আগে ব্যাটিং করে বাংলাদেশি বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে ৩৩১ রান তোলে আফগানিস্তান। পরে আফগানদের বোলিংয়ের সামনে রীতিমতো অসহায়ই হয়ে পড়ল বাংলাদেশ। বিশাল টার্গেট পারি দিতে নেমে ৭২ রানে ছয় উইকেট হারানো বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত গুটিয়ে গেছে ১৮৯ রানে।
যাতে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৪২ রানের বিশাল জয় পেয়েছে আফগানিস্তান। এই জয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটা জিতে নিল সফরকারীরা। ডিএল ম্যাথডে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেটা ১৭ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ। ১১ জুলাই মাঠ গড়াবে তৃতীয় ওয়ানড। আফগানদের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়াতে হলে সেই ম্যাচে জিততেই হবে টাইগারদের।
শনিবার (৮ জুলাই) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ যে আফগানদের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হারতে যাচ্ছে সেটা অনেক আগেই আন্দাজ করা গেছে। বোলিং ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। পরে টপাটপ উইকেট হারিয়ে বিপদে পরেছে শুরুতেই।
ফজলহক ফারুকির বাউন্সারে দলীয় ১৫ রানে ফিরেছেন লিটন দাস। দ্রুত আরও দুই উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। দলীয় ২৫ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। লিটনের পরপর ফিরে যান নাজমুল হোসেন শান্ত, অনেকদিন পর ওয়ানডে দলে ফেরা নাঈম শেখ।
এরপর তরুণ তৌহিদ হৃদয়কে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু দুজনের প্রতিরোধ লম্বা হয়নি। দলীয় ৬৫ রানে রশিদ খানের অসাধারণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন হৃদয় (১৬)। এর কিছুক্ষণ পর মাত্র ৩ বলের ব্যবধানে ফিরে যান সাকিব আল হাসান (২৫) ও আফিফ হোসেন ধ্রুব। বাংলাদেশের হার মূলত সেখানেই নিশ্চিত হয়ে যায়।
মেহেদি হাসান মিরাজসহ অন্যদের নিয়ে বাকি সময়ে কেবল হারের ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করে গেছেন মুশফিকুর রহিম। শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৮৫ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৬৯ রান করেছেন মুশফিক। মেহেদি হাসান মিরাজ করেছেন ২৫ রান।
চোট নিয়ে খুঁড়িয়ে মাঠ ছাড়া ইবাদত হোসেন চৌধুরী ব্যাটিং করতে নামেননি। বাংলাদেশ ৪৩.২ ওভারে নবম উইকেট হারিয়েছে ১৮৯ রানের মাথায়। আফগানিস্তানের হয়ে ফজলহক ফারুকি ২২ রানে ও মুজিব উর রহমান ৪৪ রানে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন। ২৮ রানে দুই উইকেট নিয়েছেন রশিদ খান।
এর আগে আফগানিস্তান তিনশর বেশি স্কোর গড়েছে তাদের দুই ওপেনারের ব্যাটে। রহমতউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান দুজনেই সেঞ্চুরি করেছেন। দুজনের ওপেনিং জুটি ছিল ২৫৬ রানের। গুরবাজ রীতিমতো নাচিয়েছেন বাংলাদেশি বোলারদের।
সাকিব আল হাসানের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে ১১৯ বল খেলে ১৩টি চার ৮টি ছয়ে করেছেন ১৪৫ রান। ইব্রাহিম ১১৯ বল খেলে করেছেন ঠিক ১০০ রান। চার মেরেছেন ৯টি, ছক্কা ১টি।
দুই ওপেনার ক্রিজ ছাড়ার পর অবশ্য হুড়মুড় করে ভেঙে পরেছে আফগান ব্যাটিং লাইনআপ। শেষ দিকে মোহাম্মদ নবি একটা ‘মিনি ঝড়’ তুলেছেন বলে তিনশর ওপারে গিয়েছে আফগানিস্তান। শেষ দিকে মাত্র ১৫ বলে ২৫ রান করেছেন নবি। ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৩১ রানে থেমেছে আফগানিস্তান।
বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন হাসান মাহমুদ, মোস্তাফিজুর রহমান, সাকিব আল হাসান ও মেহেদি হাসান মিরাজ।