পরিসংখ্যানে তামিমের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার—
৬ জুলাই ২০২৩ ১৪:৩৬
জিম্বাবুয়ের হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে রঙিন পোশাকে অভিষেক তামিম ইকবাল খানের। সময়টা ২০০৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি। এরপর আর পেছনে ফিরে দেখতে হয়নি। একে একে টি-টোয়েন্টি এবং পরের বছর অভিষেক সাদা পোশাকেও। এরপর দীর্ঘ ১৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের ওপেনিংয়ে চেনা মুখ তামিম ইকবাল খান। ২০২৩ সালে এসে থেমে গেলেন দেশসেরা এই ব্যাটারের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) জরুরি সংবাদসম্মেলন ডেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। ভারতে বসতে যাওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকে মাত্র কয়েক মাস দূরে থাকতে তামিমের এই আকস্মিক সিদ্ধান্ত চমকে দিয়েছে গোটা ক্রিকেটপ্রেমীদের।
সংবাদ সম্মেলনে তামিম ইকবাল বলেন, ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে গতকালকের ম্যাচটায় আমার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছি। এটার পেছনে কোনো সাডেন (আকস্মিক) সিদ্ধান্ত ছিল না। আমি এ বিষয়ে ভাবছিলাম। এটার ভিন্ন ভিন্ন কারণ আছে।’
বাংলাদেশের সেরা ওপেনার তো বটেই। দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে নিজের নাম উজ্জ্বল করেছেন গোটা বিশ্ব ক্রিকেটেই। তামিম ইকবাল ক্যারিয়ারে মোট ৩৮৯টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। যার মধ্যে ৭০টি টেস্ট, ২৪১টি ওয়ানডে এবং ৭৮টি টি-টোয়েন্টি।
তামিমের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার এক নজরে—
টেস্টে ৭০ ম্যাচে ৩৮.৮৯ গড়ে ৫১৩৪ রান করেছেন তামিম। সেঞ্চুরি ১০টি ও ফিফটি ৩১টি। এই সংস্করণে বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ও সেঞ্চুরি তার নামের পাশে।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে এই সংস্করণেই তার শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেললেন তামিম। ২৪১ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৩৬.৬২ গড়ে ৮৩১৩ রান করেছেন, সেঞ্চুরি ১৪টি, ফিফটি ৫৬টি।
আর টি-টোয়েন্টিতে ৭৮ ম্যাচে করেছেন ১৭৫৮ রান। এই সংস্করণে দেশের হয়ে একমাত্র তামিমই সেঞ্চুরি করেছেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২৫ সেঞ্চুরি করা তামিম তিন সংস্করণ মিলিয়ে ১৫ হাজারের বেশি রান করেছেন। যা বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
সারাবাংলা/এসএস