বিশ্বকাপে প্রতিবারই দারুণ স্কোয়াড নিয়ে আসে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু টুর্নামেন্ট যতই এগোতে থাকে, ততোই ফিকে হতে থাকে প্রোটিয়াদের দাপট। ‘চোকার্স’ উপাধিটা তাই বেশ ভালোভাবেই লেগে গিয়েছে তাদের গায়ে। তবে এবার ভারতের মাটিতে দেখা যাচ্ছে অন্য এক আফ্রিকাকে। প্রবল দাপটের সাথে নিজের অবস্থান জানান দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই পারফরম্যান্সের পেছনের রহস্যটা কি? সাবেক প্রোটিয়া ব্যাটার জেপি ডুমিনি মনে করেন, সঠিক কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণেই বিশ্বকাপে এমন বদলে যাওয়া আফ্রিকাকে দেখছে ক্রিকেটবিশ্ব।
ডুমিনি যে বিশ্বকাপগুলোতে খেলেছে, প্রতিবারই দক্ষিণ আফ্রিকা নিজেদের সেরাটা দিতে পারেনি। ২০১১, ২০১৫ কিংবা ২০১৯, তিনবারই হতাশ হতে হয়েছে তাদের। অল্প রান তাড়া করতে নেমে ব্যাটারদের ব্যর্থতা, দলের ভেতরে বাইরে নানা হস্তক্ষেপ, চাপ; সবকিছু মিলিয়ে হতাশাই যেন বিশ্বকাপে একমাত্র সঙ্গী ছিল আফ্রিকার।
তবে এবার দেখা মিলেছে অন্য এক দক্ষিণ আফ্রিকার। এক নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে পা হড়কানো ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারেনি আর কোনো দলই। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, বাংলাদেশকে রীতিমত গুড়িয়ে দিয়ে সেমির পথে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে মার্করামের দল। ডুমিনি বলছেন, দলের ভেতরে বাইরের সঠিক সিদ্ধান্তই এমন ফলাফলের পেছনের কারণ, ‘আমরা দলগত ভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছি বলেই এমন পারফরম্যান্স দেখা যাচ্ছে। আগের বিশ্বকাপগুলোতে আমরা অনেক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, বিশেষ করে যখন আমরা চাপে পরেছি। এবার আশা করি তেমনটা হবে না।‘
প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রতিপক্ষকে তুলোধুনো করছেন ক্লাসেন-ডি ককরা। কিন্তু রান তাড়া করতে গিয়ে ডাচদের বিপক্ষে ভেঙ্গে পড়েছে তাদের ব্যাটিং লাইনআপ। তাহলে কি শুধু প্রথমে ব্যাটিং করলেই ভালো করবেন মার্করামরা? ডুমিনি অবশ্য এটা মানতে রাজি নন, ‘আমি জানি মানুষ এই প্রশ্নটা অবশ্যই তুলবে। তবে আমি বিশ্বাস করি সব পরিস্থিতির জন্যই আমরা প্রস্তুত থাকব।‘
দক্ষিণ আফ্রিকা কি ডুমিনির এই ভরসার প্রতিফলন ঘটাতে পারবে এবার? নাকি আগের বিশ্বকাপগুলোর মতো এবারও খালি হাতেই ফিরতে হবে তাদের?
ওয়ানডে বিশ্বকাপের সবকটি ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করছে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্যাটেলাইট টেলিভিশন জিটিভি। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম র্যাবিটহোলবিডি‘তেও দেখা যাবে এবারের বিশ্বকাপ।