দুর্দান্ত মাহমুদউল্লাহ, খাদের কিনারা থেকে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জিং স্কোর
১১ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:৫৪ | আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৪ ২১:০৩
দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার দারুণ শুরু এনে দিলেও হঠাৎ-ই যেন মড়ক লাগল বাংলাদেশের ইনিংসে। মাত্র ১৯ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট পরে গেলে একেবারে খাদের কিনারায় গিয়ে ঠেকে বাংলাদেশ। সেখান থেকে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ ও অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ গড়লেন দুর্দান্ত প্রতিরোধ।
পঞ্চম উইকেটে স্মরণীয় জুটি গড়েন দুজন। যাতে একটা সময় খাদের কিনারায় পৌঁছে যাওয়া বাংলাদেশ শক্ত স্কোর গড়েছে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয়টিতে আগে ব্যাটিং করতে নামা বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ২৪৪ রান তুলেছে।
মাহমুদউল্লাহ ব্যাটিংয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন বটে তবে মাঠ ছাড়তে হয়েছে হতাশা নিয়ে। মাত্র ২ রানের জন্য ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি মিস করেছেন তিনি। ইনিংসের শেষ বলে রান আউট হয়েছেন ৯৮ রানে। অবশ্য তাতে মাহমুদউল্লাহর দায়ও হয়ত দেখবেন কেউ কেউ। কারণ শেষ ওভারে তার সঙ্গে ক্রিজে ছিলেন নবম ব্যাটার শরিফুল ইসলাম। তবু সেই ওভারে দুবার সিঙ্গেল নিয়ে শরিফুলকে স্ট্রাইক দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।
রোববার (১১ অক্টোবর) শারজা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিতীয়বার ভাবেনি বাংলাদেশ। কারণ শারজার পিচে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করা বরাবরই কঠিন। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের শুরুটা মন্দ হয়নি।
দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার প্রথম উইকেট জুটিতে ৫৩ রান তোলেন। এরপর হঠাৎ যেন মড়ক লাগল বাংলাদেশ ইনিংসে! আজমতউল্লাহ উমরজায়ের বল স্ট্যাম্পে টেনে এনে ২৩ বলে ২৪ রান করা সৌম্য সরকার বোল্ড হয়েছেন। মোহাম্মদ নবীর করা পরের ওভারের প্রথম বলে ক্যাচ দিয়েছেন অপর ওপেনার তানজিদ তামিমও (১৯)। মেহেদি হাসান মিরাজের ভুলে জাকির হাসানও যখন ফিরলেন বাংলাদেশের স্কোর তখন ৫৮/৩।
পুরো সিরিজে রানের জন্য সংগ্রাম করা বাংলাদেশের চতুর্থ ব্যাটার তাওহিদ হৃদয় ফিরেছেন দলীয় ৭২ রানে। হঠাৎ বিপদে পড়া বাংলাদেশ তারপর কতদূর যেতে পারে সেটা ছিল দেখার বিষয়। মিরাজ-মাহমুদউল্লাহর প্রতিরোধ সেখান থেকেই। নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর চোটে এই ম্যাচে নেতৃত্ব পাওয়া মেহেদি হাসান মিরাজ স্রেফ উইকেটে পরে থাকতে চেয়েছেন। অপর প্রান্তে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সাবলীল ব্যাটিং করেছেন।
বিপদের মুখে পঞ্চম উইকেটে ১৪৫ রান যোগ করেন দুজন। ফিফটির পর মেহেদি হাসান মিরাজ রানের গতি বাড়াতে গেলে এই জুটি ভাঙে। ১১৯ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ৬৬ রান করে ফেরেন মিরাজ। তারপর শেষের দিকের ব্যাটারদের কাছ থেকে খুব একটা সহায়তা পাননি মাহমুদউল্লাহ। তবে নিজে দলকে এগিয়ে নিয়েছেন দারুণভাবে। নিজেও সেঞ্চুরির সম্ভবনা জাগিয়েছিলেন।
যদিও শেষ পর্যন্ত সেটা আর সম্ভব হয়নি। ইনিংসের শেষ বলে রান আউট হওয়া মাহমুদউল্লাহ ৯৮ রান করতে ঠিক ৯৮ বলই খেলেছেন। ইনিংসে চার মেরেছেন ৭টি, ছক্কা ৩টি।
সারাবাংলা/এসএইচএস