রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে বাংলাদেশের দাপট
২৪ আগস্ট ২০২৪ ১৯:৩৫
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে পাকিস্তানের বিশাল সংগ্রহের জবাব শুরু থেকেই ভালোভাবে দিচ্ছিল বাংলাদেশ। গতকাল চার হাফ সেঞ্চুরিতে অনেকটা এগিয়েছিল বাংলাদশে। আজ মুশফিকুর রহিমের দুর্দান্ত এক ইনিংস ও মেহেদি হাসান মিরাজের ব্যাটে লিডই পেয়েছেন সফরকারীরা।
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১১৭ রানের লিড পেয়েছে বাংলাদেশ। ৬ উইকেটে ৪৪৮ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছিল পাকিস্তান। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস থেমেছে ৫৬৫ রানে। তাতে মুশফিকের বড় অবদান। অবশ্য একটা আক্ষেপ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ককে। মাত্র ৯ রানের জন্য ডাবল সেঞ্চুরি মিস করেছেন। মেহেদি হাসান মিরাজ খেলেছেন ৭৭ রানের দারুণ একটা ইনিংস।
শেষ বিকেলে পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে ১ উইকেটে ২৩ রান তুলে দিন শেষ করেছে। ১২ রানে অপরাজিত আছেন আবদুল্লাহ শফিকি। ৯ রানে তার সঙ্গে অপরাজিত অধিনায়ক শান মাসুদ। দিনের তৃতীয় ওভারে শরিফুল ইসলামের দারুণ এক বলে ফিরেছেন সাইম আইয়ূব।
শনিবার (২৪ আগস্ট) রাওয়ালপিন্ডিতে ৫ উইকেটে ৩১৬ রান নিয়ে আজ চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করেছিল বাংলাদেশ। ৫৫ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিকুর রহিম। লিটন দাস অপরাজিত ছিলেন ৫২ রানে। কাল শেষ বিকেলে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা লিটন আজ বেশিদূর এগুতে পারেননি।
কাল নাসিম শাহর এক ওভারে ১৮ রান তোলা লিটন আজ কাটা পরেছেন সেই নাসিমের বলেই। তার ৭৮ বলে ৮ চার ১ ছয়ে ৫৬ রানের ইনিংসটা শেষ হয়েছে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে। এরপর মেহেদি হাসান মিরাজকে নিয়ে রেকর্ড জুটি গড়েছেন মুশফিকুর রহিম।
মুশফিক গতকালের মতো আজও সাবলীল ব্যাটিং করেছেন। ঝুঁকি নিতে চাননি। মিরাজও শুরু থেকে ছিলেন আত্মবিশ্বাসী। পুরনো বলে পাকিস্তানি পেস আক্রমণকে সেভাবে সুযোগই দেননি দুজন। সপ্তম উইকেট জুটিতে দুজন তোলেন ১৯৬ রান। যেটা সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশের রেকর্ড জুটি। এর আগে ২০১০ সালে হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব আল হাসান সপ্তম উইকেটে তুলেছিলেন ১৪৫ রান। সেটাই ছিল এতোদিন সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশের সেরা জুটি।
রেকর্ড জুটি গড়লেও মুশফিককে অবশ্য ফিরতে হয়েছে আক্ষেপ নিয়েই। ব্যক্তিগত ১৯১ রানের মাথায় মোহাম্মদ আলীর বাউন্স বলে খোঁচা দিতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন মুশফিক। মাত্র ৯ রানের জন্য ক্যারিয়ারের চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরি মিস করেছেন। মুশফিক ৩৪১ বলে তার ইনিংসটি সাজিয়েছেন ২২ চার ও ১ ছয়ে।
মুশফিক ফেরার পর মিরাজও আর বেশিদূর এগুতে পারেননি। শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন ৭৭ রানের মাথায়। ১৭৯ বলে ৬টি চারে এই রান করেছেন। মিরাজ ফেরার সময় বাংলাদেশের রান ছিল ৫৫৭। শরিফুল ইসলামের ১৪ বলে ২২ রানের ইনিংসে সেখান থেকে ৫৬৫ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের হয়ে নাসিম শাহ তিন উইকেট নিয়েছেন। শাহিন শাহ আফ্রিদি, খুররাম শাহজাদ ও মোহাম্মদ আলি ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।
সারাবাংলা/এসএইচএস