ক্রিকেটে ‘মানকাড’ আউট নিয়ে মাঝে মধ্যেই আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়। ক্রিকেটের নিয়মে এটা বৈধ রান আউট। কিন্তু অনেকে মনে করেন, বিষয়টি ভদ্রলোকের খেলা ক্রিকেটের সঙ্গে মানায় না। ‘মানকাড’ আউট ইস্যুটি আজ রোমাঞ্চ ছড়াল মিরপুরেও। মানকাড ইস্যুতে অনেকের হৃদয়ই জিতেছে বাংলাদেশ।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। টস হেরে বাংলাদেশ আগে বোলিং করতে নামলে ঘটনা ম্যাচের ৪৬তম ওভারে।
বোলিংয়ে ছিলেন হাসান মাহমুদ, ব্যাটিংয়ে নিউজিল্যান্ডের লোকি ফার্গুসন। নন-স্টাইক প্রান্তে ছিলেন ইশ শোধি। ওভারের চতুর্থ ডেলিভারিতে হাসান বল ছাড়ার আগেই পপিং ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যান নন-স্টাইক প্রান্তে থাকা ইশ শোধি। বিষয়টি খেয়াল করে স্ট্যাম্প ভেঙে দেন হাসান। ফিল্ড আম্পায়ার থার্ড আম্পায়ারের স্মরণাপন্ন হলে তিনি আউটও দিয়ে নেন শোধিকে।
ক্রিকেটের বিধানে এটা বৈধ রান আউট। ‘মানকড’ আউট বলা হয় যাকে। এরপর দারুণ একটা দৃষ্টান্তই স্থাপন করেছে বাংলাদেশ। আম্পায়ার আউট দিলেও শোধির বিরুদ্ধে ‘বিতর্কিত’ এই আউট উঠিয়ে নেয় বাংলাদেশ। শোধিকে ব্যাটিংয়ে ফেরার সুযোগ দেন এই ম্যাচে বাংলাদেশের অধিনায়ক লিটন দাস। মাঠ ছাড়তে থাকা শোধি আবারও ফিরে আসেন ব্যাটিংয়ে।
‘মানকড’ আউট করার পর ব্যাটারের উপর থেকে আউটের সিদ্ধান্ত তুলে নেওয়ার ঘটনা এর আগে কখনো ঘটেছিল কিনা গবেষণার বিষয়!
ক্রিকেটে এমন ঘটনা প্রথম ঘটেছিল ১৯৪৭ সালে। ভারত-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার টেস্ট সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার বিল ব্রাউনকে এভাবে আউট করেছিলেন ভারতের বিনু মানকড। এই আউটকে ‘অখেলোয়াড়সুলভ’ বলে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল তখন।
পরে বিনু মানকডের নামে এই আউটের নাম হয়ে যায় ‘মানকড’। তবে ক্রিকেট আইনের ৪২.১৫ ধারা অনুযায়ী এটা বৈধ রান আউট।
বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার সবকটি ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করছে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্যাটেলাইট টেলিভিশন জিটিভি। আর অনলাইন প্ল্যাটফর্ম র্যাবিটহোলবিডি‘তেও দেখা যাচ্ছে এই সিরিজ।