কাজী সালাউদ্দিনকে বহিস্কার
৩ মে ২০২৩ ২১:৩৪ | আপডেট: ৪ মে ২০২৩ ০১:৩৭
সাংবাদিকদের নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকে সম্মানসূচক সদস্যপদ থেকে বহিস্কার করেছে বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতি (বিএসপিএ)। ২০১২ সালে কিংবদন্তি খেলোয়াড় সালাউদ্দিনকে সম্মানসূচক সদস্যপদ দিয়েছিল সংগঠনটি।
বুধবার (৩ মে) কার্যনির্বাহী কমিটির এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসপিএ। সংগঠনটির পক্ষ থেকে বহিস্কারের বিষয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘পরীক্ষিত ক্রীড়া সংগঠক, কিংবদন্তি খেলোয়াড় এবং মিডিয়া–সংশ্লিষ্ট ক্রীড়া সংগঠকদের অনারারি সদস্যপদ দেওয়ার রেওয়াজ আছে এ সংগঠনের। এ ধারায় বিএসপিএ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক প্রধান ও বর্তমানে মাননীয় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালসহ অনেক ক্রীড়া ব্যক্তিত্বকে সম্মানিত করেছে অনারারি সদস্যপদ দিয়ে। একইভাবে কাজী মো. সালাউদ্দিনকে অনারারি সদস্যপদ দেওয়া হয়েছিল। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে তাঁর আচরণ, বক্তব্য সবকিছুই এই ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া সাংবাদিক সংগঠনের মতাদর্শের পরিপন্থী। তাঁর কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ক্রীড়া সাংবাদিকদের আত্মসম্মানে আঘাত হেনেছে।’
আরও বলা হয়েছে, ‘সাংবাদিকদের ওপর তাঁদের কতটা বিদ্বেষ, সেটা প্রকাশ পেয়েছে তাঁদের কথাবার্তায়। তাঁরা শুধু সাংবাদিকদের নয়, তাঁদের পরিবার এমনকি সাংবাদিকদের মা-বাবাকে পর্যন্ত কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। এটা পুরো সাংবাদিক সমাজকে ভীষণভাবে আহত করেছে।’
একই সঙ্গে সাংবাদিকদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় কাজী সালাউদ্দিনের প্রতি নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে। সালাউদ্দিনের পদত্যাগও দাবি করেছে সংগঠনটি।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিও (ডিআরইউ) কাজী সালাউদ্দিনের পদত্যাগ দাবি করছে। তার মন্তব্যকে কুরুচিপূর্ণ, বিদ্বষপ্রসূত ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ, বলেছে ডিআরইউ।
উল্লেখ্য, গত পরশু বাফুফের নির্বাহী কমিটির সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনের আগে ক্রীড়া সাংবাদিকদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন কাজী সালাউদ্দিন। সালাউদ্দিন বাফুফে কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘জার্নালিস্টরা এখানে ঢুকতে গেলে, আমার এখানে তাদের বাপের ছবি দিতে হবে। কন্ডিশন হলো, তারা বাপের ফটো পাঠাবে জুতা পরা, ঠিক আছে এটা ম্যান্ডেটরি, বাপের জুতা পরা ছবি থাকতে হবে।’ তার এই কথা সাংবাদিকদের রেকর্ডারে রেকর্ড হয়ে যায়। পরে সেটা প্রচার হলে সমালোচনার ঝড় উঠে চারিদিকে।
অবশ্য এরই মধ্যে নিজের কর্মকাণ্ডের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন কাজী সালাউদ্দিন। তবে তাতেও বিতর্কের রেস কমেনি।
সারাবাংলা/এসএইচএস