শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনাল জিতে বিসিএলের শিরোপা উত্তরাঞ্চলের
২৮ নভেম্বর ২০২২ ০১:৪৮
জয়ের জন্য ২ উইকেট হাতে রেখে শেষ ওভারে দক্ষিণাঞ্চলের প্রয়োজন ছিল ১০ রান। শেষ দিকে দক্ষিণাঞ্চলকে একাই টেনে নেওয়া অর্ধশতক পেরুনো নাসির হোসেন অপরাজিত ছিলেন বলে শিরোপার সুবাস পাচ্ছিল দক্ষিণাঞ্চল। কিন্তু ওভারের প্রথম বলেই সব ওলটপালট! শফিকুল ইসলামের বল ডিপ লং অনে পাঠিয়ে ডাবল নিতে গিয়ে রান আউট নাসির। ওভারের শেষ বলে চার মেরেছেন পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি। তবে আগের পাঁচ বল থেকে মাত্র ২ রান উঠল বলে কাছে গিয়েও শিরোপা জেতা হয়নি দক্ষিণাঞ্চলের।
শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে ৩ রানে জিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে উত্তরাঞ্চল। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে এর আগে হারেনি দক্ষিণাঞ্চল। হেরে গেল একেবারে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে।
রোববার (২৮ অক্টোবর) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডয়ামে দিবারাত্রীর বিসিএল ফাইনালটা হলো তুমুল হাড্ডাহাড্ডি। আগে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রান তোলে উত্তরাঞ্চল। জবাব দিতে নেমে দক্ষিণাঞ্চলের ওপেনিং জুটি বেশিদুর এগুয়নি।
নাইম শেখ আউট হয়েছেন ১১ রান করে। তবে অপর ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও তিনে নামা জাকির হোসেন দ্বিতীয় উইকেটে শতরানের জুটি গড়ে তোলেন। এই দুজন যখন ক্রিজে ছিলেন মনে হচ্ছিল সহজেই জিততে যাচ্ছে দক্ষিণাঞ্চল। কিন্তু দলীয় ১১৭ রানের মাথায় এনামুলের ভুল কলে জাকির রান আউট হয়ে ফিরলে যেন পথ হারায় দলটি।
মাত্র ১০ রানের ব্যবধানে পাঁচ উইকেট হারায় মেহেদি হাসান মিরাজের দল। যার ৪টি উইকেটই নেন তরুণ স্পিনার রাকিবুল হাসান। তবে নাসির হোসেন একপ্রান্ত ধরে অবিচল ছিলেন। তার ব্যাটেই শিরোপা জয়ের কাছাকাছি গিয়েছিল দক্ষিণাঞ্চল। যদিও ঝুঁকি নিতে গিয়ে শেষের হিসেবটা মেলাতে পারেননি নাসির। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪১ রানে থেমেছে দক্ষিণাঞ্চল। ৮৯ বল থেকে ৬১ রান করেন নাসির। এছাড়া এনামুল হক বিজায় ৪৮ বলে ৫৯ ও জাকির হোসেন ৩৯ বলে ৪২ রান করেছেন। উত্তরাঞ্চলের হয়ে ১০ ওভারে ২৮ রান খরচায় চার উইকেট নিয়েছেন রাকিবুল।
এর আগে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি উত্তরাঞ্চলের। ৪৫ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারায় দলটি। তারপর দুই অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ ও ফজলে মাহমুদ রাব্বি হাল ধরেন। তবে দুজন বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে পারেননি বলে উত্তরাঞ্চলের বড় স্কোর পাওয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়।
শেষ দিকে আকবর আলী ও শামীম হোসেন পাটোয়ারির দুটি কার্যকারী ইনিংসে সেই শঙ্কা মিলিয়ে গেছে। ফজলে রাব্বি ১১৪ বল খেলে ৬৫ রান করেছেন। মাহমুদউল্লাহ ৫৩ বল খেলে করেছেন ৩৯ রান। আকবর আলী ৪১ বলে করেন ৪১ রান। শেষ দিকে শামীম পাটোয়ারি মাত্র ২০ বল খেলে তোলেন ৩৭ রান।
শিরোপা না জিতলেও সর্বোচ্চ রান ও সর্বোচ্চ উইকেট দুটিতেই দক্ষিণাঞ্চলের নাম। দলটির ওপেনার নাঈম শেখ টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ২১০ রান করেছেন। একই দলের মেহেদি হাসান মিরাজ নিয়েছেন সর্বোচ্চ ১০টি উইকেট।
সারাবাংলা/এসএইচএস