২ লাল ও ৫ হলুদ কার্ডে ম্যাচে পয়েন্ট ভাগাভাগি ব্রাজিল ও ইকুয়েডরের
২৮ জানুয়ারি ২০২২ ১২:৩৭
দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ব্রাজিল ও ইকুয়েডরের মধ্যকার ম্যাচটিতে মনে রাখার মতো নান্দনিক ফুটবলের প্রদর্শনী ছিল না। তবে দুটি লাল ও ৫টি হলুদকার্ডের ১০২ মিনিটের ম্যাচ ভক্তদের মনে জায়গা করে নেবে রেসলিং প্রদর্শনীর জন্য। দুই দল মিলে পুরো ম্যাচে ফাউল করেছে ৩২টি। ভিডিও অ্যাসিস্টেন্ট রেফারি (ভিএআর) না থাকলে লালকার্ডের সংখ্যা আরও বাড়তে পারত।
ইকুয়েডরের রাজধানী কিটোয় বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়। ম্যাচের ৬ মিনিটের মাথায় সফরকারী ব্রাজিলকে এগিয়ে দেন কাসেমিরো। ৭৬ মিনিটে স্বাগতিকদের সমতায় ফেরান ফেলিক্স তরেস।
ম্যাচ রেফারিকে পাশ কাটিয়ে পুরো ম্যাচে ভিএআর ছিল দুর্দান্ত ভূমিকায়। ম্যাচের দুটি লাল কার্ডই এসেছে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে। আবার ব্রাজিল গোলরক্ষক আলিসন লালকার্ড দেখেও বেঁচে গেছেন ভিএআরের কল্যাণে। ইকুয়েডরের পক্ষে দুটি পেনাল্টির সিদ্ধান্তও বদলে গেছে ভিএআর প্রযুক্তির কারণে।
ম্যাচের শুরুতেই বাজে ফাউলে হলুদ কার্ড দেখেন ব্রাজিলের এমেরসন। ২০তম মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন এই ডিফেন্ডার। এর আগে ইকুয়েডরের আলেক্সান্ডার ডমিংগুয়েজ ১৫ মিনিটে লালকার্ড দেখেন। দুই দলই পরিণত হয় ১০ জনের দলে।
ম্যাচের ২৬তম মিনিটে লালকার্ড দেখেন ব্রাজিল গোলরক্ষক অ্যালিসন। প্রতিপক্ষের পাল্টা আক্রমণ রুখতে ডি-বক্স থেকে বের হয়ে শট নেন আলিসন। তার পা লাগে প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের মাথায়। প্রথমে রেফারি লালকার্ড দেখালেও ভিএআর দেখে সিদ্ধান্ত পাল্টান।
নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে ৫ মিনিট অতিরিক্ত সময় নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু সেই ৫ মিনিট শেষ হয় ১২ মিনিটে। আবারও অ্যালিসন পাঞ্চ করে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের মিডফিল্ডার প্রেসিয়াদোর মুখে আঘাত করে বসেন। অ্যালিসনকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। পেনাল্টি পায় ইকুয়েডর। তবে সফরকারীদের প্রতিবাদের মুখে দীর্ঘক্ষণ ভিএআরে দেখে দুটি সিদ্ধান্তই পাল্টান রেফারি।
লাতিন আমেরিকা থেকে সবার আগে কাতারের টিকেট নিশ্চিত করা ব্রাজিল ১৪ ম্যাচে ১১ জয় ও তিন ড্রয়ে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে আছে শীর্ষে। ১৫ ম্যাচে সাত জয় ও তিন ড্রয়ে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে একুয়েডর। ব্রাজিলের সমান সংখ্যক ম্যাচ থেকে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আর্জেন্টিনা।
সারাবাংলা/এএম