বোর্ডের সঙ্গে কোয়াবের স্বার্থের সংঘাত হবে না: দুর্জয়
২০ মে ২০২৩ ১৮:০৯
ক্রিকেটার্স ওয়ালফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (কোয়াব) বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে আবারও সংগঠনটির সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবি পরিচালক নাঈমুর রহমান দুর্জয়, সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আবারও বসেছেন দেবব্রত পাল।
গত ১১ বছর ধরে এই দুজন সংগঠনটির নেতৃত্বে ছিলেন। নতুন করে আবারও তারাই মনোনিত হলেন। নতুন করে দায়িত্ব পাওয়া নাঈমুর রহমান দুর্জয় বললেন, ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে স্বার্থের কোনো সংঘাত হবে না কোয়াবের।
ক্রিকেটারদের স্বার্থ রক্ষার্থে মূলত কোয়াব প্রতিষ্ঠিত। ক্রিকেটারদের দাবি-দাওয়া বোর্ডের কাছে উপস্থাপন এবং আদায় করাই এই সংগঠনের মূল কাজ। গত ১১ বছর ধরে এই সংগঠনের নেতৃত্বে থাকা নাঈমুর রহমান দুর্জয় বোর্ডেরও প্রভাবশালী একজন পরিচালক।
ফলে বোর্ডের একজন পরিচালকের দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় তিনি ক্রিকেটারদের স্বার্থ আদায়ে কোয়াবের হয়ে কতটা ভূমিকা রাখতে পারবেন এমন প্রশ্ন অনেক দিনের। ২০১৯ সালে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে ক্রিকেটাররা যে আন্দলনের ডাক দিয়েছিলেন তাতে অন্যতম দাবি ছিল কোয়াব সংস্করণ।
নতুন করে সভাপতির দায়িত্ব পাওয়া নাঈমুর রহমান অবশ্য বলছেন, বোর্ডের সঙ্গে কোয়াবের কোনো স্বার্থের সংঘাত হওয়ার সুযোগ নেই।
শনিবার (২০ মে) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি বলেন, ‘কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট (স্বার্থের সংঘাত) আগে ছিল। যখন বোর্ড কোয়াবকে স্বীকৃতি দিত না। এখন বোর্ড স্বীকৃতি দিয়েছে, এখন আর সুযোগ নেই। আমাদের কোয়াবের প্রতিনিধি হিসেবে একজন কিন্তু নির্বাচন (বোর্ড নির্বাচন) করতে পারে, পরিচালক হতে পারে। ক্রিকেটারদের এক্সেসটা বোর্ডে বাড়ার জন্য আমরা তিন জন সাবেক অধিনায়ক আছি। যার মধ্যে একজন ক্যাটাগরি থ্রিতে নির্বাচন করেছে। বাকি দুইজন আমরা ডিভিশন থেকে এসেছি।’
‘আমাদের মিঠু ভাই আছেন, তানভির আহমেদ টিটু, মাহবুব আনাম ভাই, জালাল ইউনুস ভাই আছেন। অনেকগুলো সাবেক ক্রিকেটার আছেন। ফলে ক্রিকেটারদের এক্সেসটা বাড়ার কারণে আমাদের কাজগুলো অনেকটা সহজ হয়ে গেছে। এখন কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্টে ক্রিকেটাররাই যদি না যায়, আমরা তো যাব না। কাজেই ক্রিকেটারদের আগ্রহ বা চাহিদা আমরা বোর্ডের ভেতরে থেকে যদি সমাধান করতে পারি, আমার মনে হয় এর চেয়ে ভালো কোনো অপশন নেই।’
নতুন দায়িত্ব পাওয়া দুর্জয় বলেছেন, কোয়াবের কাজের পরিধি এখন আরও বাড়বে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাজ করার যে পরিধি, সেটা একই থাকবে। এর সঙ্গে নতুন সংযোজন করব। আজকেও আমরা বোর্ড প্রেসিডেন্টের কাছে কিছু দাবি, অনুরোধ তুলে ধরেছি। যেগুলো ক্রিকেটারদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট। সেগুলো বাস্তবায়ন এবং আরও নতুন কিছু পরিকল্পনা হাতে নেওয়া। এছাড়া (কোয়াবে) নারী ক্রিকেটারদের সংযোজন। এটা নিয়ে আমরা কাজ করতে চাই।’
আজ কোয়াবের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হোসেন পাপনসহ বেশ কয়েকজন বোর্ড পরিচালক উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে। উপস্থিত ছিলেন প্রায় হাজার খানেক ক্রিকেটার।
নতুন কমিটির নেতৃত্বে আসতে আগ্রহীর নাম চাওয়া হয়। কিন্তু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদে কোনো নামই আসেনি। পরে বিসিবি পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির প্রধান তানভীর আহমেদ সভাপতি হিসেবে আবারও নাঈমুর রহমান দুর্জয় ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেবব্রত পালের নাম প্রস্তাব করেন। উপস্থিত কাউন্সিলরদের সমর্থনে সেই প্রস্তাবই গৃহীত হয়।
সারাবাংলা/এসএইচএস