দক্ষিণ আফ্রিকাতেও ম্যাচ জেতা সম্ভব: তাসকিন
১০ মার্চ ২০২২ ১৬:৫২
একদিন পরই দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ানডে ও টেস্ট সিরিজ খেলতে রওনা দিবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। তার আগে গত নিউজিল্যান্ড সফরের টেস্ট জয়টা আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের। নিউজিল্যান্ডে পারলে দক্ষিণ আফ্রিকায় কেন নয়? তাসকিন আহমেদ বললেন, দক্ষিণ আফ্রিকাতে ম্যাচ জেতার সমর্থ আছে এই বাংলাদেশের।
২০০২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকায় ৬টি টেস্ট, ৯টি ওয়ানডে ও ৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। তাতে জয়ের খাতায় শূন্য। কোনও ফরম্যাটেই দেশটিতে গিয়ে জিততে পারেনি টাইগাররা। একই বিষয় ছিল নিউজিল্যান্ডের ক্ষেত্রেও। গত জানুয়ারীতে সেই আক্ষেপ ঘুচিয়েছে বাংলাদেশ।
মুমিনুল হকের নেতৃত্বে নিউজিল্যান্ডকে তাদের মাটিতেই হারিয়ে এসেছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিমান ধরার আগে সেটি বেশ আত্মবিশ্বাসী করছে মুমিনুল, তামিম, মুশফিক, তাসকিনদের।
বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঐচ্ছিক অনুশীলনের ফাঁকে তাসকিন সাংবাদিকদের বলছিলেন, ‘নিউজিল্যান্ড সফরও চ্যালেঞ্জিং ছিল। মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট জয় আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। এছাড়া আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে মিরাজ ও আফিফ যেভাবে ম্যাচ জেতাল। কঠিন ম্যাচগুলো জিতলে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলতে পারলে দক্ষিণ আফ্রিকায়ও জেতা সম্ভব।’
পেস বোলারদের জন্য উপমহাদেশের বাইরের উইকেটগুলো বেশ আদর্শ। দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটকে পেস স্বর্গই বলা হয়। এ প্রসঙ্গে তাসকিনের ভাবনা, ‘ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রপার স্পোর্টিং উইকেট। ওসব জায়গায় বোলার-ব্যাটার দুইজনেরই ভালো করার সুযোগ থাকে। ওখানে চ্যালেঞ্জ আরও বেশি। ইভেন বাউন্স থাকে, সুন্দরভাবে ক্যারি করে, ঠিক লাইন-লেন্থে বল না করলে আবার রান লিক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সুবিধা আছে, তবে একইসাথে আরও বেশি নিখুঁত হতে হবে।’
অফ ফর্মে অনেক দিন দলের বাইরে থাকতে হয়েছিল তাসকিনকে। তবে পূনরায় যখন থেকে ফিরেছেন তখন থেকেই দুর্দান্ত বোলিং করে চলেছেন দীর্ঘদেহী পেসার।
তার গতি দক্ষিণ আফ্রিকার পেসে বেশ কাজে লাগবে মনে করা হচ্ছে। সফরে ব্যক্তিগত টার্গেট কি থাকছে? এমন প্রশ্নে তাসকিনের উত্তর, ‘নিজের আয়ত্ত্বের মধ্যে থেকে সেরাটা দিতে চাই। খুব ইচ্ছা, ম্যাচ জেতানোতে যেন আমার ভূমিকা থাকে বা আমি একটা ম্যাচ জেতাতে পারি, ভালো কিছু করতে পারি।’
উল্লেখ্য, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি মাঠে গড়ানোর কথা ১৮ মার্চ। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচটি শুরু হওয়ার কথা ৩০ মার্চ।