তানজিদ-জাদরানের ব্যাটে চট্টগ্রামের দ্বিতীয় জয়
২২ জানুয়ারি ২০২৪ ১৭:৩৮
আগে ব্যাটিং করে ১৩৬ রান তুলেছিল দুর্দান্ত ঢাকা। টি-টোয়েন্টিতে এই রান তেমন বড় সংগ্রহ নয়। তবে শীতের দিনে মিরপুরের মন্থর পিচে এই সংগ্রহকে ছোট বলাও যাবে না। তরুণ ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও শেষ দিকে আফগান ব্যাটার নাজিবুল্লাহ জাদরানের দারুণ ব্যাটিংয়ে জয় নিয়েই অবশ্য মাঠ ছেড়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
১৮.৪ ওভারে ছয় উইকেটের জয় নিশ্চিত করেছে চট্টগ্রাম। দশম বিপিএলে এখন পর্যন্ত তিন ম্যাচ খেলে চট্টগ্রামের এটা দ্বিতীয় জয়। অপর দিকে ঢাকা নিজেদের প্রথম ম্যাচ জিতলেও আজ দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে হেরে গেল।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৩৬ রানের জবাব দিতে নেমে চট্টগ্রামের শুরুটা উড়ন্ত হয়েছিল। শরিফুল ইসলামের প্রথম ওভার থেকে ১৯ রান তোলে ঢাকা। শ্রীলংকান ওপেনার অভিষকা ফার্নান্দো টানা তিনটি চার হাঁকান শরিফুলকে।
সেই শরিফুল নিজের চার বলের মধ্যে ফার্নান্দো ও ইমরানুজ্জামানকে ফেরালে ধাক্কা খায় চট্টগ্রাম। তবে অপর ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম অবিচলই ছিলেন। হুট করে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে ডাক পেয়ে বিশ্বকাপ খেলা তামিম অনেকদিন ধরেই রান পাচ্ছিলেন না। আজ বেশ স্বচ্ছেন্দে খেলেছেন।
তাসকিন আহমেদের বলে সীমানায় ক্যাচ হওয়ার আগে ৪০ বলে ৫টি চার ১টি ছয়ে ৪৯ রান করেছেন তানজিদ তামিম। তামিম ফেরার পর বাংলাদেশের অপর তরুণ শাহাদত হোসেন দ্বীপুকে নিয়ে এগুচ্ছিলেন আফগান ব্যাটার নাজিবুল্লাহ জাদরান। শাহাদত হোসেন ৩১ বলে ২২ রান করে ফিরলেও নাজিবুল্লাহ দলকে জিতিয়ে তবেই মাঠ ছেড়েছেন।
দলের জয় নিশ্চিত হওয়ার সময় ১৯ বলে ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন নাজিবুল্লাহ। তার ইনিংসে চার ১টি, ছক্কা ৩টি।
এর আগে লাথিস ক্রসপুল্লের ব্যাটে ১৩৬ রানের স্কোর গড়েছিল দুর্দান্ত ঢাকা। মিরপুরের পিচ এমনিতেই টি-টোয়েন্টি বান্ধব নয়। অতি শীতে পিচ আজ আরও মন্থর হয়ে পড়ল যেন! চলতি মৌসুমে ঢাকায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সকালে সূর্যের দেখা মিলেনি। কুয়াশায় আচ্ছন্ন ছিল ঢাকার আকাশ। রোদ না পাওয়ায় পিচ আরও স্লো হয়েছে।
স্লো পিচে আগে বোলিংয়ের সুযোগ দারুণাবে কাজে লাগিয়েছে চট্টগ্রাম। বন্দর নগরির দলটির পেসার আল-আমিন হোসেন নতুন বলে দারুণ বোলিং করেছেন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে আল-আমিনের নির্দয় এক বাউন্সার আঘাত হানে ঢাকার ওপেনার গুনাথিলাকার চোয়ালে।
চোয়ার ফেটে রক্ত বেরিয়ে পরে। মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন গুনাথিলাকা। ঢাকার প্রথম দিকের অপর ব্যাটার নাঈম শেখ, সাইফ হাসান, অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতরাও ব্যর্থ হয়েছেন। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ইরফান শুক্কুরের সঙ্গে লাথিস ক্রসপুল্লের দারুণ একটা জুটি হলো বলেই বলার মতো একটা সংগ্রহ দাঁড় করাতে পেরেছে ঢাকা।
ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৪৯ বলে ৭৩ রান তোলেন দুজন। এর মধ্যে শুক্কুর ২৬ বলে ২৭ রান করেন। আর ক্রসপুল্লে ৩১ বলে ৩টি চার ২টি ছয়ে ৪৬ রান করেন। গুনাথিলাকার ইনজুরির পর কনকাশন সাব হয়ে নেমেছিলেন ক্রসপুল্লে। চট্টগ্রামের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন আল-আমিন হোসেন ও বিলাল খান।
সারাবাংলা/এসএইচএস