রিয়াদের ফিফটিতে ২০৪ রানে থামল বাংলাদেশ
৩১ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:০৮
কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৬ রানেই টপ অর্ডারের দুই ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর লিটন দাস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং সাকিব আল হাসান প্রতিরোধ গড়েন। লিটন, সাকিব ফিফটির আগে ফিরলেও রিয়াদ করেন ৫৬ রান। আর তাতেই বাংলাদেশের পুঁজি ২০৪ রানের। তবে এদিনও ৫০ ওভারের আগেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। ৪৫.১ ওভারে অল আউট হয় বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি এবং ওয়াসিম জুনিয়র। এছাড়া দুটি উইকেট নেন হারিস রউফ।
ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই ধাক্কা টাইগারদের। রানের খাতা খোলার আগেই ইনিংসের পঞ্চম বলে ড্রেসিং রুমে ফিরে গেলেন তানজিদ হাসান। এক ওভার পরে বল হাতে এসে তুলে নিলেন তিনে ব্যাট করতে নামা নাজমুল হোসেন শান্তর উইকেটও। এতেই বাংলাদেশ মাত্র ৬ রানে হারায় টপ অর্ডারের দুই ব্যাটারকে।
শাহিন শাহ আফ্রিদির হালকা ভেতরে ঢোকা ডেলিভারি ব্যাটে লাগাতে পারেননি তানজিদ। বল প্যাডে আঘাত করতেই জোরাল আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। কিছুক্ষণ ভেবে রিভিউ নেন বাঁহাতি ওপেনার। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় বলের পিচিং ও ইমপ্যাক্ট ঠিক থাকলেও হিটিংয়ে ক্ষেত্রে ছিল আম্পায়ার্স কল। ফলে রিভিউ বাঁচলেও ফিরতে হয় তানজিদকে।
তানজিদকে ফিরিতে ওয়ানডেতে ১০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন পাকিস্তানি এই পেসার। মাত্র ৫১ ম্যাচে এই মাইলফলক ছুঁয়ে ফেললেন ২৩ বছর বয়সী বাঁহাতি পেসার। পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে ওয়ানডেতে তার চেয়ে দ্রুত উইকেটের সেঞ্চুরি করতে পারেননি আর কোনো বোলার। সাকলাইন মুশতাক একশ উইকেট পূর্ণ করেন ৫৩ ম্যাচ খেলে।
সব মিলিয়ে দ্রুততম একশ উইকেটের রেকর্ড সন্দীপ লামিছানের। গত এপ্রিলে নিজের ৪২তম ম্যাচে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন নেপালি লেগ স্পিনার। পেসারদের মধ্যে আফ্রিদিই দ্রুততম। আগের রেকর্ড মিচেল স্টার্কের, ৫২ ম্যাচে।
তৃতীয় ওভারে নাজমুল হোসেন শান্তকে নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন আফ্রিদি।। শরীর থেকে বেশ দূরে থেকে ঘুরিয়ে খেলেছিলেন নাজমুল। শর্ট মিডউইকেটে উসামা মির ডানদিকে ঝুঁকে নিয়েছেন ভালো ক্যাচ। শান্ত ফেরেন ৪ রান করে। চারে ব্যাট হাতে আসেন মুশফিকুর রহিম। তবে দ্রুতই ফিরে যান মুশফিকও। দলীয় ২৩ রানে ৮ বলে ৫ রান করে আউট হন তিনি। এরপর আসেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
২৩ রানে তিন উইকেট হারিয়ে তখন রীতিমত ধুঁকছে বাংলাদেশ। দলের হাল তখন ধরেছেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার লিটন-মাহমুদউল্লাহ। পাকিস্তানের বোলারদের অনায়াসেই খেলেছেন দুইজন। দুজনে বেশ মারমুখিও হয়েছে সময়ে সময়ে। এতে রানের গতিও বেশ বেশ।
লিটন-মাহমুদউল্লাহর জুটিতে ১০০ পেরোয় বাংলাদেশ। এই জুটি যখন আরও বড় হওয়ার আশা জাগাচ্ছিল, ঠিক তখনই বাজে শট খেলে আউট হন লিটন। ৬৪ বলে ৪৫ রান করে ইফতিখারের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় তাকে। লিটন ফিরলেও ৫৮ বলে ফিফটি পূরণ করেন রিয়াদ। ফিফটির পরেই দলীয় ১৩০ রানে ৭০ বলে ৫৬ রান করে সাজঘরে ফিরে যান রিয়াদ। তার বিদায়ের পর ক্রিজে এসেই ফিরে যান তাওহিদ হৃদয়। ৩ বলে ৭ রান করেন তিনি।
শেষ দিকে মেহেদি হাসান মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন সাকিব আল হাসান। ৪৫ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। তবে দলীয় ১৮৫ রানে ৬৪ বলে ৪৩ রান করে আউট হন সাকিব। এরপর লড়াই চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন মিরাজ। দলীয় ২০০ রানে ৩০ বলে ২৫ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। এরপর দ্রুতই আরও দুই উইকেট হারিয়ে ৪৫ ওভার ১ বলে ২০৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
ওয়ানডে বিশ্বকাপের সবকটি ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করছে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্যাটেলাইট টেলিভিশন জিটিভি। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম র্যাবিটহোলবিডি‘তেও দেখা যাবে এবারের বিশ্বকাপ।
সারাবাংলা/এসএস
ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩ বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ