এরপরে প্রতিরোধ গড়েন উইল ইয়ং এবং রস টেইলর। তৃতীয় উইকেটে ইয়ং এবং রস টেইলরের জুটি থেকে আসে ৭৩ রান। ৫৪তম ওভারে এসে ইয়ংয়ের উইকেট তোলার মধ্য দিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় বাংলাদেশ। দারুণ এক বলে ইয়ংকে বোল্ড করেন ইবাদত। তখন নিউজিল্যান্ড ৬ রানের লিড পেয়েছে। ১৭২ বলে ৬৯ রান করে ইয়ং ফিরলে শুরু হয় ইবাদতের ধ্বংসলীলা।

ওই ওভারের ৫ম বলে হেনরি নিকোলসের উইকেট উপড়ে ফেলেন টাইগার এই পেসার। নিউজিল্যান্ড ১৩৬ রানেই হারায় চতুর্থ উইকেট। এরপর এক ওভারের বিরতির পর আবারও বল হাতে আগুন ঝরাতে আসেন ইবাদত। ৫৬তম ওভারের তৃতীয় বলে টম ব্লান্ডেলকে এলবিডাব্লিউ করেন তিনি। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ১৩৬ রানে ২ উইকেট থেকে ১৩৬ রানে ৫ উইকেটে পরিণত হয় নিউজিল্যান্ড। ইবাদতের নামের পাশে যুক্ত হয় চার চারটি উইকেট।

এরপর এক রাতের অপেক্ষা! পঞ্চম দিনের দ্বিতীয় ওভারে রেকর্ড বইয়ে নাম তোলেন ইবাদত।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএস

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন