বাংলাদেশ-ভারত কানপুর টেস্টের আড়াই দিনেরও বেশি গেছে বৃষ্টির পেটে। ফলে ম্যাচের ফল ড্র হতে যাচ্ছে, এমনটাই ভেবেছিলেন প্রায় সবাই। কিন্তু হলো তার উল্টোটা। ভারতীয়দের আগ্রাসন ও বাংলাদেশি ব্যাটারদের চরম ব্যর্থতায় আড়াই দিনেই বাংলাদেশকে হারিয়ে দিয়েছে ভারত।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৭ ওভারেই গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যায় ২৩৩ রানেই। যাতে শেষ পর্যন্ত হারতে হয়েছে ৭ উইকেটে। সিরিজের প্রথম টেস্টেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় ২৮০ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। দুই টেস্টের মোট চার ইনিংসের কোনো ইনিংসেই আড়াইশ রান করতে পারেনি বাংলাদেশ!
অথচ এই দলটাই ভারত সিরিজের কিছুদিন আগে পাকিস্তানে গিয়ে পাকিস্তানকে টেস্টে হোয়াইটওয়াশ করে এসেছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে মিডল অর্ডারে মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, মেহেদি হাসান মিরাজরা রান পেয়েছিলেন। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে পারফর্ম করতে পারেননি তারা।
ভারতের বিপক্ষে পুরো সিরিজের ব্যাটিং নিয়েই হতাশ বাংলাদেশের হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। কানপুর টেস্ট শেষে সংবাদ সম্মেলনে হাথুরু বলেছেন, ‘পুরো সিরিজে আমাদের ব্যাটিং একেবারেই হতাশাজনক। এমনকি আগের সিরিজেও আমাদের খেলোয়াড়রা ভালো করেছে এবং কিছু কিছু খেলোয়াড় দারুণ পারফর্ম করেছে। সবশেষ কয়েকটি সিরিজ থেকেই আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারিনি। এটার একটা কারণ মনে হয় আমাদের ব্যাটিং।’
ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের সমস্যা দীর্ঘদিনের। বিশ্বমানের ভারতের বিপক্ষে সেই সমস্যা নিয়ে মুখোমুখি হয়ে বাস্তবতাটা যেন টের পেয়েছে বাংলাদেশ। হাথুরুসিংহে বলেছেন, ‘আপনি মানসম্পন্ন প্রতিপক্ষের কথাও বলতে পারেন। তাদের সামর্থ্য, দক্ষতা সব কিছুই আমাদের চেয়ে তাদের বেশি ছিল। এখান থেকে আমরা অনেক কিছুই শিখব। আমরা সামনের দিকে তাকাতে চাই। আমরা জানি টপ স্ট্যান্ডার্ড কী। তারা সেরা দল এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সেরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা পেয়েছি আমরা। ভারতের মাটিতে খেলা অ্যাসাইনমেন্ট হিসেবে খুবই কঠিন। আমরা জানি আমাদের আরও কত বেশি উন্নতি করা প্রয়োজন।’