মোঃ সাইফুল আলম তালুকদার
১৪ জুন ২০২৪ ১৬:৩৬
পর্তুগাল কি পারবে এবার আট বছর ধরে বড় কোন শিরোপা না জেতার বৃত্ত থেকে বের হতে? সেজন্য চোখ রাখতে হবে ইউরো-২০২৪ টুর্নামেন্টির গ্রুপ-‘এফ’য়ে যেখানে পর্তুগাল প্রথম রাউন্ডে লড়বে চেকিয়া (প্রাক্তন চেক রিপাবলিক), তুরস্ক এবং জর্জিয়ার সঙ্গে। পর্তুগাল ভক্তরা এবার খেলা দেখবেন চোখের জল ভিজিয়ে কারণ তাদের ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর এটাই শেষ ইউরো টুর্নামেন্ট এবং সম্ভবত শেষ টুর্নামেন্টও বটে। নিরপেক্ষ ফুটবল ভক্তদের জন্যও কিংবদন্তি রোনালদোর বিদায় আহত করবে।
পর্তুগালের চূড়ান্ত ইউরো-২০২৪ স্কোয়াড:
গোল-রক্ষক: রুই প্যাট্রিসিও (এ.এস. রোমা), দিয়োগো কস্তা (এফ.সি. পোর্তো) এবং হোসে সা (উলভারহ্যাম্পটন)।
রাইট-ব্যাক: নেলসন সেমেদো (উলভারহ্যাম্পটন) এবং দিয়োগো দালোত (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড)।
সেন্ট্রাল-ডিফেন্ডার: কেপলার পেপে (এফ.সি. পোর্তো), রুবেন দিয়াস (ম্যানচেস্টার সিটি), আন্তোনিও সিলভা (বেনফিকা) এবং গনকালো ইনাসিও (স্পোর্টিং লিসবন)।
লেফট-ব্যাক: জোয়াও ক্যানসেলো (বার্সেলোনা) এবং নুনো মেন্ডেস (পিএসজি)।
ডিফেন্সিভ-মিডফিল্ডার: দানিলো পেরেইরা (পিএসজি), জোয়াও পালহিনহা (ফুলহাম) এবং রুবেন নেভেস (আল-হিলাল)।
অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার: ব্রুনো ফার্নান্দেস (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), বার্নার্দো সিলভা (ম্যানচেস্টার সিটি), জোয়াও নেভেস (বেনফিকা), ভিতিনহা ফেরেরা (পিএসজি) এবং ম্যাথিউস নুনেস (ম্যানচেস্টার সিটি)।
উইঙ্গার: রাফায়েল লিয়াও (এসি মিলান), ফ্রান্সিসকো কনসেইকাও (পোর্তো) এবং পেদ্রো নেটো (উলভারহ্যাম্পটন)।
ফরোয়ার্ড: ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো (আল নাসর), গনসালো রামোস (পিএসজি), দিয়োগো জোটা (লিভারপুল), এবং জোয়াও ফেলিক্স (বার্সেলোনা)।
কেমন দল গড়ল পর্তুগিজরা:
গোলরক্ষক পজিশন নিয়ে পর্তুগালকে দুশ্চিন্তা থেকে এড়াতে দলে আছেন এফ.সি পোর্তোতে খেলা ২৪ বছর বয়সী দিয়োগো কস্তা,, যিনি পর্তুগালের হয়ে ইতিমধ্যে ২১টি ম্যাচ খেলেছেন। পোর্তোর হয়ে একশোর উপরে লিগ ম্যাচ খেলা এই গোলরক্ষক গত বছর ইংল্যান্ডের বেশ কয়েকটি ক্লাব থেকে প্রস্তাব পেয়েছিলেন। দলের বাকি গোলরক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন ৩৬ বছর বয়সের রুই প্যাট্রিসিও, যিনি পর্তুগালের হয়ে ইতিমধ্যে ১০৮টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। ক্লাব দল রোমার হয়ে খেলা এই গোলরক্ষককে আমাদের প্রজন্মের সেরা পর্তুগিজ গোলরক্ষকদের একজন ভাবা হয়। তৃতীয় গোলরক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ৩১ বছর বয়সী হোসে সা, যিনি উলভারহ্যাম্পটনের হয়ে একশোর উপরে ম্যাচ খেলেছেন কিন্তু জাতীয় দলের হয়ে অদ্যাবধি মাত্র ২টি ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
ডিফেন্সের মধ্যে পর্তুগালের উইংব্যাক পজিশনটি তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী। জোয়াও ক্যান্সেলো হচ্ছেন এই দলের নেতা যিনি ডান এবং বাম দুই প্রান্তেরই উইংব্যাক পজিশনে খেলতে পারেন। ৩০ বছর বয়সী ক্যান্সেলোকে এই মুহূর্তে বিশ্বের একজন সেরা উইংব্যাক হিসেবে ভাবা হয়। অভিজ্ঞ এই ডিফেন্ডারটির ভ্যালেন্সিয়া, ইন্টারমিলান, জুভেন্টাস, ম্যানচেস্টার সিটি এবং বার্সেলোনার মত বড় বড় দলে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ডান প্রান্তের উইংব্যাক হিসেবে দায়িত্ব সামলাবেন নেলসন সেমেদো এবং দিয়োগো দালোত। এই দুজনেরই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ সহ বার্সেলোনা ও এ.সি মিলানের মত ক্লাবে খেলার প্রচুর অভিজ্ঞতা রয়েছে। বাম প্রান্তের উইংব্যাক হিসেবে ৫০টির উপরে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা ক্যান্সেলোর সহযোগী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন পিএসজিতে খেলা ২১ বছরের নুনো মেন্ডেস, যিনি ইতিমধ্যে পর্তুগালের হয়ে ২২টি ম্যাচে খেলে ফেলেছেন।
তাদের দলের সেন্ট্রাল ডিফেন্স পজিশনটিকে আমার কিছুটা দুর্বল মনে হয়। যদিও দলটিতে আছেন ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে খেলা বর্তমান বিশ্বের একজন সেরা সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার রুবেন দিয়াস। কিন্তু তার সহযোগী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ২০ ও ২২ বছর বয়সের আন্তোনিও সিলভা ও গনকালো ইনাসিও, যারা দুজনে মিলে এখন পর্যন্ত মাত্র ১৮টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। আর তাদের অভিভাবক হিসেবে থাকবেন ৪১ বছর বয়সী ১৩৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ ভিত্তিক অভিজ্ঞ কেপলার পেপে, যিনি কিনা বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে এবারের টুর্নামেন্টটিতে রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন। অর্থাৎ দিয়াস ছাড়া বাকি সেন্ট্রাল ডিফেন্ডারদের হয় বয়স অনেক কম অথবা বেশি বয়স্ক।
সেন্ট্রাল ডিফেন্ডারদের এই দুর্বলতা কাটাতে ৬ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতা বিশিষ্ট ৩২ বছর বয়সের ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার দানিলো পেরেইরা দিয়াসের পার্টনার হতে পারেন। এছাড়া ফুলব্যাক হিসেবে খেলতে অভিজ্ঞ ক্যান্সেলো এবং দালোতও সেন্ট্রাল ডিফেন্স খেলতে পারেন কারণ দুইজনেই ৬ ফুট উচ্চতার অধিকারী। সেই ক্ষেত্রে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের দায়িত্ব পালন করতে পারেন ফুলহামে খেলা ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি উচ্চতার জোয়াও পালহিনহা, যার পর্তুগালের হয়ে ২৭টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডে আরো থাকবেন ৪৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা আল-হিলালের রুবেন নেভেস।
আক্রমণাত্মক মিডফিল্ড পজিশনে দলের ব্যাটন থাকবে অভিজ্ঞতায় ভরপুর ডান পায়ে খেলা ব্রুনো ফার্নান্দেস এবং বাম পায়ের খেলোয়াড় বার্নার্দো সিলভার উপর। এই দুজন বল বানিয়ে দেবার কাজে প্রতিপক্ষকে ব্যস্ত রাখবে। ফার্নান্দেস এই মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে প্রতি খেলায় গড়ে ৩.২৩টি সুযোগ তৈরি করছেন। তিনি ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সুযোগ তৈরি করার পাশাপাশি সেট প্লে থেকে সর্বোচ্চ ৩৯টি সুযোগ তৈরি করেন। আন্তর্জাতিক ম্যাচে ফার্নান্দেসের গোল সংখ্যা সিলভার চেয়ে বেশি হলেও ফার্নান্দেস সিলভার পেছনে খেলবেন। সিলভা দলের প্রয়োজনে অনেক সময় উইঙ্গার পজিশনেও চলে যাবেন। আক্রমণ কাজে আরও সহযোগিতা করবেন পিএসজির ভিতিনহা ফেরেরা এবং ম্যানচেস্টার সিটির ম্যাথিউস নুনেস।
উইঙ্গার পজিশনে জার্মানি এবং স্পেনের মতো পর্তুগালের একাধিক উইঙ্গারের সমাহার না থাকলেও বাম পায়ের উইঙ্গার রাফায়েল লিয়াও এই টুর্নামেন্টেটিতে আলো ছড়াবেন, যিনি কিনা ডান এবং বাম দুই উইংয়েই খেলতে পারেন। এ.সি.মিলানের হয়ে ১৬৪ ম্যাচে ৪৭ গোল করা বিস্ফোরক গতিসম্পন্ন ৬ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতার লিয়াও ড্রিবলিংয়েও পারদর্শী। ফলে তিনি তার তীব্র গতি দিয়ে উইং পজিশন থেকে পেনাল্টি এরিয়ায় ত্রাস ছড়াবেন। বাকি দুই উইঙ্গার ফ্রান্সিসকো কনসেইকাও এবং পেদ্রো নেটো বয়স এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অনভিজ্ঞ, তারা দুজন মিলে এখন পর্যন্ত সর্বমোট মাত্র ৯টি ম্যাচে পর্তুগালের হয়ে খেলেছেন।
স্ট্রাইকিং লাইনে কিংবদন্তি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে থাকবেন গত বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে হ্যাটট্রিক অর্জনকারী গনসালো রামোস। পিএসজির রামোস সব সময় বিপক্ষ দলের বক্সে পুরনো স্ট্রাইকারদের মত ওঁত পেতে থাকবেন। ক্লাব দলে ২৯ ম্যাচে ১১ গোল করা এই স্ট্রাইকার ইতিমধ্যে জাতীয় দলের হয়ে মাত্র ১৩ ম্যাচে ৮টি গোল করেছেন। এছাড়াও এই পজিশনে গোল করবার জন্য আছেন ক্লাব ও জাতীয় দলে অভিজ্ঞ জোয়াও ফেলিক্স এবং দিয়োগো জোটা। লিভারপুলে খেলা জোটার গোল সংখ্যা বার্সেলোনার ফেলিক্সের চাইতে বেশি হওয়ায় ম্যাচে সুযোগ পাবার সম্ভাবনা জোটারই বেশি। তাদের উভয়ই উইং পজিশন থেকেও আক্রমণ শানাতে পারদর্শী।
কারা কারা বাদ পড়লেন:
বায়ার্ন মিউনিখের লেফট উইং ব্যাক রাফায়েল গুয়েরেইরো প্রাথমিকভাবে ইনজুরির কারণে চূড়ান্ত স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েন। আগের টুর্নামেন্টে তার অভিজ্ঞতা এবং অবদানের কারণে গুয়েরেইরোর অনুপস্থিতি দৃঢ়ভাবে অনুভূত হবে। তিনি পর্তুগালের হয়ে এখন পর্যন্ত ৬৫টি ম্যাচ খেলেছেন।
ডিফেন্সিভ এবং অফেন্সিভ মিডফিল্ডে খেলতে পারা ২৬ বছর বয়সী রোমার রেনাতো সানচেজ গত মৌসুমে ইনজুরির কারণে এক ঘন্টার উপরে ম্যাচ খেলতে পেরেছিলেন মাত্র চারটি এবং ৯০ মিনিটের উপরে একটি ম্যাচও খেলতে পারেননি, ফলে তার বাদ পড়াটা কিছুটা অনুমিত ছিল। তিনি এ পর্যন্ত ৩২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। মিডফিল্ডে আরেকজন ইনজুরি এবং ফিটনেসের কারণে বাদ পড়েছেন তিনি হলেন সৌদি লিগে খেলা উইঙ্গার ওটাভিও এডমিলসন। ২৯ বছরের ওটাভিওর ২০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা ছিল। তবে ২৫ বছরের আরেক উইঙ্গার পেদ্রো গনসালভেস বাদ পড়ায় তাদের ক্লাব দলের কোচ রুবেন আমোরিম মহা খেপেছেন। পেদ্রো পর্তুগিজ লিগে নিয়মিত পারফর্ম করে যাচ্ছিলেন। চূড়ান্ত স্কোয়াডে খুব বেশি উইঙ্গার না থাকায় তার অভাব অনুভূত হবে।
মিডফিল্ডে আরো বাদ পড়েছে ভিয়ারিয়ালের গনসালো গুয়েদেস এবং আর্সেনালের ফাবিও ভিয়েরা। বাদ পড়াদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন ৫৩ ম্যাচে ১৯ গোল করা ফরোয়ার্ড আন্দ্রে সিলভা, যিনি গত বিশ্বকাপ-২০২২ ও ইউরো-২০২০ দলে ছিলেন। এরা সবাই বাদ পড়েছেন ক্লাব পর্যায়ে ভাল পারফর্ম করতে না পারায়।
আমার দেখা পর্তুগালের সেরা ৩০ জন খেলোয়াড়:
পর্তুগালের সেরা ৩০ জন খেলোয়াড় নির্বাচন করেছি যাদের খেলা আমি এখন পর্যন্ত দেখেছি:
গোল-রক্ষক :
১) ভিতর বায়া (আন্তর্জাতিক ম্যাচ: ৮০ ও ক্লাব ম্যাচ: ৪৪৫ – তিনি এফ.সি. পোর্তোর সাথে ৪০৬টি এবং বার্সেলোনার সাথে ৩৯টি ম্যাচ খেলেছেন) এবং
২) রুই প্যাট্রিসিও (আন্তর্জাতিক ম্যাচ: ১০৮ ও ক্লাব ম্যাচ: ৫৩৫ – স্পোর্টিং সিপির সাথে সর্বোচ্চ ৩২৭টি ম্যাচ খেলেছেন)। তিনি ৩৬ বছর বয়সী এবং জাতীয় দল ও এ.এস. রোমার সাথে খেলা অব্যাহত রেখেছেন।
রক্ষণ-ভাগ :
রাইট উইং ব্যাক:
৩) জোয়াও ক্যানসেলো (আন্তর্জাতিক ম্যাচ: ৫৩, আন্তর্জাতিক গোল: ১০ ও ক্লাব ম্যাচ: ২৭২, ক্লাব গোল: ১২ – ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে ৯৮টি ম্যাচ খেলেছেন)। তার বয়স এখন ৩০ বছর এবং সব ধরনের ফুটবল খেলছেন। তিনি রাইট বা লেফট ব্যাক উভয় পজিশনে খেলতে পারেন।
৪) পাওলো ফেরেইরা (আন্তর্জাতিক ম্যাচ: ৬২ ও ক্লাব ম্যাচ: ২৩৭ – চেলসির হয়ে তিনি ১৪১টি ম্যাচ খেলেছেন)। তিনি ৩১ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানান এবং
৫) মিগুয়েল মন্টিইরো (আন্তর্জাতিক ম্যাচ: ৫৯, আন্তর্জাতিক গোল: ১ ও ক্লাব ম্যাচ: ৩৩৮, ক্লাব গোল: ১৪ – ভ্যালেন্সিয়ার হয়ে তিনি সর্বোচ্চ ১৭৫টি ম্যাচ খেলেছেন)। তিনি ৩০ বছর বয়সে জাতীয় দল থেকে অবসর নেন ।
সেন্টার-ব্যাক:
৬) কেপলার পেপে (আন্তর্জাতিক ম্যাচ: ১৩৬, আন্তর্জাতিক গোল: ৮ ও ক্লাব ম্যাচ: ৫২১, ক্লাব গোল: ৩৪ – তিনি রিয়াল মাদ্রিদের সাথে সর্বোচ্চ ২২৯টি এবং এফ.সি. পোর্তোর সাথে ১৯২টি ম্যাচ খেলেছেন)। পেপে এখনও ৪১ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক এবং ক্লাব ফুটবল উভয়ই চালিয়ে যাচ্ছেন।
৭) রিকার্ডো কারভালহো (আন্তর্জাতিক ম্যাচ: ৮৯, আন্তর্জাতিক গোল: ৫ ও ক্লাব ম্যাচ: ৪৩৩, ক্লাব গোল: ১৯ – চেলসির হয়ে সর্বোচ্চ ১৩৫টি ম্যাচ খেলেছেন)।
৮) ফার্নান্দো কুটো (আন্তর্জাতিক ম্যাচ: ১১০, আন্তর্জাতিক গোল: ৮ ও ক্লাব ম্যাচ: ৩৯৭, ক্লাব গোল: ২৪ – তিনি ল্যাজিওর সাথে সর্বোচ্চ ১৪৫টি ম্যাচ খেলেছেন)।
৯) রুবেন ডায়াস (আন্তর্জাতিক ম্যাচ: ৫৬, আন্তর্জাতিক গোল: ৩ ও ক্লাব ম্যাচ: ২০৮, ক্লাব গোল: ১২ – ম্যানচেস্টার সিটির সাথে এখন পর্যন্ত ১১৭টি ম্যাচ খেলেছেন)। তিনি মাত্র ২৭ বছর বয়সী এবং সব ধরণের ফুটবল চালিয়ে যাচ্ছেন এবং
১০) ব্রুনো আলভেস (আন্তর্জাতিক ম্যাচ: ৯৬, আন্তর্জাতিক গোল: ১১ ও ক্লাব ম্যাচ: ৪৯৩, ক্লাব গোল: ২৭ – এফ.সি. পোর্তোর হয়ে সর্বোচ্চ ১১৯টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি)।
লেফট উইং ব্যাক:
১১) রাফায়েল গুয়েরেইরো (আন্তর্জাতিক ম্যাচ: ৬৫, আন্তর্জাতিক গোল: ৪ ও ক্লাব ম্যাচ: ২৮৪, ক্লাব গোল: ৪৩ – গুয়েরেইরো বর্তমানে বায়ার্ন মিউনিখে খেলছেন, তবে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের সাথে সর্বোচ্চ ১৬৩টি ম্যাচ ম্যাচ খেলেছেন)। তিনি এখন ৩০ বছর বয়সী এবং সব স্তরে খেলে যাচ্ছেন) এবং
১২) ফ্যাবিও কোয়েন্ত্রাও (আন্তর্জাতিক ম্যাচ: ৫২, আন্তর্জাতিক গোল: ৫ ও ক্লাব ম্যাচ: ২১৮, ক্লাব গোল: ১৭ – রিয়াল মাদ্রিদের সাথে ৫৮টি ম্যাচ খেলেন)। তিনি মাত্র ২৯ বছর বয়সে জাতীয় দল থেকে অবসর নেন।
মধ্য-মাঠ :
রক্ষণাত্মক মিড-ফিল্ডার:
১৩) উইলিয়াম কারভালহো (আন্তর্জাতিক ম্যাচ: ৮০, আন্তর্জাতিক গোল: ৫ ও ক্লাব ম্যাচ: ৩৪৮, ক্লাব গোল: ২১ – এখন পর্যন্ত তিনি রিয়াল বেটিসের সাথে সর্বোচ্চ ১৫৮টি ম্যাচ খেলেছেন)। তার বয়স ৩২ এবং সব ধরনের ফুটবল চালিয়ে যাচ্ছেন।
১৪) রাউল মেইরিলেস (আন্তর্জাতিক ম্যাচ: ৭৬, আন্তর্জাতিক গোল: ১০ ও ক্লাব ম্যাচ: ৩১২, ক্লাব গোল: ২৭ – এফ.সি পোর্তোর সাথে সর্বোচ্চ ১৩৭টি ম্যাচ খেলেন)। তিনি ৩১ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ফুটবল ছেড়ে দেন) এবং
১৫) দানিলো পেরেইরা (আন্তর্জাতিক ম্যাচ: ৭২, আন্তর্জাতিক গোল: ২ ও ক্লাব ম্যাচ: ৩৪২, ক্লাব গোল: ৩১ – তিনি এখন পর্যন্ত পিএসজির সাথে ১০৯টি ম্যাচ খেলেছেন, যদিও এফ.সি পোর্তোর সাথে সর্বোচ্চ ১৩৫টি ম্যাচ খেলেছেন)। তিনি ৩২ বছর বয়সী এবং সব ধরনের ফুটবলে সক্রিয়।
আক্রমণাত্মক মিড-ফিল্ডার:
১৬) রুই কস্তা (আন্তর্জাতিক ম্যাচ: ৯৪, আন্তর্জাতিক গোল: ২৬ ও ক্লাব ম্যাচ: ৪৬০, ক্লাব গোল: ৬০ – ফিওরেন্টিনা এবং এ.সি. মিলানের সাথে যথাক্রমে ২১৫ এবং ১২৪টি ম্যাচ খেলেন তিনি)। তিনি ৩২ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে বিদায় নেন।
১৭) ব্রুনো ফার্নান্দেস (আন্তর্জাতিক ম্যাচ: ৬৬, আন্তর্জাতিক গোল: ২২ ও ক্লাব ম্যাচ: ৩৬১, ক্লাব গোল: ১০৮ – তিনি এখন পর্যন্ত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাথে ১৫৯টি ম্যাচ খেলে ৫৪টি গোল করেছেন)। তার বয়স মাত্র ২৯ বছর এবং সব ধরনের ফুটবল খেলে যাচ্ছেন।
১৮) লুইস ফিগো (আন্তর্জাতিক ম্যাচ: ১২৭, আন্তর্জাতিক গোল: ৩২ ও ক্লাব ম্যাচ: ৫৭০, ক্লাব গোল: ৯৩ – বার্সেলোনা এবং রিয়াল মাদ্রিদের সাথে যথাক্রমে তিনি ১৭২ ও ১৬৪টি ম্যাচ খেলেছেন)।
১৯) বার্নার্ডো সিলভা (আন্তর্জাতিক ম্যাচ: ৮৯, আন্তর্জাতিক গোল: ১১ ও ক্লাব ম্যাচ: ৩৩৫, ক্লাব গোল: ৬৩ – এ যাবৎ তিনি ম্যানচেস্টার সিটির সাথে ২৩৩টি ম্যাচ খেলেছেন)। তিনি মাত্র ২৯ বছর বয়সী এবং সব ধরনের ফুটবল অব্যাহত রেখেছেন।
২০) অ্যান্ডারসন ডেকো (আন্তর্জাতিক ম্যাচ: ৭৫, আন্তর্জাতিক গোল: ১৯ ও ক্লাব ম্যাচ: ৩৭৪, ক্লাব গোল: ৫২ – তিনি এফ.সি. পোর্তো এবং বার্সেলোনার সাথে যথাক্রমে ১৪৮ এবং ১১৩টি ম্যাচ খেলেছেন)। তিনি ৩২ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ফুটবল ছেড়ে দেন।
২১) জোয়াও মউতিনহো (আন্তর্জাতিক ম্যাচ: ১৪৬, আন্তর্জাতিক গোল: ৭ ও ক্লাব ম্যাচ: ৬০৯, ক্লাব গোল: ৪০ – উলভারহ্যাম্পটনের সাথে সর্বোচ্চ ১৭৫টি ম্যাচ খেলেছেন)। তিনি ৩২ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ফুটবল ছেড়ে দেন কিন্তু৩৭ বছর বয়সেও ক্লাব ফুটবল চালিয়ে যাচ্ছেন।
২২) কার্লোস নানি (আন্তর্জাতিক ম্যাচ: ১১২, আন্তর্জাতিক গোল: ২৪ ও ক্লাব ম্যাচ: ৪৪৬, ক্লাব গোল: ৯৬ – ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে সর্বোচ্চ ১৪৭টি ম্যাচ খেলেছেন)। তিনি ৩১ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে বিদায় নেন।
২৩) সিমাও সাব্রোসা (আন্তর্জাতিক ম্যাচ: ৮৫, আন্তর্জাতিক গোল: ২২ ও ক্লাব ম্যাচ: ৫০০, ক্লাব গোল: ১২৪ – বেনফিকা এবং অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সাথে যথাক্রমে ১৭২ এবং ১১৩টি ম্যাচ খেলেন)। তিনিও ৩১ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ফুটবল ফুটবল ছেড়ে দেন।
২৪) রিকার্ডো কোয়ারেসমা (আন্তর্জাতিক ম্যাচ: ৮০, আন্তর্জাতিক গোল: ১০ ও ক্লাব ম্যাচ: ৪৯৪, ক্লাব গোল: ৭৫ – তিনি বেসিকতাসের সাথে সর্বোচ্চ ১৫৪টি ম্যাচ খেলেছেন)।
২৫) সার্জিও কনসিকাও (আন্তর্জাতিক ম্যাচ: ৫৬, আন্তর্জাতিক গোল: ১২ ও ক্লাব ম্যাচ: ৩৪৯, ক্লাব গোল: ৫২ – তিনি স্ট্যান্ডার্ড লিয়েজের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৪টি ম্যাচ খেলেছেন)। কনসিকাও মাত্র ২৯ বছর বয়সে জাতীয় দল থেকে অবসর নেন
ফরোয়ার্ড:
২৬) ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (আন্তর্জাতিক ম্যাচ: ২০৬, আন্তর্জাতিক গোল: ১২৮ ও ক্লাব ম্যাচ: ৬৭৩, ক্লাব গোল: ৫৪৪ – তিনি রিয়াল মাদ্রিদের সাথে সর্বোচ্চ ২৯২টি ম্যাচ খেলেছেন এবং ৩১১টি গোল করেছেন)। ৩৯ বছর বয়সেও তিনি সব ধরনের ফুটবল চালিয়ে যাচ্ছেন
২৭) পেদ্রো পাওলেটা (আন্তর্জাতিক ম্যাচ: ৮৮, আন্তর্জাতিক গোল: ৪৭ ও ক্লাব ম্যাচ: ৩৫৮, ক্লাব গোল: ১৭৪ – পিএসজির হয়ে সর্বোচ্চ তিনি ১৬৮টি ম্যাচ খেলে ৭৬টি গোল করেছেন)।
২৮) নুনো গোমেজ (আন্তর্জাতিক ম্যাচ: ৭৯, আন্তর্জাতিক গোল: ২৯ ও ক্লাব ম্যাচ: ৪৪৬, ক্লাব গোল: ১৬৮ – তিনি বেনফিকার সাথে ২৯৩টি ম্যাচ খেলে ১২৫টি গোল করেন)
২৯) হেল্ডার পোস্টিগা (আন্তর্জাতিক ম্যাচ: ৭১, আন্তর্জাতিক গোল: ২৭ ও ক্লাব ম্যাচ: ৩৪৫, ক্লাব গোল: ৮৬ – এফ.সি. পোর্তোর হয়ে ১১৪টি ম্যাচ খেলেন তিনি) এবং
৩০) জোয়াও পিন্টো (আন্তর্জাতিক ম্যাচ: ৮১, আন্তর্জাতিক গোল: ২৩ ও ক্লাব ম্যাচ: ৪৭৬, ক্লাব গোল: ১১৮ – বেনফিকার সাথে তিনি সর্বোচ্চ ২২০টি ম্যাচ খেলেন)। ৩১ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে বিদায় নেন তিনি।
সারাবাংলা/এসএস
ইউরো ২০২৪
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো
পর্তুগাল