Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিশ্বকাপের দল পরিচিতি: ডেনমার্ক

মো. সাইফুল আলম তালুকদার
১৭ নভেম্বর ২০২২ ২০:০৫

ডেনমার্ক বর্তমানে ফিফা র‍্যাংকিংয়ে ‘দশম’ স্থানে অবস্থান করছে, যারা এবারের বিশ্বকাপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে গ্রুপ-“ডি” থেকে। কাতারে ডেনমার্ক আসছে ষষ্ঠ বারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে। কিন্তু কাতারের কিছু ব্যাপার নিয়ে ডেনমার্কের খেলোয়াড় এবং ফুটবল ফেডারেশন প্রকাশ্যেই নেতিবাচক কিছু মন্তব্য করেছেন। 

থমাস ডেলানি গত বছর কাতারে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে নিয়ে একটি তথ্যচিত্রে বলেছিলেন, ‘যেকোন ফুটবল খেলোয়াড়কে জিজ্ঞাসা করুন, তিনি এটিকে একটি বিপর্যয় বলবেন এবং কেউ মনে করে না এটি একটি ভাল ধারণা।’

বিজ্ঞাপন

ক্যাসপার স্মাইকেল বলেছেন, ‘আমি আনন্দিত যে আমি একটি বিশ্বকাপে খেলব, কিন্তু আমি কি এটা যেখানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে তাতে সন্তুষ্ট? না, আমি নই, কিন্তু আমি এটা বদলাতে পারব না। শুধু আমার অসন্তুষ্টির কথাই বলবো।’

ডেনমার্ক ফুটবল ফেডারেশনের প্রধান নির্বাহী জ্যাকব জেনসেন বলেছেন, তারা কাতারে কোনো ফ্যান এলাকা হোস্ট করবে না। ‘আমরা দেশটিকে সমর্থন করতে চাই না।’

ডেনমার্কের জার্সি প্রস্তুতকারক, হুমেল কালো রংয়ের শার্ট তৈরি করেছে মানবাধিকার ক্ষুন্ন হওয়ার প্রতীক হিসেবে অভিবাসী শ্রমিকদের সম্মান জানানোর জন্য এই রং নির্বাচিত করা হয়েছে। 

বিগত বিশ্বকাপে ডেনমার্কের পারফর্মেন্স—

বিগত পাঁচটি বিশ্বকাপে তারা ২০টি ম্যাচ খেলেছে। যেখানে তারা জয় পেয়েছে ৯টিতে, পরাজিত হয়েছে ৭টিতে এবং ড্র করেছে ৪টি ম্যাচ। বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ১১টি ম্যাচ খেলেছেন মার্টিন জার্গেনসেন । তিনি ১৯৯৮, ২০০২ এবং ২০১০ সালের বিশ্বকাপ খেলেছিলেন। আর সবচেয়ে বেশি গোল করেছেন জন ডাল টমাসন। তিনি ৫টি গোল করেছিলেন ২০০২ এবং ২০১০ বিশ্বকাপে।

বিজ্ঞাপন

তাদের সেরা সাফল্য ছিল ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপ। ১৯৯৮ সালে তারা কোয়ার্টার ফাইনালে গেলেও ১৯৮৬-এর বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্যায়ের ৩টি ম্যাচেই জয়লাভ করেছিল। যার মধ্যে একটি ম্যাচে জার্মানিকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল যারা কিনা পরবর্তীতে বিশ্বকাপে রানার্স-আপ হয়েছিল। 

তাদের সোনালী প্রজন্ম ধরা হয় ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপে খেলা দলটিকে। যারা জার্মানিকে পরাজিত করার পাশাপাশি উরুগুয়েকে হারিয়েছিল ৬-১ গোলে। পরবর্তীতে এই প্রজন্মের কিছু খেলোয়াড়ের কল্যাণে প্রথমবারের মতো ১৯৯২ সালে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জয়লাভ করে। অর্থাৎ ১৯৮৬ সালের পর থেকেই ডেনমার্কের ফুটবলে জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। 

বিগত বিশ্বকাপের ম্যাচগুলি এবং গত কয়েক বছরের ম্যাচ থেকে দেখা যায় ডেনমার্ক সাধারণত ম্যাচ অমীমাংসিত ভাবে শেষ হোক সেই ধরনের মানসিকতা নিয়ে খেলে না। ফলে ১৯৮৬ বিশ্বকাপের ম্যাচে তারা যেভাবে উরুগুয়েকে উড়িয়ে দিয়েছিল ঠিক তেমনি ভাবে দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে স্পেনের কাছে ১-৫ গোলে হেরে গিয়েছিল। ১৯৯৮ সালে নাইজেরিয়াকে ৪-১ গোলে দ্বিতীয় রাউন্ডে যেভাবে হারিয়েছিল, অনেকটা সেভাবেই ২০০২ সালের দ্বিতীয় রাউন্ডে ইংল্যান্ডের কাছে ০-৩ গোলে পরাজিত হয়েছিল। 

বিশ্বকাপ প্রস্তুতি কেমন হয়েছে—

ইউরোপীয় অঞ্চলে গ্রুপ-‘এফ’ থেকে ডেনমার্ক অতি সহজেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সরাসরি ২০২২-বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে। সত্যিকার অর্থে তাদের প্রতিপক্ষরা ছিল বেশ খানিকটা দুর্বল। গ্রুপে থাকা স্কটল্যান্ড বা অস্ট্রিয়া কেউই পাত্তা পায়নি। ডেনমার্ক এই গ্রুপে ১০টি ম্যাচ থেকে ৯টিতে জয় তুলে নিয়েছিল এবং কেবলমাত্র ১টি ম্যাচে পরাজিত হয়েছিল।‌‌ তারা গোল করেছিল ৩০টি এবং বিপক্ষে গোল হয়েছিল মাত্র ৩টি। 

বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত হওয়ার পরে এ বছরের সেপ্টেম্বরের শেষ হওয়া নেশনস লিগে তারা বেশ ভালোই করেছে। গ্রুপে ক্রোয়েশিয়ার পিছনে দ্বিতীয় হলেও তারা ফ্রান্সকে হারিয়েছে দুবার। ‌

তার আগে গত বছর ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে সেমিফাইনাল পর্যন্ত চলে গিয়েছিল। সেই যাত্রায় তারা রাশিয়াকে গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচে ৪-১ গোলে এবং ওয়েলসকে দ্বিতীয় রাউন্ডে হারিয়েছিল ৪-০ গোলের ব্যবধানে। সেমিফাইনালে তারা ইংল্যান্ডের কাছে হেরেছিল মাত্র ১-২ গোলে। অর্থাৎ বিগত কয়েক বছরে ডেনমার্ক যথেষ্ট পরিমাণ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলেছে এবং বিশ্বকাপের জন্য পুরোপুরি তৈরি। 

কোচ ক্যাসপার হুলমান্দ—

৫০ বছরের মুক্তমনা এবং বাগ্মী কোচ, ক্যাসপার হুলমান্দ ২০২০ সালে নরওয়েজিয়ান কোচ হ্যারাইড থেকে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে জাতীয় দলের প্রতি জনসাধারণের ভালোবাসা পুনরুদ্ধার করেছেন। প্রথম দিন থেকেই তিনি প্রায় একজন ধর্ম-প্রচারকের মতো প্রতিটি খেলোয়াড়কে নিজের নির্দেশনায় নিয়ে এসেছেন। গত ইউরোতে এরিকসনের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পরও যেভাবে দলকে সেমিফাইনাল পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিলেন, তার পুরস্কার হিসেবে তার কোচিংয়ের মেয়াদ আরো দুই বছর বাড়ানো হয়েছে। 

যিনি কোনদিন ডেনমার্কের বাইরে কোচিং করাননি তার এই সাফল্য নিশ্চয়ই সবাইকে অবাক করেছে। তার চেয়েও বেশি অবাক করেছে নেশনস লীগে ফ্রান্সকে টপকে গ্রুপ-১ এ ক্রোয়েশিয়ার চাইতে মাত্র এক পয়েন্ট পিছিয়ে দ্বিতীয় হওয়া। ডেনমার্কের সাথে ফ্রান্সের পয়েন্ট ব্যবধান ছিল ৭ পয়েন্টের।

তার এই সাফল্যের মূল রহস্য কি? বর্তমানে ইউরোপে তাকে সবচেয়ে কৌশলগতভাবে পারদর্শী এবং আবেগগত ভাবে সচেতন একজন কোচ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে যিনি দলকে ঐক্যবদ্ধ ধারায় সাফল্যের পথে নিয়ে যাচ্ছেন। তার অধীনে ডেনমার্ক এ পর্যন্ত ৩৪টি ম্যাচের ২৩টিতে জয়, ২টিতে ড্র এবং মাত্র ৯টিতে হেরেছে। সাফল্যের হার ৬৭.৬৫%।

সময়সূচি—

২২শে নভেম্বর: ডেনমার্ক বনাম তিউনিসিয়া (এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম, আল রায়ান),

২৬শে নভেম্বর: ফ্রান্স বনাম ডেনমার্ক (স্টেডিয়াম ৯৭৪, দোহা),

৩০শে নভেম্বর: অস্ট্রেলিয়া বনাম ডেনমার্ক (আল জানুব স্টেডিয়াম, আল ওয়াকরাহ)।

প্রধান তারকা—

৩০ বছর বয়সের মিডফিল্ডার, ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন, কতটা উচ্চ স্তরের‌ তা আর বলার নয়। গত বছর ইউরোতে খেলার মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে খেলার ধার কিছুটা কমে গেলেও আমরা জানি, টটেনহ্যামে তিনি কতটা ভালো খেলতেন।‌‌ আয়াক্স, টটেনহাম, ইন্টার মিলান এবং বর্তমান দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সহ শীর্ষসারির ক্লাবগুলোতে এ পর্যন্ত ৪০৬টি ম্যাচ খেলেছেন। তার ডিফেন্স চেরা পাস দেয়ার ক্ষমতা আক্রমণে অনন্য উপাদান যোগ করে। আর এভাবেই তিনি মিডফিল্ড থেকে জাতীয় দলের হয়ে ৩৯টি গোল করেছেন।‌ তাকে ইউরোপের অন্যতম সেরা হিসেবে গণ্য করা হয়। তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন এবং অপেক্ষায় আছেন ইউরোতে দলের হয়ে ভূমিকা রাখতে না পারলেও নিশ্চয় সেই ক্ষতি এই বিশ্বকাপে পুষিয়ে দিবেন। 

পরিচিত তারকা—

ইতালির আটলান্টায় খেলা ২৫ বছর বয়সী লেফট উইং-ব্যাক, জোয়াকিম মাহেলে গত বছর ইউরোতে অসাধারণ খেলা উপহার দিয়ে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি পুরো মাঠ জুড়ে খেলতে পারেন। রক্ষণ থেকে আক্রমণে ওঠার ক্ষেত্রে তার জুড়ি নেই। গত ইউরোতে ২টি গোল করার পাশাপাশি এবারের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে তিনি ৫টি গোল করেছেন। ক্লাব দলে কিছুটা রক্ষণাত্মক খেললেও জাতীয় দলে তিনি আক্রমণ করার অবারিত সুযোগ পান, ফলশ্রুতিতে তিনি জাতীয় দলের হয়ে ইতিমধ্যে ৩১ ম্যাচে ৯টি গোল করেছেন। 

টটেনহামের ২৭ বছর বয়সী মিডফিল্ডার, পিয়েরে হয়বের্গ গত বছরের ইউরোতে অসুস্থ হয়ে যাওয়া দলের সেরা খেলোয়াড় এরিকসেনের অনুপস্থিতি বুঝতেই দেননি। অথচ এই হয়বের্গ দলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন একেবারে শেষ পর্যায়ে। ‌মাত্র ১৭ বছর বয়সে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে তার অভিষেক ঘটে এবং পরবর্তীতে ২০১৪ সালে ১৯ বছর বয়সে জাতীয় দলের হয়ে প্রথম ম্যাচেই পুরো ৯০ মিনিট খেলেন। তিনি এ পর্যন্ত জাতীয় দলের ৬০টি ম্যাচ খেলেছেন।‌‌ তিনি রক্ষণ কাজ এবং পাসিং দুটোই বেশ ভালো পারেন। গত ইউরোতে যেই ৩ জন মিডফিল্ডার সবচেয়ে বেশি পরিশ্রম করেছেন তার মধ্যে তিনি একজন উল্লেখযোগ্য ছিলেন। হয়বের্গ গত ইউরোতে ৪০টি প্রগতিশীল পাস দিয়েছেন, শট নিয়েছেন ২২টি, বিপক্ষকে ১০৪ বার বাঁধা দিয়েছেন, ট্যাকেল ও ইন্টারসেপশন করেছেন ২৪ বার এবং টি গোল তৈরি করে দিয়েছেন। 

 নেপথ্যের নায়ক—

৩১ বছর বয়সের ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার, টমাস ডেলানি বর্তমানের স্পেনের সেভিয়াতে খেলছেন। তার আগে জার্মানির বরুসিয়া ডর্টমুন্ড এবং ওয়ের্ডার ব্রেমেন ক্লাবে ১০৭টি ম্যাচ খেলেছেন। কোচ ক্যাসপার হুলমান্দ তার দারুণ পরিশ্রমের জন্য তাকে বেশ পছন্দ করেন। এছাড়া তিনি সেট পিসেও দারুন দক্ষ। 

তরুণ তারকা— 

২২ বছরের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার এবং উইঙ্গার, আন্দ্রেয়াস ওলসেন বেলজিয়ামের ক্লাব ব্রুগে যোগদান করার আগে ইতালির বোলোগনার হয়ে ৭০টি ম্যাচ খেলেছেন।‌‌ তিনি খুব দারুণ ফর্মে আছেন এবং শেষ ৯টি ম্যাচে ৫টি গোল করেছেন।‌‌ শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি ৬টি গোলে অ্যাসিস্ট করেছেন। তার গতি এবং টেকনিক্যাল ক্ষমতা বিপক্ষকে বিপদে ফেলতে পারে। নেশনস লিগে দারুন পারফরমেন্সের পর আশা করা হচ্ছে তিনি বিশ্বকাপ দলে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে ভালো ভূমিকা রাখবেন। ‌

আরেকজন উইঙ্গার, রবার্ট স্কোভ এবারের বিশ্বকাপে ডেনমার্কের তুরুপের তাস হতে পারেন। ২৬ বছর বয়সের এই খেলোয়াড়টি এখন খেলছেন জার্মানির হফেনহাইমে। তার আগে ২০১৮-১৯ মৌসুমে তিনি ডেনমার্কের লিগে ২৯ গোল করে প্রাক্তন স্ট্রাইকার এবে স্যান্ডের গড়া রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিলেন। তার উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো তিনি বাম পায়ের খেলোয়াড় হলেও, দুই পায়েই সমান দক্ষতায় খেলতে পারেন। ফলশ্রুতিতে তিনি এখন স্ট্রাইকারের পরিবর্তে উইঙ্গার হিসেবে খেলছেন। তিনি খুব ভালো ড্রিবলিং করতে পারেন ফলে উইং থেকে প্রায়শই বিপক্ষের ডিফেন্ডারদেরকে ছিটকে ফেলেন এবং গোলের জন্য প্রয়োজনীয় অ্যাসিস্ট করতে পারেন। তিনি নিজেকে ফ্রি-কিক স্পেশালিস্ট হিসেবেও গড়ে তুলেছেন। ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন বলেছেন তিনি অবসর নেওয়ার পরে দলের এক নম্বর ফ্রি-কিক টেকার হবেন এই স্কোভ। দলের আরেক উইঙ্গার ওলসেনের মতো তিনিও জাতীয় দলে‌ গোল করার ক্ষেত্রে বেশ ভালো করছেন এবং ইতিমধ্যে ১১টি ম্যাচে ৫টি গোল করেছেন। 

বিশ্বকাপে ২৬ জনের মূল দলে—

গোলরক্ষক: ক্যাসপার স্নাইকেল (নিস), অলিভার ক্রিস্টেনসেন (হার্থা বার্লিন), ফ্রেডরিক রনো (ইউনিয়ন বার্লিন)।

ডিফেন্ডার: সাইমন কায়ের (এসি মিলান), জোয়াকিম অ্যান্ডারসেন (ক্রিস্টাল প্যালেস), জোয়াকিম মাহেলে (আটালান্টা), আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টেনসেন (বার্সেলোনা), রাসমাস ক্রিস্টেনসেন (লিডস ইউনাইটেড), জেনস লারসেন (ট্রাবজনস্পোর), ভিক্টর নেলসন (গালাতাসারে), ড্যানিয়েল ওয়াস (ব্রন্ডবি), আলেকজান্ডার বাহ (বেনফিকা)

মিডফিল্ডার: থমাস ডেলানি (সেভিলা), ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), পিয়েরে হয়বের্গ (টটেনহ্যাম), ম্যাথিয়াস জেনসেন (ব্রেন্টফোর্ড), রবার্ট স্কোভ (হফেনহেইম), ক্রিশ্চিয়ান নরগার্ড (ব্রেন্টফোর্ড)।

ফরোয়ার্ড: মার্টিন ব্রেথওয়েট (এসপানিওল), ক্যাসপার ডলবার্গ (সেভিয়া), মিকেল ড্যামসগার্ড (ব্রেন্টফোর্ড), ইউসুফু পলসেন (আরবি লিপজিগ), আন্দ্রেয়াস ওলসেন (ক্লাব ব্রুগস), আন্দ্রেয়াস কর্নেলিয়াস (কোপেনহেগেন), জোনাস উইন্ড (ভিএফএল উলফসবুর্গ) এবং জেসপার লিন্ডস্ট্রম (ইনট্রাক্ট ফ্রাঙ্কফুর্ট)।

বিশ্বকাপের জন্য আমার পছন্দের একাদশ—

গোলরক্ষক: ক্যাসপার শ্মেইচেল

রাইট-ব্যাক: জেনস লারসেন

ডিফেন্ডার: সাইমন কায়ের, আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টেনসেন; 

লেফট-ব্যাক: জোয়াকিম মাহেলে;

ডিফেন্সিভ-মিডফিল্ডার: থমাস ডেলানি;  

মিডফিল্ডার: পিয়েরে হয়বের্গ, ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন;  

ফরোয়ার্ড: মার্টিন ব্রেথওয়েট, মিকেল ড্যামসগার্ড এবং ক্যাসপার ডলবার্গ।

ফর্মেশন ও খেলার কৌশল—

কোচ ক্যাসপার হুলমান্দ প্রায়ই শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ৩-৪-৩ ফর্মেশন ব্যবহার করেন কিন্তু দুর্বল দলগুলির বিরুদ্ধে আরও আক্রমণাত্মক মনোভাব নিয়ে ৪-৩-৩ পদ্ধতির প্রয়োগ ঘটান। তিনি খুব দ্রুত কৌশল পরিবর্তন করতে পারদর্শী। এছাড়া তিনি ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে দলকে খেলাতে পরিচিত। বড় দলগুলোর সাথে সাধারণত সতর্কতামূলকভাবে খেলে থাকে ফলে বল পজিশন ৪০-৪৫% এর মধ্যে থাকে। আর কিছুটা দুর্বল প্রতিপক্ষ পেলে বল পজিশন ৫৫-৬৫% এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখে। 

৩-৪-৩ পদ্ধতি প্রয়োগ করে গত বছর ইউরোর সেমি ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিলেন, কিন্তু এ বছরের নেশনস লীগে ফ্রান্স এবং অস্ট্রিয়াকে পরাজিত করতে ৪-২-৩-১ পদ্ধতি ব্যবহার করেন। তবে এই ৪-২-৩-১ ফর্মেশনকে পরিবর্তন করে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে ৫-৪-১ পদ্ধতিতে রূপান্তর করে ডিফেন্সকে অনেক বেশি নিরাপদ রেখেছিলেন। ‌ অন্যদিকে নিজেদের মাঠে খেলার সময় একই প্রতিপক্ষর বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছিলেন ৪-১-৪-১ পদ্ধতি। 

তিনি মাঝেমধ্যে দলের উইঙ্গারদেরকে সেন্ট্রাল মিডফিল্ডারদের পাশাপাশি নিয়ে আসেন যাতে করে উইঙ্গাররা দ্রুতগতিতে এবং ড্রিবলিং করে বিপক্ষের বক্সের ভেতর বা বাইরের প্রান্ত ব্যবহার করে পাসিং এবং ক্রস গুলো করতে পারে। 

তাদের প্রধান কৌশল হচ্ছে নিজেদের ডিফেন্সকে বিপদমুক্ত রেখে হাই প্রেসিংয়ের মাধ্যমে বিপক্ষ দলের ডিফেন্স এলোমেলো করে দেওয়া। তাদের বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই বেশ লম্বা এবং দ্রুতগতি সম্পন্ন, ফলে তারা প্রেসিংয়ের সময় লম্বা পাসও ব্যবহার করে থাকে। ফলে তারা ডিফেন্স থেকেই লম্বা পাস উইংগার বা স্ট্রাইকারদের উদ্দেশ্যে দিয়ে থাকেন, কিন্তু সব সময় ডিফেন্সে চারজন থাকেন আর অন্যদিকে আক্রমণেও প্রায় চারজন খেলোয়াড় তৈরি থাকেন। 

তারা বল কেড়ে নেওয়াতে বেশ দক্ষ, যার প্রমাণ মিলেছে গত ইউরোতে যেখানে তারা ইতালির সাথে সর্বোচ্চ ৫৬% বল দখলের লড়াইয়ে জিতেছিল। সেই সাথে গোলবারে সরাসরি আক্রমণের জন্য তারা গত ইউরোতে সেরা দল ছিল। 

প্রতিপক্ষকে ক্রমাগত চাপ দেওয়ার পরিবর্তে তারা প্রেসিং করার আগে প্রতিপক্ষকে ফাঁদে ফেলবার জন্য তাদের নিজের সীমানায় নিয়ে নিয়ে আসে এবং পরে প্রেসিং করে। 

 তাদের দলের শক্তিমতা ও দুর্বলতা—

এই দলটির ডিফেন্স খারাপ না। মূল একাদশে যারা খেলবেন তারা গড়ে জাতীয় দলের হয়ে ৬৪-৬৫টি ম্যাচ খেলেছেন। এরা হয়তো আগামীতে কোন বড় টুর্নামেন্টে নাও থাকতে পারে, কিন্তু পাইপলাইনে ২৫-২৬ বছর বয়সী বেশ কিছু প্রতিশ্রুতিশীল ডিফেন্ডার আছে যারা ইউরোপের ক্লাবগুলোতেও ইতিমধ্যে অনেক ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। ফলে বদলি ডিফেন্ডাররা দলকে ভালো শক্তি জোগাবে এবং আগামী দিনগুলোতে ডিফেন্সের হাল ধরবেন।‌‌

মিডফিল্ড এই দলটির সবচেয়ে শক্তিশালী জায়গা। ডিফেন্স থেকে শুরু করে আক্রমণ তৈরি করবার কাজে যারা থাকবেন তারা সবাই যথেষ্ট অভিজ্ঞ এবং দক্ষ খেলোয়াড়। তবে দলটিতে আরেকজন ভালো গোল স্কোরার থাকলে গোলের পরিমাণ অনেক বেড়ে যেত। 

দলটি বক্সের বাইরে থেকে গোল করার ক্ষেত্রে বেশ দক্ষতা অর্জন করেছে। তারা গত ইউরোতে বক্সের বাইরে থেকে ৪টি গোল করেছে, ১৯৮৪ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে কেবলমাত্র ফ্রান্স এর চেয়ে বেশি গোল করতে পেরেছিল।‌‌ 

গোল করার হার বাড়াবার মত আরেকজন স্ট্রাইকারের অভাব পূরণ করে যাচ্ছে এরিকসেন। যিনি জাতীয় দলে ৩৯টি গোল করার পাশাপাশি ২০১৪-১৫ মৌসুমে ক্লাব দলের হয়ে বক্সের বাইরে থেকে ২৪টি গোল করেছিলেন‌ এবং ফ্রি-কিক থেকে নিয়মিত গোল করার ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষের ভয়ের কারণ হিসেবে দাঁড়িয়েছেন।

শুনলে অবাক হতে হয়, এই দলের ড্র করার ক্ষমতা কম। বর্তমান কোচের অধীনে ডেনমার্ক ৩৩টি খেলায় মাত্র ২টি ম্যাচে ড্র করতে পেরেছে তাও প্রায় এক বছর আগে। ইউরোতে প্রথম ২টি ম্যাচে হেরেও তারা সেমিফাইনালে গিয়েছিল। কিন্তু নেশনস লীগে ফ্রান্সকে দু-দুবার পরাজিত করেও ক্রোয়েশিয়ার কাছে দুবার হেরে যাওয়ায় মাত্র এক পয়েন্টের জন্য সেমিফাইনালে যেতে পারেনি। 

এই দলটি কতদূর যেতে পারে—

আমরা জানি ডেনমার্ক সাধারণত গড়ে কমপক্ষে সব বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়া একটি দল। পাঁচটি বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ডের বাধা অতিক্রম করতে পারেনি শুধু মাত্র ২০১০ সালের বিশ্বকাপে। 

ইউরোপের শীর্ষ লিগে নিয়মিত পারফর্ম করা খেলোয়াড়দের সমন্বয়ে ডেনমার্কের একটি গভীর স্কোয়াড রয়েছে। দুই একটি জায়গা ছাড়া বিভিন্ন পজিশনে তাদের একাধিক খেলোয়াড় থাকায়, দলে শক্তির গভীরতা অনেক বেশি। এমনকি কোচ চাইলে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দলের বিপরীতে দলকে নানান ফর্মেশনে খেলাতে পারেন।

ইউরোপের নেশনস লীগে সম্প্রতি ফ্রান্সকে দুইবার হারানোর প্রেক্ষিতে বলা যায়, এই গ্রুপ থেকে ডেনমার্কও শীর্ষ স্থান অধিকার করতে পারে। আর যদি তাই হয় তাহলে দ্বিতীয় রাউন্ডে আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হতে হবে না এবং সেটা খুব সহজেই তাদেরকে কোয়ার্টার-ফাইনালের রাস্তা প্রশস্ত করতে পারে। 

তারা অত্যন্ত সংগঠিত এবং একে অপরের শক্তি ও দুর্বলতার সাথে পরিচিত, যা তাদেরকে টুর্নামেন্টে সুন্দর ফুটবল খেলার পাশাপাশি কাঙ্ক্ষিত ফল এনে দিতে পারে। তাই তাদের গোলরক্ষক ক্যাসপার শ্মেইচেল বলেছেন, “আমাদের একটি দুর্দান্ত স্কোয়াড রয়েছে এবং আমরা আত্মবিশ্বাসে পূর্ণ কারণ আমরা জানি আমাদের খেলোয়াড়রা কী করতে পারে। কিন্তু আমরা যখন বিশ্বকাপে ফ্রান্সের সাথে খেলব, তখন সেটা ভিন্ন ম্যাচ হবে।”

আমার দেখা ডেনমার্কের সেরা-১৬ খেলোয়াড় (পুরাতন এবং নতুন খেলোয়াড় সহ)—

তাদের দলের দুই ভাই মাইকেল ও ব্রায়ান লাউড্রপ একসাথে দীর্ঘদিন জাতীয় দলে খেলেছেন। ডেনমার্কের খেলা আমার বরাবরই খুব ভালো লাগে।‌‌‌‌‌‌‌ তাই তাদের সেরা খেলোয়াড় বাছাই করা আমার জন্য যথেষ্ট কঠিন কাজ ছিল।

গোল-রক্ষক:- পিটার শ্মেইচেল (ম্যাচ: ১২৯ এবং গোল: ১। ‌‌ক্লাব লেভেলে ৬৪৮টি ম্যাচ খেলা এই গোলরক্ষক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে খেলেছেন ২৯২টি ম্যাচ)। তিনি আমার সর্বাপেক্ষা প্রিয় গোলরক্ষকদের মধ্যে একজন যার প্রেমে পড়ি সেই ১৯৯২ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে। ওর ছেলেও বর্তমান জাতীয় দলে গোলরক্ষক হিসেবে খেলছে। 

রক্ষণ-ভাগ:-

রাইট-ব্যাক: টমাস হেলভেগ (ম্যাচ: ১০৮ এবং গোল: ২।‌‌‌‌ ৪৮০টি ক্লাব ম্যাচের মধ্যে ২৬৯টি ম্যাচ খেলেছেন ইতালিয়ান লীগে।‌‌ উদিনেসে ক্লাবে খেলেন ১৪১টি এবং এ.সি মিলানে খেলেন ১০৫টি ম্যাচ)।

সেন্ট্রাল-ডিফেন্স: সাইমন কায়ের (ম্যাচ: ১২১ এবং গোল: ৫।‌‌‌‌‌‌ ৩৩ বয়সী এই ডিফেন্ডার এখনো বর্তমান জাতীয় দলে এবং ক্লাব পর্যায়ে খেলছেন এ.সি মিলানের হয়ে। এখন পর্যন্ত তিনি ক্লাবে ৩৯২টি ম্যাচ খেলেছেন ইতালি, জার্মানি, ফ্রান্স, তুরস্ক, স্পেন‌ প্রমূখ লীগের পালেরমো, ওল্ফসবার্গ, রোমা, লিলে, ফেনারবাহচে, সেভিয়া প্রভৃতি ফুটবল ক্লাবে)।

ড্যানিয়েল আগার (ম্যাচ: ৭৫ এবং গোল: ১২।‌‌‌‌‌‌ ২৫২টি ক্লাব ম্যাচের মধ্যে তিনি লিভারপুলে খেলেন ১৭৫টি ম্যাচ)।

লেফট-ব্যাক: ইয়ান হেইন্টজে (ম্যাচ: ৮৬ এবং গোল: ৪।‌‌‌‌‌‌ তিনি ক্লাবের হয়ে ৫৬৪টি ম্যাচ খেলেন যার মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৯৫টি ম্যাচ খেলেন পিএসভি‌ আইন্দহোভেনে। এছাড়াও জার্মানির বেয়ার লেভারকুসেনে খেলেন ৮৭টি ম্যাচ)।    

মধ্য-মাঠ:-

রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডার: ক্রিশ্চিয়ান পলসেন (ম্যাচ: ৯২ এবং গোল:‌‌ ৬। তিনি ক্লাবে ৩৫৪টি ম্যাচ খেলেন। স্পেনের সেভিয়া, ইতালির জুভেন্টাস, হল্যান্ডের আয়াক্স ছাড়াও জার্মানির শালকে-04 ক্লাবের হয়ে সর্বোচ্চ ১১১টি ম্যাচ খেলেন)।

আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার: ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন (ম্যাচ: ১১৭ এবং গোল: ৩৯।‌ ৩০ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার এখনো ডেনিস জাতীয় দল এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে খেলছেন । এখন পর্যন্ত ক্লাব দলে খেলেছেন ৪০৬টি ম্যাচ এবং গোল করেছেন ৮২টি। হল্যান্ডের আয়াক্সে ১১৩টি এবং ইংল্যান্ডের টটেনহ্যামে সর্বোচ্চ ২২৬টি ম্যাচ খেলেছেন)। 

ব্রায়ান লাউড্রপ  (ম্যাচ: ৮২ এবং গোল: ২১।‌ ৩৪২টি ক্লাব ম্যাচের মধ্যে সর্বোচ্চ ১১৬টি ম্যাচ খেলেন স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো রেঞ্জার্স এবং বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে ৫৩টি ম্যাচ। ক্লাব পর্যায়ে গোল করেন ৮৪টি)। 

মাইকেল লাউড্রপ  (ম্যাচ: ১০৪ এবং গোল: ৩৭।‌‌‌‌‌ ক্লাব পর্যায়ে ৪৭৮টি ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ১১৯টি। ইতালিয়ান লীগে‌ খেলেছেন ২৬৯টি ম্যাচ এবং স্প্যানিশ লীগে খেলেছেন ২২৮টি ম্যাচ।‌‌ জুভেন্টাস, বার্সেলোনা এবং রিয়েল মাদ্রিদে যথাক্রমে খেলেছেন ১০৩, ১৬৬ এবং ৬২টি ম্যাচ)। 

স্ট্রাইকার:- জন ডাহল টমাসন (ম্যাচ: ১১২ এবং গোল: ৫২।‌‌ ডাচ, ইংলিশ, ইতালিয়ান, জার্মান, স্প্যানিশ প্রভৃতি লীগে খেলেছেন ৪৫০টি ম্যাচ এবং গোল করেছেন ১৮০টি।‌‌‌‌‌ ডাচ ক্লাব ফেইনুর্ডে খেলেন ১২২টি ম্যাচ এবং ইতালির এ.সি মিলানে খেলেন ৭২টি ম্যাচ)

এবে স্যান্ড  (ম্যাচ: ৬৬ এবং গোল: ২২।‌‌‌ তিনি ক্লাবে ৩৬৬টি ম্যাচে ১৪৯টি গোল করেন। সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেন জার্মানির‌ শালকে-04 ক্লাবের হয়ে ২১৪টি ম্যাচ)

অতিরিক্ত:- ডিফেন্ডার, আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টেনসেন (ম্যাচ: ৫৮ এবং গোল: ২।‌‌ বয়স মাত্র ২৬ বছর এবং বর্তমান জাতীয় দলে খেলছেন।‌‌ আর বর্তমান ক্লাব দল হচ্ছে বার্সেলোনা। তিনি এখন পর্যন্ত ১৫৮টি ক্লাব ম্যাচ খেলেছেন যার মধ্যে ৯৩টি ম্যাচ খেলেছেন চেলসির হয়ে)।

মিডফিল্ডারমার্টিন জার্গেনসেন (ম্যাচ: ১০২ এবং গোল: ১২।‌‌‌‌‌ বিভিন্ন ক্লাবে ৫৩০টি ম্যাচ খেলেছেন যার মধ্যে ইতালিয়ান লীগে খেলেছেন ৩৩৬টি ম্যাচ। উদিনেসে ও ফিওরেন্টিনাতে ১৮৫টি এবং ১৫১টি ম্যাচ খেলেন)।

উইঙ্গার, ডেনিস রোমেডাহল (ম্যাচ: ১২৬ এবং গোল: ২১।‌‌‌‌‌‌‌ ডাচ, ইংলিশ, গ্রীস প্রভৃতি লীগে ৪৩৬টি ম্যাচ খেলেন। ডাচ লীগে খেলেন ২৬৯টি ম্যাচ, যার মধ্যে ২২১টি ম্যাচ খেলেন পিএসভি‌ আইন্দহোভেন এবং আয়াক্সের হয়ে)।

তাদের দলের অন্যান্য খেলোয়াড়দের মধ্যে স্মরণ করতে চাই গোল রক্ষকটমাস সোরেনসেন (ম্যাচ: ১০১;‌ তিনি ইংলিশ লীগে ৪০৯টি ম্যাচ খেলেন) এবং জেসপার গ্রোঙ্কজার (ম্যাচ: ৮০ এবং গোল: ৫; এই বাম পায়ের উইঙ্গার ক্লাব পর্যায়ে ৪০০টি ম্যাচ খেলেন যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল আয়াক্স এবং চেলসি)।

সারাবাংলা/এসআইটি/এসএস

কাতার বিশ্বকাপ কাতার বিশ্বকাপ ২০২২ ডেনমার্ক দল পরিচিতি ফুটবল বিশ্বকাপ ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২২

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

কানপুরে প্রথম দিনে বৃষ্টির দাপট
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৩৫

সম্পর্কিত খবর