বিজ্ঞাপন

ইবিতে সিন্ডিকেট সভা কাল, চূড়ান্ত হচ্ছে ‘ঝুলে থাকা’ বিভিন্ন নিয়োগ

May 18, 2024 | 11:08 pm

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট

কুষ্টিয়া: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২৬৩তম সিন্ডিকেট সভা আগামীকাল রোববার (১৯ মে) বিকেল ৪টায় উপচার্যের বাসভবনে অনুষ্ঠিত হবে। এতে দীর্ঘদিন ‘ঝুলে থাকা’ বিভিন্ন পদের নিয়োগ চূড়ান্ত করা হবে। সিন্ডিকেট সদস্যদের দেওয়া চিঠিতে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় উল্লেখ না থাকলেও ‘টেবিল এজেন্ডা’ হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হচ্ছে বলে জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের সভাপতিত্বে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যাক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান সহ সিন্ডিকেট সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।

রেজিস্ট্রার দফতর সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের পদোন্নয়ন বোর্ড অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩৭ কোটি টাকার মেগাপ্রকল্পে সোয়া ৬ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন খোলা হবে। এ ছাড়া সর্বশেষ বিভিন্ন পদে ১৩ জনের (প্রকৌশলী, অফিস সহকারী, মালি ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী) নিয়োগর সুপারিশ করে নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ড। এসব বিষয়ে সিন্ডিকেট সভায় চূড়ান্ত করা হবে। নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়টি সিন্ডিকেট সদস্যদের দেওয়া চিঠিতে এজেন্ডা হিসেবে উল্লেখ নেই বলে জানান এক সিন্ডিকেট সদস্য। এদিকে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, সিন্ডিকেট সদস্যদের দেওয়া চিঠিতে নিয়োগের বিষয়টি না থাকলেও টেবিল এজেন্ডা হিসেবে নিয়োগের বিষয়টি উত্থাপিত হবে।

এদিকে, সম্প্রতি ইউজিসি তদন্ত প্রতিবেদনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে। এর পরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি নিয়োগ বোর্ড স্থগিত করা হয়। নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগের মাঝেই ফের সিন্ডিকেটে নিয়োগ চূড়ান্তকরণের বিষয়টি নিয়ে ক্যাম্পাসে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। সচেতন শিক্ষক-কর্মকর্তারা উপাচার্যের নিয়োগ সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগ স্থগিত রাখার দাবি জানান।

বিজ্ঞাপন

বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিটের সভাপতি অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, দুর্নীতি অনিয়ম প্রমাণের পরেও নিয়োগ দিতে প্রশাসন উঠেপড়ে লেগেছে। এটা আদর্শিক কাজ হতে পারে না।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান বলেন, ‘নিয়োগ প্রদানের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আগানো শ্রেয়।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্র্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/একে

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন