উড়ন্ত ইংল্যান্ডকে মাটিতে নামাল ভারত
১৩ জুলাই ২০২২ ০২:২৭
সম্প্রতি ক্রিকেট মাঠে ইংলিশরা রীতিমতো যেন উড়ছিলেন! উড়ন্ত ইংলিশদের আজ মাটিতে টেনে নামাল ভারত। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে জাসপ্রিত বুমরাহর বিধ্বংসী বোলিংয়ে ইংল্যান্ডকে ১১০ রানেই গুটিয়ে দিয়ে পরে ১০ উইকেটে ম্যাচ জিতেছে ভারত।
মঙ্গলবার (১২ জুলাই) ওভালে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ২৫.২ ওভারে মাত্র ১১০ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। পরে রোহিত শর্মার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ১৮৮ বল হাতে রাখতেই হেসেখেলে জয় পেয়েছে ভারত।
টেস্টে ভারতীয়দের নাস্তানাবুদ করা ইংল্যান্ড ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বিপদে পরে শুরুতেই। জাসপ্রিত বুমরাহ যেন রুদ্ররূপ ধারণ করেছিলেন! টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামা ইংল্যান্ড আট ওভারেই হারিয়ে ফেলে পাঁচ উইকেট, দলের রান তখন মাত্র ২৬। জেসন রয়, জো রুট, বেন স্টোকস ও লিয়াম লিভিংস্টোন ফিরেন শূন্য রানে। জনি বেয়ারস্টো ৭ রান করে ফেরেন ২০ বল খেলে।
শুরুতেই মেরুদণ্ড ভেঙে যাওয়া ইংল্যান্ড পরে আর ভালোভাবে দাঁড়াতেই পারেনি। শুরুর ঝড়ের পর নতুন অধিনায়কত্ব পাওয়া জস বাটলার ও মঈন আলী জুটি গড়ার চেষ্টা করেছেন। মোহাম্মদ শামি এই জুটি ভাঙলে ইংলিশদের বড় স্কোর গড়ার স্বপ্ন সেখানেই সমাপ্তি ঘটেছে।
শেষ দিকে ডেভিড উইলি ও ব্র্যাডন কার্স কার্যকারী দুটি ইনিংস খেললেন বলে কোনো মতে একশ পেরুতে পেরেছে ইংল্যান্ড। সর্বোচ্চ ৩০ রান এসেছে অধিনায়ক বাটলারের ব্যাট থেকে। উইলি ২৬ বলে ২১ ও কার্স ২৬ বলে ১৫ রান করেছেন। মঈন আলির ব্যাট থেকে এসেছে ১৪ রান। ইংলিশদের পক্ষে দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছুতে পারেনি আর কেউ।
ভারতের পক্ষে বুমরাহ ৭.২ ওভার বোলিং করে ১৯ রান খরচায় ছয় উইকেট নিয়েছেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোনও ভারতীয় বোলারের এটাই সেরা বোলিং। মোহাম্মদ শামি ৩১ রানে নিয়েছেন তিন উইকেট। যাাতে দারুণ একটা কীর্তিও গড়েছেন শামি। ৮০তম ম্যাচে ৭৯ ইনিংসে দেড়শ উইকেটের মাইলফলক পেরুলেন, ভারতের মধ্যে যা দ্রুততম। আগে ৯৭ ম্যাচে দেড়শ উইকেট নেওয়া অজিত আগারকারের ছিল এই কীর্তি।
১১০ রানের জবাব দিতে নেমে শুরুতেই শিখর ধাওয়ানকে রান আউট করার সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি ইংল্যান্ড। তবে তারপর স্বাগতিকদের আর সুযোগই দিল না ভারত। রান আউটের মুখ থেকে বাঁচা ধাওয়ান একপ্রান্তে সাবধানে এগিয়েছেন।
আর দীর্ঘদিন অফফর্মে থাকা রোহিত শর্মা অপর দিক থেকে রান তুলেছেন টি-টোয়েন্টি গতিতে। মাত্র ১৮.৪ ওভারে ভারতের যখন ১০ উইকেটের জয় নিশ্চিত হলো রোহিত তখন ৫৮ বলে ৭৬ রানে অপরাজিত। তার ইনিংসে চার ৭টি, ছক্কা ৫টি। শেখর ৫৪ বল খেলে ৪টি চারের সাহায্যে ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন।
সারাবাংলা/এসএইচএস