কাসাব্লাঙ্কা থেকে গাজা উপত্যকা— মরক্কোর জয়ে উন্মাতাল আরব বিশ্ব
১১ ডিসেম্বর ২০২২ ০০:০০
প্রথম কোনো আরব-আফ্রিকান দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল মরক্কো। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালকে ১-০ গোলে হারিয়ে ইতিহাস রচনা করেছে উত্তর আফ্রিকার আরব দেশটি। এর আগে শেষ ষোলোর ম্যাচে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেনকে হারিয়েছে মরক্কো।
মরুর বুকে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে মরুর দেশের এমন সাফল্য উদযাপন শুধু মরক্কোর সীমানাতেই আটকে থাকেনি। মরক্কোর শহর কাসাব্লাঙ্কার রাস্তা আর গাজা উপত্যকা যেন আজ একই। কাতার থেকে গাজা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে বিজয় উৎসব। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হাজারো মানুষ টেলিভিশনের সামনে বসে মরক্কোকে সমর্থন জানান।
ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গেই গাজা উপত্যকার রাস্তায় মিছিল বের হয়। সমবেত জনতার বিজয় উদযাপন ছিল বাঁধভাঙা। আল জাজিরার স্থানীয় সাংবাদিক বলছেন, ফিলিস্তিনিরা রাতভর মরক্কোর বিজয় উদযাপন করবেন।
দোহার বাসিন্দা মরক্কো সমর্থক ৩২ বছর বয়সী আমিনা ব্রুক জানান, মরক্কোর জন্য গর্বিত তিনি। পর্তুগালকে মরক্কো হারাবে এটা তিনি আগেই ধারণা করেছিলেন।
তিনি বলেন, আমি মোটেও অবাক নই, আমরা দুর্দান্ত খেলেছি। আজ পর্তুগালের জয়ের কোনো উপায় ছিল না। আমাদের দল, আমাদের খেলোয়াড় এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে আল্লাহর প্রতি আমাদের বিশ্বাস ছিল। আল্লাহ যখন আপনার সঙ্গে থাকেন, তখন কেউ আপনাকে পরাজিত করতে পারবে না।
কাসাব্লাঙ্কা থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক জানান, এখানে এটা একেবারেই বৈদ্যুতিক শকের মতো ব্যাপার। এখানকার লোকেরা নাচছে, উদযাপন করছে এবং এটি সারা রাত ধরে চলবে।
আল জাজিরার সাংবাদিক বলেন, খেলা শেষ হওয়ার কয়েক মুহূর্ত আগে দর্শকরা প্রার্থনা করছিলেন, কাঁদছিলেন। তারা তাদের দলের জয়ের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
মরক্কোতে বিজয় উদযাপনের জন্য অন্তত দুটি পরিবার সৌদি আরব থেকে উড়ে এসেছে, আরেকটি কাতার থেকে মরক্কোতে এসেছে। অনেকেই মরক্কোবাসীদের সঙ্গে বিজয় উদযাপনের জন্য সেদেশে রওয়ানা হয়েছে।
বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলা দেখতে আরব বিশ্ব থেকে বহু মানুষ মরক্কোতে জড়ো হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
সারাবাংলা/আইই
কাতার বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনাল পর্তুগাল বনাম মরক্কো ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২২