প্রসঙ্গ নারী আম্পায়ার: কী ঘটেছিল মোহামেডান-প্রাইম ব্যাংক ম্যাচে
২৭ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:৫৫
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে (ডিপিএল) মোহামেডান বনাম প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের মধ্যে সুপার লিগের ম্যাচ নিয়ে বিতর্ক থামছেই না! প্রাইম ব্যাংকের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমের বিতর্কিত আউট নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। পরে ওই ম্যাচের ফিল্ড আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসিকে নিয়েও আলোচনা তৈরি হয়েছে।
আলোচনায় এসেছে, সাথিরা জাকির জেসি নারী বলে তার অধীনে ম্যাচ খেলতে আপত্তি জানিয়েছিলেন দুই দলের ক্রিকেটাররা। তবে দুই দলের দাবি, মূলত আম্পায়ার হিসেবে অভিজ্ঞ কাউকে তারা চাইছিলেন লিগের গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে। নারী নয়, জেসির অনভিজ্ঞতার কারণেই বিষয়টি নিয়ে তারা আলোচনা করেন। সেটিও অনানুষ্ঠানিকভাবে, নিজেদের মধ্যে।
মোহামেডান-প্রাইম ব্যাংকের ওই ম্যাচে মুশফিকুর রহিমের আউট নিয়ে বড় বিতর্ক তৈরি হয়। মুশফিকের শট বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ হলেও ফিল্ডারের পা বাউন্ডারি লাইন স্পর্শ করে। সেক্ষেত্রে ছক্কা হওয়ার কথা। তবে টিভি রিপ্লে ছিল না থাকায় এ ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিতে ফিল্ডারের বক্তব্যের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে আম্পায়ারদের। ফিল্ডারের বক্তব্য নিয়েই মুশফিককে আউট দিয়েছিলেন ফিল্ড আম্পায়ার। টিভি রিপ্লে না থাকায় এ ক্ষেত্রে আম্পায়ারকে দোষ দেওয়ার সুযোগ নেই। প্রাইম ব্যাংক সেটা করেওনি।
তবে আম্পায়ার হিসেবে জেসির বিকল্প প্রত্যাশা করছিল দুই দলই। এ ক্ষেত্রে ক্রিকেটাররা নন, বরং ক্লাবের কর্মকর্তারা কথা বলেছিলেন এ বিষয়ে। দুই দলের কেউই অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে আপত্তিটা তোলেননি। বিষয়টি মৌখিক পর্যায়েই ছিল।
মোহামেডানের ক্রিকেট সমন্বয় তরিকুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘লিগের জন্য এটি বড় ম্যাচ। মূলত আমরা বলছিলাম, এ রকম বড় ম্যাচে একজন অভিজ্ঞ আম্পায়ার দরকার ছিল। যারা নিয়মিত আম্পারিং করেন, আমরা তাদের আশা করছিলাম। সেটাই বলেছিলাম। তবে আমরা অফিসিয়ালি কোনো অভিযোগ এ বিষয়ে করিনি।’
প্রাইম ব্যাংক ম্যানেজার শিকদার আবুল হাশেম কঙ্কনও স্বীকার করেছেন আপত্তির কথা। তবে সেটি কেবল নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছেন বলে জানান তিনি। জেসি অনভিজ্ঞ হওয়ায় তার দল প্রাইম ব্যাংককে ভুগতে হয়েছে বলেও দাবি তার। কঙ্কন বলেন, ‘যেহেতু এটা বড় ম্যাচ, এখানে নিয়মিত যারা (আম্পারিং) করে, তাদের আশা করছিলাম। দেখেন, আমাদের একটা নিশ্চিত এলবিডব্লিউ ছিল, সেটি জেসি দেয়নি। আসলে বড় ম্যাচ অভিজ্ঞরাই দায়িত্ব পালন করে এসেছে। ওই দিন জেসিকে দেখে আমরা সেটিই নিজেদের মধ্যেই বলাবলি করছিলাম।’
ওই ম্যাচে ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব পালন করেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে কেউ লিখিত আপত্তি জানায়নি। আর আম্পায়ার নিয়ে আপত্তি থাকলে সেটা জানাতে হয় বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটিতে।’
২৫ এপ্রিলের ওই ম্যাচে সাথিরা জাকির জেসির সঙ্গে আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন এ আই এম মনিরুজ্জামান। তারা দুজনই পুরো ম্যাচ পরিচালনা করেন। ম্যাচে ৩৩ রানের জয় পায় মোহামেডান। রনি তালুকদারের ১৪১ রানের কল্যাণে ৩১৭ রান তুলেছিল আগে ব্যাটিং করা মোহামেডান। পরে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের ইনিংস থেমে যায় ২৮৪ রানে।
সারাবাংলা/এসএইচএস
ডিপিএল নারী আম্পায়ার প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব মোহামেডান সাথিরা জাকির জেসি