‘দলের সবারই চার-ছয় মারার সামর্থ্য আছে’
২৭ আগস্ট ২০২২ ১২:৪৮
এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি খেলতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতে। টি-টোয়েন্টি প্রসঙ্গ উঠলেই বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ‘পাওয়ার হিটিং’ নিয়ে কথা উঠে। আধুনিক টি-টোয়েন্টিতে রানের ফুলঝুড়ি। মারকাটারি ব্যাটিংয়ে চার-ছক্কার ছড়াছড়ি। কিন্তু বাংলাদেশের যেন শুরু থেকেই এই জায়গায় দুর্বলতা!
পাওয়ার প্লে কাজে লাগাতে না পারা এবং স্লগ ওভারে পাওয়ার হিটিংয়ে দুর্বলতার কারণে বড় স্কোর হয় না। যেটা ম্যাচের জয় পরাজয়ে বরাবরই ভূমিকা রাখছে। ক্রিকেটারদের বলতে শোনা যায়, বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা শারীরিকভাবে দীর্ঘকায় নয় বলে ইচ্ছা করলেই পাওয়ার হিটিং সম্ভব হয় না! এনামুল হক বিজয় অবশ্য সেভাবে ভাবছেন না। দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে থাকার পর তিন ফরম্যাটের দলেই ফেরা বিজয়ের মতে, চার-ছক্কা হাঁকানোর সামর্থ্য বাংলাদেশি ব্যাটারদের ভালোভাবেই আছে।
টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ভালো ফল পেতে মরিয়া বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) উন্নতির লক্ষ্যে বড় পরিবর্তন এনেছে। অধিনায়ক, কোচ পাল্টানো হয়েছে। নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এশিয়া কাপ খেলতে গেছে দল। গতকাল শুক্রবার (২৬ আগস্ট) রাতে আরব আমিরাতে দ্বিতীয় দিনের মতো অনুশীলন করেছে দল।
অনুশীলনের ফাঁকে এক প্রশ্নের উত্তরে এনামুল হক বিজয় বলছিলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে, আমাদের যে মেধা আর পরিশ্রম, তাতে পাওয়ার হিটিংয়ের চেয়ে পরিকল্পনা বেশি জরুরি। কেউ বলতে পারবে না, দলের কেউ চার-ছক্কা মারতে পারে না বা সামর্থ্য নেই। শতভাগ সামর্থ্য নিয়েই বাংলাদেশ দলে খেলতে হয়।’
তবে বিজয় বুঝাতে চাইলেন চার-ছক্কা প্রতি বলে মারা সম্ভব না। উইকেটে গিয়ে সেট হওয়ার সময় দিতে হবে ব্যাটারদের, ‘তাদের (ব্যাটসম্যান) নিজস্ব সময় দেওয়া উচিত। ১০ বল হোক, ৩-৪ বল হোক; এরপর চেষ্টা করলে প্রত্যেক খেলোয়াড়ের চার-ছক্কা মারার সামর্থ্য আছে। আমার মনে হয় না ক্রিকেটারদের হতাশ হওয়ার কিছু আছে।’
টি-টোয়েন্টিতে টপ অর্ডার নিয়ে বড় ভোগান্তি চলছে বাংলাদেশ দলে। অভিজ্ঞ তামিম ইকবাল এই ফরম্যাট থেকে অবসর নিয়েছেন। তার অনুপস্থিতিতে নতুন যাদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে তারা ভালো করতে ব্যর্থ। এনামুল হক বিজয় দলে ফিরে ছয় ম্যাচ খেলেছেন, কিন্তু বলার মতো ইনিংস খেলতে পারেননি একটিও।
তার স্ট্রাইক রেট নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিজয় বলছেন এশিয়া কাপে যেন ভালো করতে পারেন সেভাবেই অনুশীলন করছেন তিনি, ‘যেহেতু এশিয়া কাপ বড় মঞ্চ, চেষ্টা করব দলকে কার্যকর ইনিংস উপহার দেওয়ার। নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। ইনিংসের যেন শুভসূচনা করতে পারি। মিরাজ, তাসকিন, সাকিব ভাই, মুশফিক ভাই, আফিফ—সবাই অনেক সাহায্য করেছে। টপ অর্ডারে ভালো স্কোর দাঁড় করালে তাদের জন্যও সুবিধা হবে। আবার মিডল অর্ডার ভালো করলে লোয়ার মিডল অর্ডারের জন্য ভালো হবে। দলীয় স্কোর বড় করলে বোলারদের জন্য ভালো হবে। আশা করছি দারুণ সূচনা এনে দিতে পারব, সেভাবেই অনুশীলন করছি।’
এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি মাঠে গড়াচ্ছে আজ। তবে বাংলাদেশের প্রথম খেলা ৩০ আগস্ট, প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান।
সারাবাংলা/এসএইচএস