কানপুরে প্রথম দিনে বৃষ্টির দাপট
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৩৫
বাংলাদেশ-ভারত কানপুর টেস্টের প্রথম দিনে বল-ব্যাটের চেয়ে বৃষ্টির দাপটই বেশি হলো। প্রথম দিনের ৯০ ওভারের মধ্যে বৃষ্টির কারণে খেলা হয়েছে মাত্র ৩৫ ওভার। তাতে ১০৭ রান তুলেছে আগে ব্যাটিং করতে নামা বাংলাদেশ। অপর দিকে ভারত তুলে নিয়েছে ৩টি উইকেট।
প্রথম সেশনে খেলা হয়েছে ২৬ ওভার। টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামা বাংলাদেশ প্রথম সেশনে ২ উইকেট হারিয়ে ৭৫ রান তোলে। দ্বিতীয় সেশনে খেলা হয়েছে ৯ ওভার। এই সেশনে আউট হয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তারপর বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়।
পরে আকাশ মেঘলা হয়ে যায়, বৃষ্টিও হচ্ছিল থেমে থেমে। যাতে খেলা পূনরায় শুরুর হওয়ার মতো পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব হয়নি। সেখানেই দিনের খেলা শেষ ঘোষণা করেছেন আম্পায়াররা। চতুর্থ উইকেটে ৩৭ বলে ২৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম। দিন শেষে ৪০ রানে অপরাজিত মুমিনুল। ৬ রানে অপরাজিত মুশফিকুর রহিম। ভারতের হয়ে প্রথম সেশনে দুই উইকেট নিয়েছেন পেসার আকাশ দ্বীপ। দ্বিতীয় সেশনে শান্তর উইকেটটি পেয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) কানপুরে টস জিতে বাংলাদেশকে প্রথমে ব্যাটিং করতে পাঠায় ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। বৃষ্টি ও ভেজা আউটফিল্ডের কারণে এক ঘণ্টা দেরিয়ে শুরু হয় খেলা। ব্যাটিং করতে নেমে প্রথম আধ ঘণ্টা দারুণ খেলেছেন ওপেনার সাদমান ইসলাম অনিক। তবে অপর প্রান্তে জাকির হাসান শুরু থেকেই ধুঁকছিলেন। দলীয় ২৬ রানের মাথায় প্যাভিলিয়নে ফেরেন জাকির। ২৪ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। শূন্য রান করে জাকির ফিরেছেন আকাশ দীপের বলে জসওয়ালের হাতে ক্যাচ দিয়ে।
জাকির ফেরার পর সাদমানও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। তাকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেছেন আকাশ। আম্পায়ার প্রথমে আউট দেননি, পরে রিভিউ নিয়ে উইকেট পেয়েছে ভারত। ২৯ রানে দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ।
এরপর সেশনের বাকি সময়টা দারুণ ব্যাটিং করেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক। ভারতীয় পেসারদের নতুন বলে জেঁকে বসতে দেননি দুজন। লাঞ্চ পর্যন্ত এই জুটি যোগ করে ৪৫ রান। দ্বিতীয় সেশনের প্রথম ভাগেই রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে কাটা পরেন শান্ত। দলীয় ৮০ রানের মাথায় অশ্বিনের বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পরেন শান্ত। ৫৭ বল খেলে ৬ চারে ৩১ রানে আউট হয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগে আর বিপদ হতে দেননি মুমিনুল ও মুশফিকুর রহিম।
সারাবাংলা/এসএইচএস