মিরপুর টেস্টে আজ দ্বিতীয় দিনের শুরুতে আফগানিস্তানের বোলিং আক্রমণ ভুগিয়েছে বাংলাদেশকে। স্বাগতিকরা এখন উল্টো ভোগাচ্ছে আফগানদের। বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে রীতিমতো ধুঁকছে আফগানিস্তান। বাংলাদেশের ৩৮২ রানের জবাব দিতে নেমে ১৪৪ রানেই ৮ উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় দিনের চা বিরতিতে গেছে আফগানিস্তান।
অর্থাৎ মিরপুর টেস্টে এখনো ২৪২ রানে পিছিয়ে সফরকারীরা। হাতে আছে মাত্র ২ উইকেট। আফগানরা তাই ইনিংস পরাজয়ের শঙ্কাতেও পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আফগানদের প্রথম আঘাতটা দেন শরিফুল ইসলাম। শরিফুলের দারুণ এক সুইং বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ইব্রাহিম জাদরান। আফগান ওপেনার ফিরেছেন ৬ রান করে।
খানিক বাদে আব্দুল মালিককে ফেরান ইবাদত হোসেন চৌধুরী। ইবাদতের দারুণ এক বাউন্স বল সামলাতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন আব্দুল মালিক। তিনি ফেরার আগে করেন ১৭ রান। দ্বিতীয় দিনের মধ্যাহ্ন বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে আবারও উইকেট পেয়েছেন ইবাদত।
ইবাদতের লাফিয়ে উঠা বলে তাসকিন আহমেদের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়েছেন রহমত শাহ। আফগানদের অভিজ্ঞ ব্যাটার ফিরেছেন মাত্র ২ রান করে। মধ্যাহ্ন বিরতির পর উইকেট দখলের মিছিলে ইবাদতের সঙ্গে বাংলাদেশের স্পিনাররাও যুক্ত হয়েছেন।
মধ্যাহ্ন বিরতির পর আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদিকে ফেরান শরিফুল ইসলাম। শরিফুলের বাড়তি বাউন্স বল ঠিকভাবে সামলাতে পারেননি ৯ রান করা শাহিদি। স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন মেহেদি হাসান মিরাজের হাতে। এরপর বলার মতো একটা জুটি গড়তে পেরেছেন আফগান দুই ব্যাটার আফছার জাজাই ও নাসির জামিল। পঞ্চম উইকেটে ৬৫ রান তোলেন দুজন।
তবে এই জুটি ভাঙতেই আবারও ধস নামে আফগান শিবিরে। দলীয় ১১৬ রানের মাথায় নাসির জামিলকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ৪৩ বলে ৩৫ রান করে ফেরেন নাসির। পরের ওভারেই আফছার জাজাইকেও ফেরান ইবাদত হোসেন।
ইবাদতকে তুলে মারতে গিয়ে সীমানায় ক্যাচ হয়েছেন জাজাই, ফিরেছেন ৪০ বলে ৩৬ রান করে। খানিক বাদে ইবাদতের বাড়তি বাউন্স বল ঠিকভাবে খেলতে না পেরে শর্টে মুমিনুলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন আমির হামজা। একটু পর ইয়ামিন আহমেদজাইকে ফিরিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। তাইজুলের স্পিন বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন ইয়ামিন।
সাত নম্বরে নেমে ২১ রানে অপরাজিত করিম জানাত। তার চা বিরতিতে যাওয়ার আগে তার সঙ্গে শূন্য রানে অপরাজিত ছিলেন নিজাত মাসুদ। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল বোলার ইবাদত হোসেন। ৪৭ রানে চার উইকেট নিয়েছেন তিনি।