বায়ার্নের মাঠে ড্র করে সেমিতে ম্যানসিটি
২০ এপ্রিল ২০২৩ ০৩:২৩ | আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৩ ১৩:১৭
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ৩-০ গোলের ব্যবধানে জিতে সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছিল ম্যানচেস্টার সিটি। তবে দ্বিতীয় লেগে অ্যালিয়েঞ্জ অ্যারেনায় মিরাকলের অপেক্ষায় ছিল বায়ার্ন মিউনিখ। তবে বাভারিয়ানরা ঘটাতে পারেনি কোনো অঘটন। দারুণ লড়াই চালালেও শেষ পর্যন্ত পারেনি স্কোরশিটে তার প্রতিফলন ঘটাতে।
শেষ পর্যন্ত বায়ার্নের মাঠে ম্যানসিটি এর্লিং হালান্ডের গোলে এগিয়ে যায় সিটি। এরপর শেষ দিকে এসে জশুয়া কিমিখের গোলে সমতায় ফেরে বায়ার্ন। তবে তাতে কেবল হারই এড়াতে পারে বাভারিয়ানরা। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ গোলের ব্যবধানে জিতে সেমিফাইনালের টিকিট হাতে নিল পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটি।
বায়ার্নের বিপক্ষে ম্যাচের প্রথমার্ধেই শেষ টানতে পারতো সিটি। তবে প্রথমার্ধে পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন এর্লিং হালান্ড। আর তাতেই ম্যাচে এবং সেমিফাইনালের স্বপ্নে টিকে থাকে বায়ার্নের।
ম্যাচের সপ্তদশ মিনিটে দারুণ এক প্রতি-আক্রমণে সুবর্ণ সুযোগও পায় স্বাগতিকরা। কিন্তু সতীর্থের থ্রু পাস ধরে ডি বক্সে ঢুকে ওয়ান-অন-ওয়ানে লেরয় সানে সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন। আর তাতেই এগিয়ে যাওয়া হয়নি বায়ার্নের। দুই মিনিট পর বড় বাঁচা বেঁচে যায় স্বাগতিকরা। পাল্টা আক্রমণে সবাইকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়া হালান্ডকে পেছন থেকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন ডায়োট উপামেকানো। তবে তার আগেই কিঞ্চিৎ ব্যবধানে নরওয়ের ফরোয়ার্ড অফসাইড থাকায় সিদ্ধান্ত পাল্টান রেফারি।
৩৫তম মিনিটে আবার উপামেকানোর ভুলে মহাবিপদে পড়তে বসেছিল বায়ার্ন। ডি-বক্সে ফরাসি এই ডিফেন্ডারের হাতে বল লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিকে সব অনিশ্চয়তা একরকম শেষ করে দিতে পারতেন হালান্ড। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে উড়িয়ে মারেন সিটির জার্সিতে অভিষেক মৌসুমেই ৪৭ গোল করা এই স্ট্রাইকার।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ৫৭তম মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইনের পাস ধরে এগিয়ে গিয়ে দারুণ এক গোল করেন হালান্ড। এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতা হালান্ডের মোট গোল হলো আট ম্যাচে ১২টি। চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সংখ্যাটা ৪৮। আর তাতেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যায় সিটিজেনদের।
এরপর ম্যাচের শেষ দিকে এসে এমেরিক লাপোর্তের একটি ফাউলের ঘটনায় আবারও ডাগআউটে বাজেভাবে প্রতিবাদ জানানোয় দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন বায়ার্ন কোচ। হতাশাময় ম্যাচে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন থমাস তুখেল। আর শেষ দিকে এসে পেনাল্টি থেকে গোল করে বায়ার্নকে সমতায় ফেরান জশুয়া কিমিখ। এতেই হার এড়ায় বায়ার্ন। তবে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ গোলের ব্যবধানে জিতে সেমির টিকিট কাটে ম্যানচেস্টার সিটি।
অন্যদিকে বেনফিকার মাঠে ২-০ গোলে জয়ের পর দ্বিতীয় লেগে সান সিরোতে ইন্টার মিলান ৩-৩ গোলে ড্র করে। এতেই দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩ গোলের ব্যবধানে জিতে সেমির টিকিট কাটে ইন্টার।
সেমিফাইনালে ইন্টার খেলবে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এসি মিলানের বিপক্ষে। আর ম্যানচেস্টার সিটির প্রতিপক্ষ চ্যাম্পিয়নস লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ।
সারাবাংলা/এসএস
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ এর্লিং হালান্ড কোয়ার্টার ফাইনাল টপ নিউজ বায়ার্ন মিউনিখ বনাম ম্যানচেস্টার সিটি