টানটান উত্তেজনার ম্যাচে কুমিল্লার জয়
২৩ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:৩১
ফরচুন বরিশালের ১৬১ রানের জবাব দিতে নেমে ৮১ রানে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের যখন চতুর্থ উইকেট হারাল তখন ইনিংসের ১৩তম ওভারের খেলা চলছিল। ম্যাচ তখন পুরোপুরি বরিশালের দিকে হেলে। কিন্তু তারপর ইমরুল কায়েসের দারুণ এক প্রতিরোধ ও শেষ দিকে জাকের আলী এবং ম্যাথু ফোডের দারুণ নকে ম্যাচ জিতেই মাঠ ছেড়েছে কুমিল্লা।
টানটান উত্তেজনার ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেটে জিতেছে কুমিল্লা। হারে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল কুমিল্লা। আজ দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে প্রথম জয়ের দেখা পেল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। অপর দিকে জয় দিয়ে দশম বিপিএল শুরু করা বরিশাল টানা দুই ম্যাচ হারল।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৬১ রানের জবাব দিতে নেমে শুরুতে ভালোভাবে এগুতে পারেনি কুমিল্লা। শুরুর দিকের ব্যাটাররা বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে পারেননি। কুমিল্লার পাকিস্তানি ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান ১৫ বলে ১৮ রান করে আউট হয়েছেন। অপর ওপেনার লিটন দাস ফিরেছেন ১৮ বলে ১৩ রান করে। তিনে নামা তাওহিদ হৃদয় প্রথম বলেই ফিরে যান। প্রথম দিকে ছয়ের ঘরেই ছিল কুমিল্লার রানরেট।
তবে চারে নামা ইমরুল কায়েস দারুণ ব্যাটিং করেন। প্রথমে রোস্টন চেজ ও পরে জাকের আলীকে নিয়ে দারুণ কার্যকারী দুটি ইনিংস খেলেন ইমরুল। ইমরুল কায়েস ৪১ বলে ৪টি চার ৩টি ছয়ে ৫২ রান করে ফিরলে ফের বিপদে পড়ে কুমিল্লা। তবে শেষ দিকে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে কুমিল্লাকে জয় এনে দিয়েছেন জাকের আলী, খুশদিল শাহ ও ম্যাথু ফোড।
বরিশালের হারে প্রিতম কুমারের ‘অবদান’ও আছে অনেকটা! ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তিন তিনটি ক্যাচ ছেড়েছেন বরিশালের ক্রিকেটার। তার মধ্যে ইমরুল কায়েস, খুশদিল শাহর ক্যাচও ছিল। ছয়ে নামা খুশদিল ৭ বলে করেন ১৪ রান। সাতে নেমে ম্যাথু ফোড ৪ বলে ১ চার ১ ছয়ে ১৩ রান করেন। জাকির আলী ২০ বলে ২৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন। ১৯.৫ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য ১৬২ রান তুলে ফেলে কুমিল্লা।
এর আগে মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে ১৬১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করায় ফরচুন বরিশাল। টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমেছিল বরিশাল। মেকশিফট ওপেনার মেহেদি হাসান মিরাজকে নিয়ে ইনিংসের সূচনা করতে নেমেছিলেন তামিম ইকবাল। মিরাজ প্রথম বলেই ফিরেছেন।
তিনে নেমে প্রিতম কুমার ৭ বলে ৮ রান করে ফিরলে ২৬ রানে দুই উইকেট হারায় বরিশাল। আগের দুই ম্যাচে রান পাওয়া তামিম ইকবাল আজও বেশ ভালোই খেলছিলেন। তবে ইনিংসটা বড় করতে পারেননি। রোস্টন চেজকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ১৬ বলে ২টি চার ১টি ছয়ে ১৯ রান করে ফিরেছেন।
এরপর সৌম্য সরকারের সঙ্গে বলার মতো একটা জুটি হয় মুশফিকের। বরিশালের ইনিংসের মেরুদণ্ড এই জুটিটা। চতুর্থ উইকেটে ৪৫ বলে ৬৬ রান তোলেন দুজন। সৌম্য ৩১ বলে ৪টি চার ২টি ছয়ে ৪২ রান করে ফিরেছেন। এরপর শোয়েব মালিক ও মাহমুদউল্লাহ সঙ্গ দিতে পারেননি মুশফিকুর রহিমকে।
তবে মুশফিক একপ্রান্ত ধরে রেখে চালিয়ে খেলেই গেছেন। শেষ ওভারে সীমানায় ধরা পরার আগে ৪৪ বলে ৬২ রান করেছেন মুশফিক। ইনিংসে চার হাঁকিয়েছেন ৬টি, ছক্কা ২টি। ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬১ রানে থেমেছে বরিশাল।
কুমিল্লার হয়ে মোস্তাফিজুর রহমান ৩২ রানে তিনটি উইকেট নিয়েছেন। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন রোস্টন চেজ ও ম্যাথু ফ্রোড।
সারাবাংলা/এসএইচএস