হতশ্রী ব্যাটিংয়ে ১২৭ রানে অলআউট বাংলাদেশ
৬ অক্টোবর ২০২৪ ২১:১৪ | আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২৪ ১৪:৪৬
ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে ব্যাটিংটা মোটেও ভালো হলো না বাংলাদেশের। টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ১২৭ রানেই গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ।
প্রথম তিন ওভারের মধ্যে ফিরে যান দুই ওপেনার। পরে তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলীরা উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন। নাজমুল হোসেন শান্ত অনেকক্ষণ ক্রিজে থাকলেও টি-টোয়েন্টির মতো ব্যাটিং করতে ব্যর্থ হয়েছেন। শেষ দিকে মেহেদি হাসান মিরাজ বলার মতো একটা ইনিংস খেললেন বলেই মোটামুটি একটা স্কোর দাঁড় করাতে পেরেছে বাংলাদেশ।
ইনিংসের ১ বল বাকি থাকতে অলআউট হওয়া বাংলাদেশ ১২৭ রান তুলেছে। সাত নম্বরে ব্যাটিং করতে নামা মেহেদি হাসান মিরাজ ৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।
রোববার (৬ অক্টোবর) গোয়ালিয়রে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। গোয়ালিয়রের এই উইকেটে বাড়তি বোলিং সুবিধা নেই। আবার ভারতের বোলিং আক্রমণেও জাসপ্রিত বুমরাহ, কুলদ্বীব যাদবদের মতো বড় বড় অস্ত্রো নেই। সে হিসেবে বাংলাদেশের সামনে সুযোগ ছিল চ্যালেঞ্জিং একটা স্কোর দাঁড় করানো। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগানো তো দূরের কথা উল্টো টপাটপ উইকেট হারিয়ে অল্পতেই গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশের।
ওপেনার লিটন দাস নিজের মোকাবিলা করা প্রথম বলটা চার হাঁকিয়ে পরের বলেই ক্যাচ আউট হয়েছেন। আর্শদ্বীপ সিংয়ের সুইং বল টেনে খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন লিটন। খানিক বাদে সেই আর্শদ্বীপের বাইরের বল স্ট্যাম্পে টেনে এনে বোল্ড হয়েছেন তরুণ ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। বাংলাদেশের ইনিংসের বয়স তখন মাত্র ২.১ ওভার!
ফর্মে থাকা তাওহিদ হৃদয়ের ওপর বড় দায়িত্ব ছিল সেই অবস্থা থেকে দলকে টেনে তোলার। তরুণ হৃদয় পারেননি। বরুন চক্রবর্তীর অফস্পিন উড়িয়ে খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন। সেই যাত্রায় ‘জীবন’ পেয়েও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি হৃদয়। সেই বরুনের শর্ট বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে টাইমিং মিলাতে পারেননি। বল চলে যায় লং অফে হার্দিক পান্ডিয়ার হাতে।
অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ নিজের মোকাবিলা করা দ্বিতীয় বলেই উড়িয়ে খেলতে গিয়ে টাইমিং গড়বড় করে উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন। ২ বলে আউট হয়েছেন ১ রান করে। তরুণ জাকের আলী মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে লম্বা একটা ছক্কা হাঁকিয়ে ভালো কিছুর বার্তা দিয়েছিলেন। পরের ওভারে বরুন চক্রবর্তীর দুসরা বুঝতেই পারেননি জাকের। সরাসরি বোল্ড হয়েছেন ৬ বলে ৮ রান করে।
ইনিংস ধরে খেলতে থাকা অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও সেই সময় আউট হয়ে চাপ বাড়ান বাংলাদেশের। ২৫ বলে ১টি করে চার-ছয়ে ২৭ রান করে শান্ত যখন ফিরলেন বাংলাদেশের স্কোর তখন ৭৫/৬।
সেখান থেকে লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের নিয়ে বাংলাদেশকে একশ ত্রিশের কাছাকাছি নিয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ভারতীয় বোলিংয়ের বিপক্ষে খোলসবন্দি না হয়ে পরে উইকেট জিইয়ে রেখে রান তুলে গেছেন মিরাজ। ৩২ বলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৩৫ রান করে। প্রায় ১৮ মাস পর টি-টোয়েন্টি দলে সুযোগ পাওয়া মিরাজের ইনিংসে চারের মার ৩টি।
শেষ দিকে রিশাদ হোসেনের ৫ বলে ১১ ও তাসকিন আহমেদের ১৩ বলে ১২ রানের ইনিংসগুলো দারুণ সঙ্গ দিয়েছে মিরাজকে। ভারতের হয়ে আর্শদ্বীপ সিং ও বরুন চক্রবর্তী।
সারাবাংলা/এসএইচএস