অন্যদের ব্যর্থতার ভিড়ে তামিমের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি
১১ জুন ২০২২ ১২:১২
গত কয়েক সিরিজ ধরেই বাংলাদেশের ইনিংসে ব্যাটিং ধস বড় দুঃশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে টপ অর্ডারে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে টপ অর্ডারে অবশ্য ধস নামেনি। তবে ধস ঠিকই নেমেছে মিডল অর্ডারে। এসবের ভিড়ে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তামিম ইকবাল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রেসিডেন্ট একাদশের বিপক্ষে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিনে ৬ উইকেটে ২৭৪ রান তুলেছে বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল ১৪০ রান করে অপরাজিত আছেন। তামিমের সঙ্গে ৬ রানে অপরাজিত আছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
সাকিব আল হাসানকে ছাড়াই তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। ছুটি কাটিয়ে গতকাল দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও সাকিব নির্ধারিত সময়ে যোগ দিতে পারেননি। ফলে সহ-অধিনায়ক লিটন দাস নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশকে।
টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন লিটন। টপ অর্ডারে ধস না নামলেও বাংলাদেশের শুরুটা কিন্তু ভালো হয়নি মোটেও। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ফিরে যান তরুণ ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। জেরেমিয়া লুইসের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে রানের খাতা খোলার আগেই উইকেটকিপারের গ্লাভসবন্দি হন মাহমুদুল
তবে এরপর তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে দারুণভাবে দাঁড়িয়ে যান তামিম। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১৪০ রান তোলেন দুজন। মনে হচ্ছিল ভিত বুঝি পেয়ে গেছে বাংলাদেশ। কিন্তু দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে নাজমুল ফিরতেই আবারও ব্যাটিং ধস।
মাত্র ১০ রানের ব্যবধানে নাজমুলের সঙ্গে মুমিনুল হক ও লিটন দাসও ফিরে যান। ব্যাটিংয়ে বাড়তি মনোযোগ দিতে অধিনায়কত্ব ছাড়া মুমিুনল টিকতে পেরেছেন মাত্র ৬ বল। ব্রায়ান চার্লসের বলে চারে নামা মুমিনুল হক ক্যাচ আউট হন কোনো রান না করেই।
লিটন দাস ১৯ বল খেলে ৪ রান করার পর ফিরেছেন লুইসের বলে ক্যাচ আউট হয়ে। এর আগে শান্ত ৯৯ বল খেলে ৯টি চারের সাহায্যে ৫৪ করে ফিরেছেন। ১ উইকেটে ১৪২ রান থেকে হঠাৎ-ই ৪ উইকেটে ১৫২ হয়ে যায় বাংলাদেশ। এতে খোলস বন্দি হয়ে যান হাত খুলে খেলতে থাকা তামিম ইকবাল।
পরে ইয়াসির আলি রাব্বি হাল ধরলে স্বাচ্ছেন্দে খেলতে পেরেছেন তামিম। ১৬২ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন তামিম। ইয়াসির আলি রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়ার আগে সব ঠিকই ছিল। ব্যক্তিগত ১১ রানের মাথায় ইয়াসির ক্রিজ ছাড়লে দ্রুত আরও দুই উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।
সুবিধা করতে পারেননি নুরুল হাসান সোহান ও মেহেদি হাসান মিরাজ। তামিম শেষ পর্যন্ত ২৪০ বল খেলে ১৯টি চার ১টি ছয়ে ১৪০ রানে অপরাজিত। মোসাদ্দেক ২ বলে ৬ রানে অপরাজিত।
সারাবাংলা/এসএইচএস