বড় সংগ্রহ গড়েও জিততে পারল না বরিশাল
২২ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:১৬
তিন সিনিয়র ক্রিকেটার তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে ১৮৭ রানের বড় স্কোর গড়েছিল ফরচুন বরিশাল। তবে বড় সংগ্রহ গড়েও জিতে মাঠ ছাড়তে পারল না বরিশাল। খুলনা টাইগার্সের দুই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার এভিন লুইস ও শেই হোপ এবং এনামুল হক বিজয়ের দারুণ ব্যাটিংয়ে ৮ উইকেটে ম্যাচ হেরেছে বরিশাল।
দশম বিপিএলে দুই ম্যাচ খেলে দুটিতেই জয় পেল খুলনা। অপর দিকে তামিম ইকবালের বরিশাল নিজেদের প্রথম ম্যাচ জিতলেও আজ দ্বিতীয় ম্যাচে হেরে গেল।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খুলনা ১৮৭ রান তাড়া করে জিতবে এমনটা কজনই-বা মনে করেছিল। মিরপুরের পিচ এমনিতেই টি-টোয়েন্টির জন্য খুব একটা উপযোগী নয়। তার ওপরে শীতের দিনে পর্যাপ্ত রোদ না পাওয়াতে পিচ আরও মন্থর হয়ে পড়েছে। এমন পিচে ১৮৭ রান বড্ড কঠিনই।
কিন্তু খুলনার শুরুটা হলো উড়ন্ত। ক্যারিবিয়ান ওপেনার এভিন লুইস ওপেনিংয়ে নেমে রীতিমতো ঝড় তুলেছিলেন। লুইস ঝড়ে পাঁচ ওভারেই ৭৭ রান তুলে ফেলে খুলনা। ২০ বলে ফিফটি পূর্ণ করা লুইস ২২ বলে ৫৩ রান করে ফিরেছেন। চার মেরেছেন ৫টি, ছক্কাও ৫টি।
লুইসের ব্যাটে অনেকটাই এগিয়ে যায় খুলনা। তারপর তিনে নামা আফিফ হোসেন ধ্রুবকে নিয়ে বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলে এগিয়েছেন এনামুল হক বিজয়। দ্বিতীয় উইকেটে ৫৯ বলে ৭৫ রান তোলেন দুজন। আফিফ ৩৬ বলে ৪১ রান করে ফিরলে এই জুটি ভাঙে। তবে তাতে জিততে অসুবিধা হয়নি খুলনার।
ইনিংসের শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নেমে রীতিমতো ঝড় তোলেন শেই হোপ। খুলনার পক্ষে চারে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১০ বলে ২৫ রান করেছেন হোপ। যাতে ১৮ ওভারেই জয়ের জন্য ১৮৮ রান তুলে ফেলে খুলনা। এনামুল হক বিজয় ৪৪ বলে তিনটি করে চার-ছয়ে ৬৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।
এর আগে তিন সিনিয়র তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ ব্যাটে ১৮৭ রানের বড় সংগ্রহ গড়েছিল বরিশাল। টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে বরিশালের সূচনা ভালো হয়নি। নতুন বলে দারুণ বোলিং করেছেন খুলনার ক্যারিবিয়ান পেসার ওশানে থমাস ও স্পিনার নাহিদুল ইসলাম।
থমাসের দারুণ এক বলে ১৬ বলে ১১ রান করে ফিরেছেন ইব্রাহিম জাদরান। তবে অপরপ্রান্তে তামিম ইকবাল বেশ স্বাচ্ছেন্দে খেলেছেন। তিনে নামা সৌম্য সরকারকে নিয়ে দারুণভাবে এগুচ্ছিলেন তামিম। দারুণ খেলতে থাকা সৌম্য নিজের ভুলে রান আউট হয়ছেন ১০ বলে ১৭ রান করে।
এরপর মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে শক্ত একটা জুটি গড়েন তামিম। দুজন বেশ স্বাচ্ছন্দেই এগুচ্ছিলেন। কিন্তু তামিম নাসুম আহমেদের স্পিনে ঠিকভাবে শট খেলতে না পেরে সীমানায় ধরা পরলে এই জুটি ভাঙে। ফেরার আগে ৩৩ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৪০ রান করেছেন তামিম।
ততোক্ষণে ক্রিজে জমে গেছেন মুশফিকুর রহিম। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ পাঁচে নামলে দুজন মিলে শেষের ওভারগুলোতে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের রীতিমতো কচুকাটা করেছেন।
মাহমুদউল্লাহ ১৯ বলে দুটি করে চার-ছয়ে ২৭ রান করে ফিরেছেন। মুশফিক শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন। ৩৯ বল খেলে ৫টি চার ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৬৮ রান করেছেন মুশি।
খুলনার হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন ওশাানে থমাস, নাসুম আহমেদ ও মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ।
সারাবাংলা/এসএইচএস