এনসিএল টি-টোয়েন্টি
৪১২ রানের ম্যাচে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে জিতল ঢাকা
১১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৩:৫৫ | আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:৫৬
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ঢাকা বিভাগের প্রয়োজন ছিল ১২ রান। সিলেট বিভাগের তোফায়েল আহমেদ ওভারটা যেভাবে শুরু করেছিলেন তাতে, জয়ের পাল্লা তাদের দিকেই ঝুঁকে ছিল। কিন্তু শেষ বলে লং অফ দিয়ে দারুণ এক ছক্কায় ঢাকাকে ৬ উইকেটে জিতিয়ে দিলেন শুভাগত হোম। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ শুরু হওয়া এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে সিলেটের দেয়া ২০৬ রানের লক্ষ্য ৪ উইকেটের রোমাঞ্চকর এক জয়ে টপকে গেল ঢাকা।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে জিশান আলমের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ২০৫ রানের সংগ্রহ পায় সিলেট। ১০ ছক্কা আর চারটি চারের মারে ইনিংসটি সাজান সিলেটের এই তরুণ ব্যাটার। তবে তার ইনিংস ম্লান হয়ে গেল ঢাকার আরিফুল ইসলামের ৯৪ রানের ঝলমলে এক ইনিংস। তার গড়ে দেয়া ভিতের ওপর দাঁড়িয়েই দলের জয় নিশ্চিত করেন শুভাগত।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই অধিনায় সাইফ হাসানকে হারায় ঢাকা। খালেদ আহমেদের বলে অমিত হাসানের হাতে ক্যাচ দেন রানের খাতা খোলার আগেই। তিনে নেমে আশিকুর রহমানের সাথে আরিফুল গড়েন ৫৭ রানের জুটি। এই জুটির শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাট করতে থাকেন আরিফুল। অন্য প্রান্তে আশিকুর করেন তুলনামূলক ধীরগতিতে। ৫৭ রানের জুটিতে অর্ধেকের বেশি রানই এসেছে আরিফুলের ব্যাট থেকে।
আশিকুরের বিদায়ের পর উইকেটে আসা আরাফাত সানি জুনিয়েরর সাথেও হয় ৮৩ রানের জুটি। সেই জুটিতে সবচেয়ে বিধ্বংসী রুপে আবির্ভূত হন আরিফুল। প্রথম ১৭ বলে ৩৮ তোলার পর, পরের ২৯ বলে তোলেন আরো ৫৬। আবু জায়েদ রাহির বলে মাহফুজুর রাব্বির হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে খেলেন ৪৬ বলে ৯৪ রানের ইনিংস। ইনিংসটিতে ছিল আটটি ছক্কা ও ছয়টি চার। আরিফুলের পর আরাফাতের উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে মাহিদুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে বাকি কাজটা সেরেছেন শুভাগত। শেষ বলে ছক্কা মেরে ম্যাচ জেতানো এই ডানহাতি অপরাজিত থাকেন ১৮ বলে ৩১ রানে।
টস হেরে ব্যাট করতে নামা সিলেটের ইনিংস একাই টেনেছেন জিশান। ৫২ বলে সেঞ্চুরি করে হয়েছেন টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের চতুর্থ দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান। ৩৯ বলে ফিফটির পর সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন আর ১৩ বল খেলে। সেঞ্চুরির পথে আরাফাত সানি জুনিয়রের করা এক ওভারে মেরেছেন টানা পাঁচ ছক্কা। দুর্দান্ত এই ইনিংস থেমেছে নাজমুল ইসলাম অপুর বলে বোল্ড হয়ে।
সারাবাংলা/জেটি