সাকিবের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বিসিবি: ক্রীড়া উপদেষ্টা
১৬ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:০৩
বাংলাদেশের জার্সিতে সাকিব আল হাসানের ক্যারিয়ার কি শেষ, নাকি বাকি আছে? এটা এখন কোটি টাকার প্রশ্ন। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দেওয়া সাকিব মিরপুরে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলার ইচ্ছা পোষণ করলেও খেলতে পারেননি। ওয়ানডে চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত। কিন্তু আফগানিস্তানের বিপক্ষে গত ওয়ানডে সিরিজটা খেলেননি সাকিব।
বাংলাদেশ দল এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজে। সেখানে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের পাশাপাশি ওয়ানডে সিরিজও খেলবেন টাইগাররা। সাকিব ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে থাকবেন কিনা তার নিশ্চয়তাও পাওয়া যাচ্ছে না। যদি না থাকেন তাহলে কি তাকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে বিবেচনা করা হবে? এমন হাজার প্রশ্ন ঘুরছে ক্রিকেটপাড়ায়। এদিকে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, সাকিবের বিষয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সিদ্ধান্ত নেবে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য নির্মিত ‘শহীদ ফারহান ফাইয়াজ খেলার মাঠের’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমন কথা বলেন তিনি।
সাকিব প্রশ্নে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘দেখেন বিসিবি একটা স্বায়ত্তশাসিত বডি। আমি এখানে কেবল পরামর্শ দিতে পারি। যখন মিরপুরে খেলা নিয়ে যখন একটা পরিস্থিতি তৈরি হলো তখন আমি বোর্ডকে আমার পরামর্শ দিয়েছি এবং বোর্ড সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছে। আগামীতে ক্রিকেট বোর্ডই স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্তগুলো নিবে। সেই সময় আমার কোনো পরামর্শ যদি বোর্ডকে দেওয়ার মতো থাকে আমি তখন সেটা দেবো।’
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্ট খেলতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুবাই পর্যন্ত চলে এসেছিলেন সাকিব। পরে জানা যায়, নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সরকারের পক্ষ থেকে তাকে সেই সময় দেশে ফিরতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছিল।
জুলাই-অগাস্ট অভ্যুত্থানে ‘শহীদদের’ নামে উপজেলা পর্যায়ে ২২০টির বেশি স্টেডিয়াম স্থাপন হবে, আজ এমন ঘোষণাও দিয়েছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এ স্টেডিয়ামগুলো স্থাপনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ২২০টির অধিক উপজেলা স্টেডিয়াম হবে। আমরা একটা নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি প্রত্যেকটা স্টেডিয়ামের নামই সেই উপজেলায় আমাদের যারা শহীদরা রয়েছেন তাদের নামে হবে।’
‘আমরা এই উদ্যোগটা নিচ্ছি কেন না আমরা চাই যারা জীবন দিয়ে এক সীমাহীন ফ্যাসিবাদ থেকে আমাদের মুক্ত করেছে, যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারি, দেশ পুনর্গঠনের স্বপ্ন দেখছি, রাষ্ট্র সংস্কারে সবাই অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছি তাদেরকে যেন আমরা কখনও ভুলে না যাই, বাংলাদেশ কখনও ভুলে না যায়। সেটা নিশ্চিত করার জন্য আমরা এই ক্ষুদ্র প্রয়াস নিচ্ছি।- যোগ করেছেন তিনি।
সারাবাংলা/এসএইচএস