সাকিবের সঙ্গে দ্বন্দ্ব: ভিন্ন রকম আক্ষেপ ঝরল তামিমের কণ্ঠে
৯ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:৩৩
সাকিব-তামিম দ্বন্দ্ব, অনেকদিন যাবত বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ছিল। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের একটা মন্তব্যে সামনে আসে বিষয়টি। তারপর বহু নাটকীয়তার জন্ম হয়েছে। গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপে একদম শেষ মুহূর্তে গিয়ে দল থেকে বাদ পরেছিলেন তামিম ইকবাল। পরে গুঞ্জন শোনা যায়, তামিমের বাদ পরাতে সেই সময়কার অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের হাত ছিল।
বিশ্বকাপের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার আগে একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে তামিমকে তুলোধুনু করেছিলেন সাকিব। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ভিডিও পোস্টে নিজের অবস্থান পরিস্কার করেন তামিম। এর আগে হঠাৎ অবসর নিয়ে আবার অবসর ভেঙে ফিরে আসেন তামিম। নানান চাপের কারণে হঠাৎ অবসরের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছিলেন, এমন কথা বলেছিলেন তামিম।
একটা সময় মাঠের ক্রিকেটের চেয়ে সাকিব-তামিম দ্বন্দ্বর বিষয়টিই দেশের ক্রিকেটে সবচেয়ে আলোচিত ছিল। অনেকে মনে করেন, সাকিব-তামিমের দ্বন্দ্ব না হলে তারা দুজন একত্রে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে আরও অনেক কিছু দিতে পারতেন। সেই সময় দুজনের দ্বন্দ্ব মেটানোর দায়িত্ব ছিল যাদের তারাই দ্বন্দ্ব আরও বাড়ানোর চেষ্টা করেছেন, এমন অভিযোগও করেছেন অনেকে।
তামিম ইকবাল এবার সরাসরিই বললেন, দ্বন্দ্বের বদলে দুজনের সু-সম্পর্ক থাকলে সেটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য আরও ভালো হতো। এই মুহূর্তে ভারত সফরে আছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। ধারাভাষ্যকার হিসেবে তামিমও আছেন ভারতে। সেভানে ভারতীয় ক্রীড়া সাময়িকী স্পোর্টস-স্টারকে দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তামিম। তাতে উঠে এসেছে সাকিব প্রসঙ্গও।
তামিম বলেন, ‘হ্যাঁ অবশ্যই, নিঃসন্দেহে। আমি বিশ্বাস করি, যদি আমাদের সুসম্পর্কটা দীর্ঘস্থায়ী হতো, তাহলে সেটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য গেম-চেঞ্জার হিসেবে কাজ করত। আমরা দেশের জন্য অনেক দারুণ কিছু করেছি। দুজনেরই ইতিবাচক মানসিকতা ছিল। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য সেরাটাই করতে চেয়েছি।’
সাকিব বিশ্বকাপের আগে একটি সাক্ষাৎকারে তাকে নিয়ে যেভাবে কথা বলেছিলেন সেদিকে ইঙ্গিত করে তামিম বলেন, ‘সম্পর্ক ওঠানামার মধ্য দিয়ে যায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যে কেউ কাউকে আঘাত করবেন না। শেষ পর্যন্ত আপনারা তো দেশের জন্যই খেলছেন। আমি কোনো গণমাধ্যমে বা সরাসরি তাকে (সাকিব) কিছু বলিনি। কারও সম্পর্কেই বলিনি। যা হোক, অবশ্যই বিশ্বাস করি, সাকিব বাংলাদেশের জন্য যা করেছে, অসাধারণ। সম্পর্ক যেমনই থাকুক, ওটা অস্বীকার করা যাবে না। সে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় তারকা।’
সারাবাংলা/এসএইচএস